পরিচ্ছেদঃ
৩০০। যে ব্যাক্তি দু’শত বার কুল-হু-আল্লাহু আহাদ পাঠ করবে, যদি তার উপর কোন ঋণ না থাকে, তাহলে আল্লাহ তার জন্য এক হাজার পাঁচশত সাওয়াব লিখে দেন।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু আদী (১/৮৪৮-৮৪৯) এবং তার থেকে বাইহাকী "শুয়াবুল ঈমান" গ্রন্থে (১/২/৩৫/২) এবং খাতীব বাগদাদী (৬/২০৪) আবুর রাবী’ আয-যাহরানী সূত্রে হাতিম ইবনু মায়মূন হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদটি নিতান্তই দুর্বল। এ হাতিম সম্পর্কে ইবনু হিব্বান "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (১/২৭০) বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। তিনি সাবেত হতে এমন কিছু বর্ণনা করেছেন যা তার হাদীসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। কোন অবস্থাতেই তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা জায়েয হবে না ।
ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি ইবনুল জাওযী তার “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে (২/২৪৪) খাতীব বাগদাদীর সূত্র হতে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি বানোয়াট। হাতিম দ্বারা কোন অবস্থাতেই দলীল গ্রহণ করা যাবে না। হাদীসটি ইমাম তিরমিযী এবং ইবনু নাসর “কিয়ামুল লায়ল” গ্রন্থে (পৃঃ ৬৬) হাতিম ইবনু মায়মূন হতেই বর্ণনা করেছেন, তবে ভাষায় পার্থক্য রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি দু’শত বার পাঠ করবে তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে...। তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি গারীব অর্থাৎ দুর্বল।
এ জন্য ইবনু কাসীর তার “আত-তাফসীর” গ্রন্থে বলেছেনঃ হাদীসটির সনদ দুর্বল ।
আমি (আলাবনী) বলছিঃ পূর্বে আলোচনাকৃত হাতিম ইবনু মায়মুন দ্বারা কোন অবস্থাতেই দলীল গ্রহণ করা হালাল হবে না, যেমনটি বলেছেনঃ ইবনু হিব্বান। ইবনুল জাওযী তার এ হাদীসটিকে “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে পূর্বের বাক্যে একই সূত্রে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া দারেমীও এটি (২/৪৬১) মুহাম্মাদ আল-ওতা সূত্রে উম্মে কাসীর আনসারিয়া হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তাদের উভয়কেই আমি চিনি না। (অর্থাৎ তারা উভয়েই মাজহুল)। ইবনু কাসীর বলেছেনঃ এটির সনদ দুর্বল।
এ হাদীসটিও মুনকার যেমনভাবে আলোচনা করা হয়েছে ২৯৫ নং হাদীসে।
من قرأ قل هو الله أحد مئتي مرة كتب الله له ألفا وخمس مئة حسنة، إلا أن يكون عليه دين
موضوع
-
أخرجه ابن عدي (1 / 848 ـ 849) ، وعنه البيهقي في " الشعب " (1 / 2 / 35 /2) والخطيب (6 / 204) من طريق أبي الربيع الزهراني حدثنا حاتم بن ميمون عن ثابت عن أنس مرفوعا
قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا حاتم هذا قال ابن حبان في " الضعفاء " (1 / 270) : منكر الحديث على قلته، يروي عن ثابت ما لا يشبه حديثه، لا يجوز الاحتجاج به بحال، وهو الذي يروي عن ثابت عن أنس رفعه: " من قرأ (قل هو الله أحد) ... " الحديث
وقال البخاري: روى منكرا، كانوا يتقون مثل هؤلاء المشايخ
والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (2 / 244) من طريق الخطيب ثم قال: موضوع، حاتم لا يحتج به بحال
فتعقبه السيوطي في " اللآليء " (1 / 238) بأن الترمذي ومحمد بن نصر أخرجاه من طريقه بلفظ آخر، وهذا تعقب لا طائل تحته كما هو بين، واللفظ المشار إليه هو: " من قرأ كل يوم مئتي مرة (قل هو الله أحد) محي عنه ذنوب خمسين سنة إلا أن يكون عليه دين "
أخرجه الترمذي (4 / 50) وابن نصر في " قيام الليل " (ص 66) من طريق محمد ابن مرزوق حدثني حاتم بن ميمون عن ثابت عن أنس مرفوعا، وقال الترمذي: هذا حديث غريب أي ضعيف ولذا قال ابن كثير في " تفسيره " (4 / 568) : إسناده ضعيف
قلت: حاتم لا يحل الاحتجاج به بحال كما قال ابن حبان، وأورد ابن الجوزي حديثه هذا في " الموضوعات " باللفظ الذي قبله والطريق واحدة
ورواه الدارمي (2 / 461) من طريق محمد الوطاء عن أم كثير الأنصارية عن أنس مرفوعا بلفظ: " ... خمسين مرة غفر له ذنوب خمسين سنة "
قلت: وأم كثير هذه لم أعرفها وكذا الراوي عنها محمد الوطاء، وفي " التفسير "، محمد العطار من رواية أبي يعلى، وقال ابن كثير: إسناده ضعيف
وقد روى من طرق أخرى عن ثابت به بلفظ: " غفرت له ذنوب مئتي سنة "
وهو منكر كما تقدم قريبا رقم (295)