পরিচ্ছেদঃ
৩১০। যে ব্যাক্তি এ অবস্থায় সকাল করবে যে, তার ব্যাস্ততা (চিন্তা-ভাবনা) হচ্ছে দুনিয়া কেন্দ্রিক, সে আল্লাহর নিকট হতে কিছুই পাবে না। যে ব্যাক্তি মুসলিমদের ব্যাপারে গুরুত্ব দিবে না; সে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। যে ব্যাক্তি সেচ্ছায় নিজের জন্য অপমান বরণ করে নিয়েছে কারো প্রতারণা ব্যাতিত সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি তাবারানী “মু’জামুল আওসাত” গ্রন্থে (১/২৯/১/৪৬৬/২) ইয়াযীদ ইবনু রাবী’আহ সুত্রে আবূল আশ’আস সান’আনী হতে ... বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি ইয়াযীদ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এটিকে সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/৩১৭) উল্লেখ করে চুপ থেকেছেন! হায়সামী “মাজমাউয যাওয়াইদ” গ্রন্থে (১০/২৪৮) বলেছেনঃ হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। তার সনদে ইয়াযীদ ইবনু রাবীয়াহ আর-রাহাবী রয়েছেন, তিনি মাতরূক। মুনযেরীও হাদীসটি দুর্বল এদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আবু হাতিম আবুল আশ’আস হতে ইয়াযীদের হাদীসগুলোকে অস্বীকার করেছেন, যেমনভাবে “আল-জারহু ওয়াত তা’দীল” গ্রন্থে (৪/২/২৬১) এসেছে। এটি সেগুলোর অন্তর্ভুক্ত।
জুযজানী বলেনঃ আমার ভয় হচ্ছে যে, হতে পারে তার হাদীসগুলো বানোয়াট।
من أصبح وهمه الدنيا، فليس من الله في شيء، ومن لم يهتم بأمر المسلمين فليس منهم، ومن أعطى الذلة من نفسه طائعا غير مكره فليس منا
ضعيف جدا
-
أخرجه الطبراني في " الأوسط " (1 / 29 / 1 / 466 / 2) من طريق يزيد بن ربيعة عن أبي الأشعث الصنعاني عن أبي عثمان النهدي عن أبي ذر مرفوعا، وقال: تفرد به يزيد بن ربيعة، أورده السيوطي في " اللآليء " (2 / 317) وسكت عليه
وأما الهيثمي فقال في " مجمع الزوائد " (10 / 248) : رواه الطبراني، وفيه يزيد بن ربيعة الرحبي وهو متروك، وأشار المنذري (3 / 9) إلى تضعيفه
قلت: وقد أنكر أبو حاتم أحاديثه عن أبي الأشعث كما في " الجرح والتعديل " (4 / 2 / 261) وهذا منها كما ترى، وقال الجوزجاني: أخاف أن تكون أحاديثه موضوعة