১০৩০

পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্

১০৩০-[৮] ’উক্ববাহ্ ইবনু ’আমির (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! সূরাহ্ আল হাজ্জ (হজ/হজ্জ)-এর কি দু’টি সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করার কারণে এমন মর্যাদা? জবাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ। যে ব্যক্তি এ দু’টি সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবে না সে যেন এ দু’টি আয়াত তিলাওয়াত না করে। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী; ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসের সূত্র মজবুত নয়। আর মাসাবীহ হতে শারহুস্ সুন্নাহর মতো ’’সে দু’টো সাজদার আয়াত যেন না পড়ে’’-এর স্থলে ’’তাহলে সে যেন এ সূরাকে না পড়ে’’ এসেছে।)[1]

وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فُضِّلَتْ سُورَةُ الْحَجِّ بِأَنَّ فِيهَا سَجْدَتَيْنِ؟ قَالَ: نَعَمْ وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْهُمَا فَلَا يَقْرَأْهُمَا . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ. وَفِي الْمَصَابِيحِ: «فَلَا يَقْرَأها» كَمَا فِي شرح السّنة

وعن عقبة بن عامر قال قلت يا رسول الله فضلت سورة الحج بان فيها سجدتين قال نعم ومن لم يسجدهما فلا يقراهما رواه ابو داود والترمذي وقال هذا حديث ليس اسناده بالقوي وفي المصابيح فلا يقراها كما في شرح السنة

ব্যাখ্যা: وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْهُمَا فَلَا يَقْرَأْهُمَا যারা এ দু’টি সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবে না তারা যেন সাজদার আয়াত দু’টি না পাঠ করে। শায়খ আহমাদ শাকির বলেনঃ কিছু ‘আলিমের মতে এ হাদীসের মর্মার্থ হলো যে ব্যক্তি সিজদা্ এর আয়াতের নিকটবর্তী হলো কিন্তু তার সিজদা্ করার ইচ্ছা নেই তাহলে সে সাজদার আয়াত পাঠ করবে না।

কারো কারো মতে এ হাদীসের মর্মার্থ হলো কুরআন তিলাওয়াতকারীকে এ উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে যে, যারা আয়াতদ্বয় পাঠ করবে তারা যেন সিজদা্ করে। কুরআন পাঠকারীর যেমন এ দু’টি আয়াত পাঠ ত্যাগ করা উচিত নয় অনুরূপভাবে অত্র আয়াত পাঠকারী পক্ষে তিলাওয়াতের সিজদা্ ত্যাগ করাও উচিত নয়। অত্র হাদীসটিও পূর্বের হাদীসের মতো সূরাহ্ হাজ্জে দু’টি তিলাওয়াতের সিজদা্ বিধিবদ্ধ হওয়ার দলীল। আর এ অভিমত ‘উমার, আলী, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার, আবূ মূসা, আবুদ্ দারদা, ‘আম্মার ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীগণের।

ইবনু কুদামাহ্ উক্ত সাহাবীগণের নাম উল্লেখ করার পর বলেনঃ তাদের যামানায় তাদের এ অভিমতের বিপরীতে কোন অভিমত পাওয়া যায় না তাই তাকে ইজমা বলা যায়। আবূ ইসহাক্ব বলেনঃ আমি সত্তর বৎসর যাবৎ লোকদেরকে সূরাহ্ হাজ্জে দু’টি সিজদা্ করতে দেখছি। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেনঃ আমি যদি সূরাহ্ হাজ্জের একটি সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পরিত্যাগ করতাম তবে প্রথমটিই পরিত্যাগ করতাম কেননা প্রথমটি হলো সংবাদ আর দ্বিতীয়টি হলো আদেশ। আর আদেশের অনুসরণ করা উত্তম।

আমি (মুবারকপূরী) বলছিঃ হাদীস ও সাহাবীগণের আসার দ্বারা সূরাহ্ হাজ্জের দু’টি সিজদা্ রমাণিত হওয়ার পর কোন অভিমতের গুরুত্ব নেই। বরং সূরাহ্ হাজ্জের দু’টি সিজদা্ বিধিবদ্ধ।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)