১১২৫

পরিচ্ছেদঃ ২৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইমামতির বর্ণনা

১১২৫-[৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের ওপর প্রত্যেক নেতার সঙ্গে চাই সে সৎ ’আমলদার হোক কি বদকার, জিহাদ করা ফরয। যদি সে কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহও করে। প্রত্যেক মুসলিমের পেছনে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা তোমাদের জন্যে আবশ্যক। (সে সালাত আদায়কারী) সৎ ’আমলদার হোক কি বদকার। যদি সে কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহও করে থাকে। সালাতে জানাযাও প্রত্যেক মুসলিমদের ওপর ফরয। চাই সে সৎ কর্মশীল হোক কি বদকার। সে গুনাহ কাবীরাহ্ (কবিরা) করে থাকলেও। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: «الْجِهَادُ وَاجِبٌ عَلَيْكُمْ مَعَ كُلِّ أَمِيرٍ بَرًّا كَانَ أَوْ فَاجِرًا وَإِنْ عَمِلَ الْكَبَائِرَ. وَالصَّلَاةٌ وَاجِبَةٌ عَلَيْكُمْ خَلْفَ كُلِّ مُسْلِمٍ بَرًّا كَانَ أَوْ فَاجِرًا وَإِنْ عَمِلَ الْكَبَائِرَ. وَالصَّلَاةٌ وَاجِبَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ بَرًّا كَانَ أَوْ فَاجِرًا وَإِنْ عَمِلَ الْكَبَائِرَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الجهاد واجب عليكم مع كل امير برا كان او فاجرا وان عمل الكباىر والصلاة واجبة عليكم خلف كل مسلم برا كان او فاجرا وان عمل الكباىر والصلاة واجبة على كل مسلم برا كان او فاجرا وان عمل الكباىر رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: (الْجِهَادُ وَاجِبٌ عَلَيْكُمْ) অর্থাৎ জিহাদ এক অবস্থাতে ফারযে আইন আরেক অবস্থাতে ফারযে কিফায়াহ্।

(مع كل أمير) অর্থাৎ প্রত্যেক মুসলিম নেতা যে কাজের কর্তৃত্বকারী অথবা দায়িত্বশীল। (بَرًّا كَانَ أَوْ فَاجِرًا) কেননা আল্লাহ দীনকে কখনো পাপী লোকের মাধ্যমে শক্তিশালী করবেন। আর পাপীর গুনাহ তার নিজের ওপর বর্তাবে। পূর্বের এ বর্ণনাকে আরো শক্তিশালী করেছে ঐ হাদীস যা আনাস (রাঃ) থেকে মারফূ' সূত্রে বর্ণনা করা হয়েছে। তাতে রয়েছে আল্লাহ যেদিন থেকে আমাকে নুবূওয়্যাত দিয়েছেন সেদিন থেকে নিয়ে আমার উম্মাতের শেষ লোকেরা দাজ্জালের বিরুদ্ধে লড়াই করা পর্যন্ত জিহাদ অব্যাহত থাকবে।

কোন অত্যাচারকারীর অত্যাচার ও ন্যায় বিচারকারীর ন্যায় বিচার তাকে বাতিল (ধ্বংস) করতে পারবে না। এটাকে আবূ দাঊদ এক হাদীসে সংকলন করেছেন এবং হাদীসটির ব্যাপারে তিনি ও মুনযিরী চুপ থেকেছেন। ইবনু হাজার আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর এক হাদীসে বলেছেন, নেতা পাপী অত্যাচারী হওয়া বৈধ এমতাবস্থায় নেতা পাপ ও অত্যাচার থেকে আলাদা হবে না। এ ধরনের নেতা যতক্ষণ অবাধ্যতার ব্যাপারে নির্দেশ না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার আনুগত্য করা আবশ্যক। অত্যাচারের উপর সালাফদের একটি দলের পৃথক হওয়ার (বিদ্রোহ) বিষয়টি স্বীকৃত ছিল যখন অত্যাচারের উপর নেতা আবির্ভাবের বিষয়টি হারামের উপর স্বীকৃতি লাভ করেনি।

(وَإِنْ عَمِلَ الْكَبَائِرَ) এভাবে প্রাপ্ত সকল কপিতে আছে এভাবে মাসাবীহ গ্রন্থেও আছে তবে এ অতিরিক্তাংশ সুনানে আবূ দাঊদে নেই। মাজদ ইবনু তায়মিয়্যাহ্ তাঁর মুনতাক্বা‘ গ্রন্থে এবং যায়লা‘ঈ তাঁর নাসবুর রায়াহ গ্রন্থের ২য় খন্ডে ২৭ পৃষ্ঠাতে আর তা বায়হাক্বী এর বর্ণনাতেও আসেনি।

(وَالصَّلَاةُ وَاجِبَةٌ عَلَيْكُمْ) ক্বারী (রহঃ) বলেছেন, অর্থাৎ জামা‘আত সহকারে আর তা সুন্নাত তথা খবরের আহাদ দ্বারা প্রমাণিত হওয়াতে ফারযে ‘আমলী হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে; ই‘তিক্বাদী হিসেবে নয়। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেছেন, তা ফারযে কিফায়াহ্ হিসেবে সাব্যস্ত ফারযে আইন নয়। তা ইসলামের চূড়ান্ত প্রতীকী অবস্থানে রয়েছে।

তা বড় বড় সালাফদের পথ। কেননা এ পথ অবলম্বন এমন এক দিকে পৌঁছিয়ে দিবে যে, যদি এক ব্যক্তি শহরে ইমামের সাথে জামা‘আতে সালাত আদায় করে তাহলে সকলের উপর থেকে জামা‘আতে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের ফারযিয়াত আদায় হয়ে যাবে।

ত্বীবী (রহঃ) বলেন, প্রথম ক্বারীনাহ্ (আলামত) মুসলিমদের ওপর জিহাদ আবশ্যক হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করেছে। অপরদিকে পাপী ব্যক্তি নেতা হওয়ার বৈধতার উপর প্রমাণ বহন করছে। দ্বিতীয় ক্বারীনাটি জামা‘আত সহকারে সালাত আদায় আবশ্যক হওয়া ও পাপী ব্যক্তি ইমাম হওয়ার বৈধতার উপর প্রমাণ বহন করেছে, এটাই এ হাদীসের বাহ্যিক দিক। যে ব্যক্তি জামা‘আতে সালাত আদায় ফারযে আইন না হওয়ার উপর উক্তি করেছে সে একে জিহাদের মতো একে ফারযে কিফায়াহ্ হওয়ার দিকে ব্যাখ্যা করেছে। এমতাবস্থায় সে যা দাবী করেছে তা প্রমাণে দলীল পেশ করা তার ওপর আবশ্যক।

(خَلْفَ كُلِّ مُسْلِمٍ) ইমাম হতে চাইলে তাকে মুসলিম হতে হবে।

(بَرًّا كَانَ أَوْ فَاجِرًا وَإِنْ عَمِلَ الْكَبَائِرَ) ইবনু মালিক বলেছেন, অর্থাৎ মুসলিম ইমামের পিছনে তোমাদের অনুসরণ করা বৈধ। তা মূলত হাদীসে পুণ্যবান ও পাপী উভয়কে উল্লেখ করণে তাদের পারস্পারিক অংশীদারীত্বের কারণে প্রায়োগিক ওয়াজিব শব্দটি জায়িয অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে বিধায় আর এটা পাপী ব্যক্তির পিছনে সালাত আদায় বৈধ হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করছে।

অনুরূপভাবে বিদ্‘আতীর পিছনে সালাত আদায় বৈধ হবে আর ঐ সময় বিদ্‘আতী যা বলে তা যখন কুফর হিসেবে সাব্যস্ত হবে না। ক্বারী (রহঃ) বলেন, আমাদের কাছে পাপী এবং বিদ্‘আতীর পিছনে সালাত আদায় মাকরূহ হওয়া সত্ত্বেও পাপী ব্যক্তির পিছনে রসূলের সালাত আদায়ের নির্দেশ জামা‘আতে সালাত আদায় ওয়াজিব হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করছে। ‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী (রহঃ) বলেন, আমি বলবঃ বিদ্‘আতী ও পাপী ব্যক্তির ইমামতির ক্ষেত্রে মতানৈক্য করা হয়েছে। যার পিছনে সালাত আদায় করা হবে তার ‘আদালাত (বিশ্বস্ততা) সম্পন্ন হওয়াকে ইমাম মালিক (রহঃ) শর্ত করেছেন এবং তিনি বলেছেন, পাপীর ইমামতি সহীহ হবে না। তবে শাফি‘ঈ ও হানাফীগণ পাপীর ইমামতি বিশুদ্ধ হওয়ার উপর মত পোষণ করেছেন। ‘আয়নী (রহঃ) বলেছেন, খারিজী ও বিদ্‘আতপন্থীদের পিছনে সালাত আদায়ের ব্যাপারে বিদ্বানগণ মতানৈক্য করেছেন।

অতঃপর তাদের একদল তা বৈধ বলেছেন। যেমন ‘আবদুল্লাহ বিন ‘উমার (রাঃ) তিনি হাজ্জাজ বিন ইউসুফ-এর পিছনে সালাত আদায় করেছেন। অনুরূপভাবে ইবনু আবী লায়লা ও সা‘ঈদ বিন জুবায়র। নাখ্‘ঈ (রহঃ) বলেন, তারা পূর্ববর্তী অনুসারীগণ আমীর (ইমাম) যে কেউ হোক না কেন তাদের পিছনে সালাত আদায় করতেন। আশহুব মালিক থেকে বর্ণনা করেন আমি ইবাযী ও ওয়াসিলিয়্যাহদের পিছনে সালাত আদায় করা পছন্দ করি না। তাদেরসাথে এক শহরে বসবাস করাও পছন্দ করি না। ইবনুল ক্বাসিম (রহঃ) বলেন, যে বিদ্‘আতপন্থীর পিছনে সালাত আদায় করে সময় থাকলে আমি তার সালাত দোহরানোর বিষয়টি ভেবে থাকি। আসবাগ বলেন, সে সর্বদা তা দোহরাবে। সাওরী ক্বদারিয়্যাহ্-এর (ব্যক্তির) ব্যাপারে বলেছেন, তোমরা তাকে ইমামতিতে এগিয়ে দিবে না।

আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) বলেন, প্রবৃত্তির পূজারী যখন প্রবৃত্তির দিকে আহবান করবে তখন এ ধরনের ব্যক্তির পেছনে সালাত আদায় করা যাবে না। আর যে ব্যক্তি জাহমিয়্যাহ্, রাফিযিয়্যাহ্ ও ক্বদারিয়্যাদের পিছনে সালাত আদায় করবে সে তার সালাত দোহরাবে। আমাদের সাথীবর্গ বলেছেন, প্রবৃত্তি ও বিদ্‘আতের অনুসারী এদের পেছনে সালাত আদায় মাকরূহ মনে করা হয়। আর জাহমিয়্যাহ্, রাফিযিয়্যাহ্ ও ক্বদারিয়্যাদের পেছনে সালাত জায়িয হবে না, কেননা তারা এ ‘আক্বীদাহ্ পোষণ করে থাকে নিশ্চয় কোন কিছু সংঘটিত হওয়ার পূর্বে আল্লাহ কিছুই জানে না, আর তা কুফর। অনুরূপ মুশাব্বিহা ও যারা কুরআন সৃষ্টি হওয়ার ব্যাপারে উক্তি করে থাকে তাদের পেছনে সালাত জায়িয হবে না। আবূ হানীফাহ্ বিদ্‘আতপন্থীর পেছনে সালাত আদায় করার ব্যাপারে মত পোষণ করতেন না।

অনুরূপ আবূ ইউসুফ সম্পর্কে বর্ণিত, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তৃক পাপী ব্যক্তি যেমনঃ যিনাকারী, মদ্যপানকারী ইবনুল হাবীব এ ব্যাপারে দাবি করনে যে ব্যক্তি মদ্যপানকারীর পেছনে সালাত আদায় করবে সে তার সালাতকে সর্বদা দোহরাবে। তবে সে যদি ওয়ালী হয় তাহলে আলাদা কথা। অন্য বর্ণনাতে আছে বিশুদ্ধ হবে। ‘মুহীত্ব’-এ আছে, যদি কেউ পাপী অথবা বিদ্‘আতপন্থীর পিছনে সালাত আদায় করে সে জামা‘আতের সাওয়াব পেয়ে যাবে তবে আল্লাহভীরু ব্যক্তির পেছনে যে সালাত আদায় করবে তার সাওয়াবের মতো সে লাভ করতে পারবে না। মাবসূত্ব গ্রন্থে আছে, বিদ্‘আতপন্থীর অনুকরণ করা মাকরূহ।

তবে ‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী (রহঃ) বলেন, আমার কাছে হক হল জামা‘আতের সালাত ও মুক্তাদীদের সালাত বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য সালাতের ইমামের জন্য আদালত শর্ত করা যাবে না। তবে পাপীকে ইমামতির জন্য এগিয়ে দেয়া যাবে না। অনুরূপভাবে এমন বিদ্‘আতপন্থীকে যার বিদ্‘আত ইমামতিকে অস্বীকার করে না, কেননা তাকে ইমামতির জন্য আগে বাড়িয়ে দেয়াতে তাকে সম্মান প্রদর্শন করা হয় বিধায় তাকেও ইমামতির জন্য আগে বাড়ানো যাবে না। তাকে শারী‘আতগতভাবে অপমান করা আবশ্যক। কেননা পাপী দীনের বিষয়কে গুরুত্ব দেয় না। কেননা ইমামতি আমানাত অধ্যায়ের আওতাভুক্ত আর পাপী সে আমানাতের খিয়ানাতকারী। আর ইমামতি শ্রেষ্ঠত্বের উপর নির্ভর করে, কেননা মানুষ পাপী ও বিদ্‘আতপন্থীর পিছনে সালাতে উৎসাহ প্রকাশ করে না। (উৎসাহ হারিয়ে ফেলে)

এমনকি এ ধরনের ব্যক্তিদ্বয়ের ইমামতি জামা‘আতে সালাত আদায় থেকে মানুষকে ভিন্নমুখী ও জামা‘আতে লোক কম হওয়ার দিকে ধাবমান করে। আর এটা মাকরূহ। অপর কারণ হল নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ তোমরা তোমাদের উত্তম লোকগুলোকে তোমাদের ইমাম বানও কেননা তারা তোমাদের ও তোমাদের রবের মাঝে প্রতিনিধি স্বরূপ। ইমাম দারাকুতনী একে তার কিতাবে ১৯৭ পৃষ্ঠাতে বায়হাক্বী তার কিতাবে ৩য় খন্ডে ৯০ পৃষ্ঠাতে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর হাদীস কর্তৃক বর্ণনা করেছেন; বায়হাক্বী বলেছেন, এর সানাদ দুর্বল।

‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী (রহঃ) বলেছেন, আমি বলবঃ এর সানাদে হুসায়ন বিন নাসর আল মুআদ্দাব আছে। ইবনুল ক্বাত্তান বলেন, তাকে চেনা যায় না। এর মাঝে সুলায়মান সালাম বিন আল মাদায়িনীও রয়েছে, ইমাম শাওকানী বলেনঃ দুর্বল। পাপী ও বিদ্‘আতপন্থীতে ইমামতিতে এগিয়ে না দেয়ার অপর কারণ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) যদি আল্লাহর কাছে গ্রহণ হওয়া তোমাদের ভাল লাগে তাহলে তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম ব্যক্তিগণ যেন তোমাদের ইমামতি করে।

ইমাম হাকিম একে কিতাবুল ফাযায়িলের ৪র্থ খন্ডে মারসাদ আল গানবির হাদীস কর্তৃক ২২২ পৃষ্ঠাতে সংকলন করেন এবং এর ব্যাপারে তিনি চুপ থেকেছেন। ত্ববারানীও একে বর্ণনা করেছেন, দারাকুত্বনীও তার কিতাবে ১৯৭ পৃষ্ঠাতে একে সংকলন করেছেন। তবে ত্ববারানী এ কথাটুকুও উল্লেখ করেছেন, তোমাদের মাঝে যারা বিদ্বান তারা যেন তোমাদের ইমামতি করে, তাতে ‘আবদুল্লাহ বিন মূসা আছে। দারাকুত্বনী বলেছেন, দুর্বল। আর তাতে ক্বাসিম বিন আবী শায়বাও আছে।

ইবনু মা‘ঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। অপর কারণ আবূ দাঊদ সায়িব বিন খাল্লাদ থেকে যা বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাটির ব্যাপারে আবূ দাঊদ ও মুনযিরী উভয়ে চুপ থেকেছেন। সে বর্ণনাতে আছে নিশ্চয় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক লোককে সম্প্রদায়ের ইমামতি করতে দেখলেন; অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকটিকে ক্বিবলার দিকে থুথু ফেলতে দেখে সালাত থেকে সালাম ফিরানোর পর বললেন, এ লোকটি তোমাদের ইমামতি করবে না। এরপর লোকটি ইমামতি করতে চাইলে সম্প্রদায় তাকে ইমামতি করতে বাধা দিলেন এবং রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস সম্পর্কে তাকে তারা খবর দিল। অতঃপর লোকটি প্রাপ্ত সংবাদ রসূলের কাছে উল্লেখ করলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বললেন, হ্যাঁ। রাবী বলেন, আমি মনে করি তিনি তাকে বলেছেন, নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহ ও তাঁর রসূল কে কষ্ট দিয়েছ।

অপর কারণ ‘আলী (রাঃ) হতে মারফূ, সূত্রে যা বর্ণনা করা হয়েছে তা; তাতে আছে দীনের ব্যাপারে দুঃসাহস প্রকাশকারী যেন তোমাদের ইমামতি না করে। ইমাম শাওকানী এটা তার নায়লুল আওতারে বিনা সানাদে উল্লেখ করেছেন। আল্লামা ক্বাননুজী দালীলুত্ ত্বলিবে ৩৩৯ পৃষ্ঠাতে বলেন, তা মুরসাল।  আর এক কারণ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি কোন পাপী যেন কোন মু’মিন ব্যক্তির ইমামতি না করে তবে বাদশাহ কর্তৃক তাকে হুমকি দেয়াতে সে বাদশাহর তরবারি বা ছড়ির ভয় করলে আলাদা কথা।

ইমাম ইবনু মাজাহ একে জুমু‘আর সালাতের ক্ষেত্রে জাবির (রাঃ)-এর হাদীস কর্তৃক বর্ণনা করেন। তার সানাদে ‘আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আল আদাবী আত্ তামীমী আর সে তাআল্লুফ তথা লেখনির দিক দিয়ে অন্য ব্যক্তির নামের সাথে সাদৃশ্য। বুখারী, আবূ হাতিম ও দারাকুত্বনী বলেছেন, সে মুনকারুল হাদীস। এভাবে অনেকে আরও সমালোচনা করেছেন। সুতরাং পাপী বিদ্‘আতকারী ব্যক্তিকে ইমামতির জন্য এগিয়ে দেয়া যাবে না আর তা মূলত আবূ উমামাহ্ ও ‘আবদুল্লাহ বিন ‘আমর বিন ‘আস-এর হাদীসের কারণে এবং তাদের হাদীসের অনুকূল আরও যত হাদীস আছে যে হাদীসগুলো ব্যক্তিকে সম্প্রদায় অপছন্দ করাবস্থায় ব্যক্তির ইমামতি করা হারাম সাব্যস্ত হওয়ার উপর প্রমাণ করে।

যদি পাপী ও বিদ্‘আতী ইমামতির জন্য এগিয়ে যায় তাহলে সম্প্রদায়ের ওপর ওয়াজিব তাদের উভয়কে ইমামতির থেকে বাধা দেয়া। যদি তারা তাকে ইমামতি করা হতে বাধা দিতে বা ইমামতির স্থান থেকে অপসারণ করতে অক্ষম হয় তখন মাকরূহ হওয়া সত্ত্বেও তাদের উভয়ের পেছনে সালাত আদায় বৈধ হবে। (অর্থাৎ প্রয়োজনের খাতিরে তাদের উভয়ের পেছনে সালাত আদায় বৈধ হবে।) আর তা হলে তাদের উভয়কে ইমামতি থেকে বাধা দিলে এবং অপসারণ করলে ফেৎনার আশংকা করা। আরও প্রয়োজন বলতে জামা‘আত ছুটে যাওয়ার ক্ষেত্রে পাপী ও বিদ্‘আতীর পেছনে সালাত আদায় করা বিশুদ্ধ হবে। এমতাবস্থায় মুক্তাদী জামা‘আতের সাওয়াব পাবে তবে আল্লাহভীরু ব্যক্তির পেছনে সালাত আদায় করলে যে সাওয়াব পেত তা সে পাবে না।

মোদ্দা কথা পাপী ও বিদ্‘আতীর পেছনে যে ব্যক্তি সালাত আদায় করবে তার সালাত নষ্ট হবে না। আর তা মুক্তাদীর সালাত বিশুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে ইমামকে আদেল হতে হবে এমন দলীল না পাওয়ার কারণে। অপরদিকে এ ধরনের ব্যক্তিদ্বয়ের পেছনে অনুকরণ করা বৈধ হওয়ার কারণে, কেননা সালাত বৈধ হওয়া সালাতের আরকানসমূহ আদায় করার সাথে সম্পৃক্ত। অথচ উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় আরকানসমূহ আদায়ের ব্যাপারে সক্ষম। অপর কারণ পাপী বিদ্‘আতীর সালাত কবূল না হওয়া তাদের অনুসরণ করা বৈধ না হওয়াকে আবশ্যক করে না এবং তাদের কারণে মুক্তাদী এর সালাত কবূল না হওয়াকে আবশ্যক করে না উপরন্তু তাদের সালাত নষ্ট হওয়াকেও আবশ্যক করে না। কেননা নিন্দা এবং হুমকি কেবল ঐ ইমামের দিকে বর্তাবে যাকে ও যার ইমামতিকে মানুষ অপছন্দ করে; বিষয়টি মুক্তাদীদের দিকে বর্তাবে না। যেমন তা প্রকাশমান। আর কেননা যার সালাত তার নিজের জন্য বিশুদ্ধ হবে তা অন্যের জন্যও বিশুদ্ধ হবে অর্থাৎ তার ইমামতি বিশুদ্ধ হবে ও তার অনুকরণ করাও জায়িয হবে। পাপী ও বিদ্‘আতকারীর পেছনে সালাত বিশুদ্ধ হওয়ার আরেকটি কারণ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি; ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কর্তৃত্বের স্থানে যেন অপর ব্যক্তির ইমামতি না করে।

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর এ হাদীসসহ আরও অনেক হাদীস যা প্রত্যেক পাপী ও পুণ্যবান ব্যক্তির পেছনে সালাত বিশুদ্ধ হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করে তবে সে হাদীসসমূহ দুর্বল। অপর কারণ ইমাম বুখারী (রহঃ) তার তারীখে যা বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম বায়হাক্বী তার গ্রন্থে ৩য় খন্ডে ১২২ পৃষ্ঠাতে ‘আবদুল কারীম আল বুকা থেকে যা বর্ণনা করেছেন। ‘আবদুল কারীম আল বুকা বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দশজন সাহাবীর সাক্ষাৎ পেয়েছি তাদের প্রত্যেকেই অত্যাচারী ইমামদের পেছনে সালাত আদায় করতেন।

শাওকানী (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল কারীমের রিওয়ায়াত দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। মীযান গ্রন্থে তার ব্যাপারে আলোচনা পূর্ণতা পেয়েছে। তবে অত্যাচারীদের পেছনে সালাত আদায় বিশুদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে প্রথম যুগের ইজমা এর পন্ডিত অবশিষ্ট সাহাবী ও তাবি‘ঈগণ কর্মগতভাবে ইজমাতে পৌঁছেছে। অপরদিকে উক্তিগতভাবেও একমত (ইজমা) সংঘটিত হওয়া অসম্ভব নয়, কেননা ঐ যুগসমূহে আমীরগণ তারাই পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের ইমাম ছিল। তখন মানুষের আমীরগণ ছাড়া কেউ তাদের ইমামতি করত না। প্রত্যেক শহরের আমীর তাদের ইমামতি করত। তখন উমাইয়্যাহ্ বংশের শাসন ছিল।

তাদের অবস্থা ও তাদের আমীরদের অবস্থা কারো কাছে গোপন নয়। ইমাম বুখারী ‘আবদুল্লাহ বিন ‘উমার (রাঃ) সম্পর্কে সংকলন করেন, নিশ্চয় তিনি হাজ্জাজ বিন ইউসুফের পেছনে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। ইমাম মুসলিম ও সুনান গ্রন্থকারগণ সংকলন করেন নিশ্চয় আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী মারওয়ান-এর পেছনে ঈদের সালাত আদায় করেছেন যে ঈদে মারওয়ান কর্তৃক ঈদের খুৎবাহকে সালাতের আগে নিয়ে আসার কথা আছে। আর মারওয়ান কর্তৃক এ আচরণের কারণ মূলত যা হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন, উম্মাতের মাঝে এমন কিছু আমীর হবে যারা সালাতকে (মেরে নষ্ট করবে) ফেলবে এবং সালাতের নির্ধারিত সময় ছাড়া অন্য সময়ে তা আদায় করবে তখন সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রসূল! তখন আমাদেরকে কি করতে নির্দেশ করছেন?

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা সময়মত সালাত আদায় করবে এবং সম্প্রদায়ের সাথে তোমাদের সালাতকে তোমরা নফল হিসেবে ধরবে। ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, যে ব্যক্তি সালাতকে মেরে ফেলবে (নষ্ট করবে) এবং তা নির্দিষ্ট সময় ছাড়া অন্য সময় আদায় করবে সে ব্যক্তি ন্যায়বান ব্যক্তি নয়।

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরনের ব্যক্তির পেছনে নফল হিসেবে সালাত আদায়ের অনুমতি দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নফল ও ফারযের (ফরযের/ফরজের) মাঝে কোন পাথর্ক্য নেই। আমীর ইয়ামানী এ হাদীসটি উল্লেখের পর বলেন, তাদের পেছনে সালাত আদায়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং ঐ সালাতকে নফল হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। কেননা তারা এ সালাতকে তার স্ব সময় হতে বের করে দিয়েছে।

এর ব্যাখ্যা হচ্ছে তারা যদি এ সালাতকে তার স্ব সময়ে আদায় করত তাহলে সে তাদের পেছনে ফরয হিসেবে সালাত অদায়ের নির্দেশপ্রাপ্ত হত। অপর কারণ ‘আলী (রাঃ) হতে যা বর্ণিত হয়েছে, তার নিকট ক্বওমের কিছু লোক একজন ব্যক্তিকে নিয়ে আসলেন। তারা বলল, নিশ্চয় এ লোকটি আমাদের ইমামতি করে আর আমরা তাকে অপছন্দ করি তখন ‘আলী (রাঃ) ঐ লোকটিকে বলল, নিশ্চয় তুমি বিষয়সমূহে নির্যাতিত অথবা তোমার কাজে তুমি অত্যাচারী এ অবস্থায় তুমি তোমার সম্প্রাদায়ের ইমামতি করবে যে, তারা তোমাকে অপছন্দ করে। অত্র হাদীসে যদিও ‘আলী (রাঃ) লোকটিকে ইমামতির ব্যাপারে তিরস্কার করেছেন কিন্তু সম্প্রদায়কে তার অনুসরণ করা থেকে বারণ করেননি এবং তাদেরকে সালাত দোহরানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেননি।

ফলকথা: ইমামতির জন্য এগিয়ে যাওয়া পাপী ও বিদ্‘আতীর জন্য হারাম কোন সম্প্রদায়ের জন্য বৈধ হবে না এমন ব্যক্তিকে ইমামতির জন্য এগিয়ে দেয়া। এ ধরনের ব্যক্তিকে ইমামতিতে বাধা দেয়া ও ইমামতির স্থান থেকে অপসারণ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যদি সম্প্রদায় এ ধরনের ব্যক্তিকে ইমামতির জন্য এগিয়ে দেয় তাহলে তারা পাপী সাব্যস্ত হবে তবে এ ধরনের ব্যক্তির পেছনে সালাত মাকরূহে তাহরীমী হওয়া সত্ত্বেও জামা‘আত বিশুদ্ধ হবে। এমতাবস্থায় মুক্তাদীদের সালাত বিশুদ্ধ না হওয়ার উপর প্রমাণ না থাকাতে সালাত নষ্ট হবে না। আর যদি তারা এ ধরনের ব্যক্তিকে ইমামতি থেকে বাধা দিতে ও সে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করতে অক্ষম হয় এবং অন্য মসজিদে যাওয়ার মাধ্যমে অন্য ইমামের পেছনে সালাত অদায় সম্ভব হয় তাহলে তা করাই উত্তম।

অন্যথায় একাকী সালাত আদায় করা অপেক্ষা ইমামের অনুসরণ করাটাই উত্তম এবং ইমামের পেছনে মুক্তাদীদের সালাত বৈধ। তবে মাকরূহ থেকে মুক্ত নয় অর্থাৎ তারা জামা‘আতের সাওয়াব পেয়ে যাবে তবে যে ব্যক্তি মুত্তাক্বীর পেছনে সালাত আদায় করবে তার সাওয়াবের মতো সে অর্জন করতে পারবে না।

(وَالصَّلَاةُ وَاجِبَةٌ عَلى كُلِّ مُسْلِمٍ) অর্থাৎ জানাযার সালাত ফারযে কিফায়াহ্ যা প্রত্যেক এমন মৃত মুসলিমের ওপর আদায় করতে হবে বাহ্যিক দৃষ্টিতে যে মুসলিম।

(بَرًّا كَانَ أَوْ فَاجِرًا) উল্লেখিত অংশে প্রমাণ রয়েছে এমন ব্যক্তি যে মুসলিম অবস্থায় মারা গেছে তার ওপর জানাযার সালাত অদায় করা হবে যদিও সে পাপী হয়। এ মতটি পোষণ করেছেন ইমাম মালিক, শাফি‘ঈ, আবূ হানীফাহ্ ও জমহূর ‘আলিমগণ।

ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, ক্বাযী বলেন, সকল বিদ্বানদের মাযহাব হল প্রত্যেক মুসলিম, শারী‘আতী হাদ্দ প্রয়োগকৃত, রজম করা হয়েছে এমন ব্যক্তি, আত্মহত্যাকারী ও জারয সন্তানের ওপর জানাযার সালাত আদায় করা হবে। তবে ফাতাওয়াটির সমালোচনা করা হয়েছে। যুহরী বলেন, রজম করা হয়েছে এমন ব্যক্তির ওপর জানাযার সালাত আদায় করা হবে না। ক্বাতাদাহ্ বলেন, জারয সন্তানের ওপর জানাযার সালাত  আদায় করা হবে না। ‘উমার বিন ‘আবদুল ‘আযীয ও আওযা‘ঈ (রহঃ) বলেন, পাপীর জানাযার সালাত আদায় করা হবে না। আবূ হানীফাহ্ অত্যাচারকারী ও যোদ্ধাবাজের ব্যাপারে তাদের উভয়ের অনুরূপ মত ব্যক্ত করেছেন।

ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) তাঁর এক উক্তিতে চোরের ব্যাপারে উভয়ের অনুরূপ করেছেন। তবে হক কথা হল, যে ব্যক্তি কালেমা শাহাদাত পাঠ করবে তার জন্য ততটুকু অধিকার থাকবে যা একজন মুসলিম ব্যক্তির রয়েছে। আর সে অধিকারসমূহের একটি জানাযার সালাত। কেননা জানাযার সালাতের শারী‘আত সম্মত হওয়ার ব্যাপকতাকে কোন কালেমা শাহাদাত পাঠকারীর সাথে দলীল ছাড়া নির্দিষ্ট করা যাবে না। হ্যাঁ, তবে ইমাম এমনিভাবে বিদ্বান, নিষ্ঠাবান, আল্লাহভীরু এদের জন্য মুস্তাহাব হবে ফাসিক্বের ওপর জানাযার সালাত ছেড়ে দেয়া। আরও বিশেষভাবে সালাত বর্জনকারী, ঋণী, আত্মসাৎকারী ও আত্মহত্যাকারী এদের উপর উল্লেখিত সৎ ব্যক্তিদের জানাযার সালাত ছেড়ে দেয়া আর এটা মানুষকে ধমক স্বরূপ। আর এ ধরনের মাসআলার উপর প্রমাণ করছে আত্মসাৎকারী, ঋণী এদের ওপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত আদায় করা থেকে বিরত থাকা ও এ ধরনের ব্যক্তিদ্বয়ের উপর জানাযার সালাত আদায়ের ব্যাপারে নিজ উক্তি (তোমরা তোমাদের সাথীর ওপর জানাযার সালাত আদায় কর) দ্বারা সাহাবীগণকে নির্দেশ দেয়া। এ মাসআলার উপর আরও প্রমাণ বহন করে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কিত হাদীস যে তার নিজকে প্রশস্ত ফলা দ্বারা হত্যা করেছিল, অতঃপর তার ব্যাপারে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি আমি তার ওপর সালাত আদায় করব না। এমতাবস্থায় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে ঐ ব্যক্তির ওপর সালাত আদায় করা থেকে নিষেধ করেননি।

(وَإِنْ عَمِلَ الْكَبَائِرَ) ইবনু মালিক (রহঃ) বলেছেন, এ হাদীসাংশটুকু ঐ কথার উপর প্রমাণ বহন করছে যে, যে ব্যক্তি কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ করবে ঐ কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ তাকে ইসলাম থেকে বের করবে না এবং সৎ আ‘মালসমূহকেও নষ্ট করবে না। অর্থাৎ এ দু’টি ক্ষেত্রে বিদ্‘আতীর যে পরিস্থিতি তার বিপরীত।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)