১০৫০

পরিচ্ছেদঃ ২২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ

১০৫০-[১২] মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি মানুষদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, তোমরা তো একটি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করছ। আর আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গ পেয়েছি। তবে আমরা তাঁকে এ দু’ রাক্’আত সালাত আদায় করতে দেখিনি। বরং তিনি তো ’আসরের সমাপ্তির পরে এ দু’ রাক্’আত সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী)[1]

وَعَن مُعَاوِيَة قَالَ: إِنَّكُمْ لَتُصَلُّونَ صَلَاةً لَقَدْ صَحِبْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا رَأَيْنَاهُ يُصَلِّيهِمَا وَلَقَدْ نَهَى عَنْهُمَا يَعْنِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْر. رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن معاوية قال انكم لتصلون صلاة لقد صحبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فما رايناه يصليهما ولقد نهى عنهما يعني الركعتين بعد العصر رواه البخاري

ব্যাখ্যা: হাফিয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেনঃ মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর বক্তব্য এ কথার প্রতি ইঙ্গিত করে যে, তিনি যাদের উদ্দেশ্য করে এ বক্তব্য দিয়েছিলেন তারা ‘আসরের পরে নিয়মিত নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন যেভাবে যুহরের পরে তারা নিয়মিত নফল সালাত আদায় করতেন। তিনি যা অস্বীকার করছেন যে, তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ সালাত আদায় করতে দেখেননি কিন্তু অন্যরা তা সাব্যস্ত করেছেন। আর সাব্যস্তকারীর বক্তব্য অস্বীকারকারীর বক্তব্যের উপর প্রাধান্য পাবে।

যেমন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেনঃ তিনি ঐ দুই রাক্‘আত সালাত মসজিদে আদায় করতেন না। তবে সাব্যস্তকারীর বর্ণনার মধ্যে আর অস্বীকারকারীর বক্তব্যের মাঝে কোন বৈপরীত্য নেই। কেননা যারা ঐ দু’ রাক্‘আত সাব্যস্ত করেছেন তাতে কারণ বর্ণিত হয়েছে। অতএব কারণবশতঃ তা আদায় করা যাবে। আর কারণ না থাকলে তা নিষিদ্ধই থেকে যাবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)