১০০৮

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়িয ও যে সব কাজ করা জায়িয

১০০৮-[৩১] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন শেষ বৈঠকের শেষ পর্যায় উপনীত হয়, আর সালাম ফিরানোর আগে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ভঙ্গ হয়ে যায়, তবুও তার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বৈধ হবে। (তিরমিযী; তিনি বলেছেন, এ হাদীসটির সূত্র শক্তিশালী নয় এবং তার সূত্রের মাঝে গন্ডগোল মনে করছেন হাদীস বিশারদগণ।)[1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أحدث أدكم وَقَدْ جَلَسَ فِي آخِرِ صَلَاتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَقَدْ جَازَتْ صَلَاتُهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ وَقَدِ اضْطَرَبُوا فِي إِسْنَاده

وعن عبد الله بن عمرو قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا احدث ادكم وقد جلس في اخر صلاته قبل ان يسلم فقد جازت صلاته رواه الترمذي وقال هذا حديث اسناده ليس بالقوي وقد اضطربوا في اسناده

ব্যাখ্যাঃ ‘তোমাদের কেউ যখন বায়ু নিঃসরণ করে’- মুল্লা ‘আলী ক্বারী (রহঃ) বলেনঃ ইমাম আবূ হানীফার মতে স্বেচ্ছায় বায়ু নিঃসরণ করে। কেননা তাঁর মতে স্বেচ্ছায় কোন কর্ম দ্বারা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সম্পাদনকারী সালাত থেকে বের হবে। আর তার দু’ শিষ্যের মতে বায়ু নিঃসরণ হলেই হলো তা স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়। আর সে তখন সালাতের ‘শেষ বৈঠকে বসেছেন’। আলী ক্বারী বলেনঃ এই বসাটা যদি তাশাহুদ পড়ার সময় পরিমাণ হয়।

আমি (মুবারকপূরী) বলছিঃ অত্র হাদীসে তাশাহুদ পড়ার সময় পরিমাণ কথাটি উল্লেখ নেই। তবে যে সকল হাদীসে বসার পরিমাণ সম্পর্কে উল্লেখ আছে, যেমন মুসনাদ আহমাদ ও আবূ দাঊদে ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস আবূ নু‘আয়মে ‘আত্বা বর্ণিত হাদীস, বায়হাক্বী ও দারাকুত্বনীতে ‘আলী (রাঃ) বর্ণিত হদীস এসবগুলোই য‘ঈফ যা দলীলের যোগ্য নয়।

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এ হাদীস ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এবং তার অনুসারীদের মতের স্বপক্ষে দলীল, অর্থাৎ মুসল্লী যখন সালাতের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার সময় পরিমাণ বসে থাকার পর বাতকর্ম (বায়ু নিঃসরণ) করে তাহলে তার সালাত বৈধ। পক্ষান্তরে অন্য তিন ইমাম তথা মালিক শাফি‘ঈ ও আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ)-এর মতে এরূপ ব্যক্তির সালাত বাতিল।

কেননা তাদের মতে সালাত শেষে সালাম ফেরানো ফরয। এ হাদীস দ্বারা ইমাম আবূ হানীফার পক্ষে দলীল গ্রহণ করা সঠিক নয়। কেননা এটি একটি য‘ঈফ হাদীস যা দলীল গ্রহণের উপযুক্ত নয়। বিশেষভাবে এটি সেই সহীহ হাদীসের বিরোধী যাতে বলা হয়েছে। (وتحليلها التسليم) সালাম ফেরানোর পর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সম্পাদনকারীর জন্য কর্ম বৈধ হয় যা সালাতের অবস্থায় হারাম ছিল।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)