৯৮৭

পরিচ্ছেদঃ ১৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়িয ও যে সব কাজ করা জায়িয

৯৮৭-[১০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ গত রাতে একটি ’দুষ্ট জিন্’ আমার নিকট ছুটে এসেছে, আমার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিনষ্ট করার জন্য। আল্লাহ তা’আলা আমাকে ক্ষমতা দিলেন। ফলে আমি তাকে ধরে ফেললাম। আমি ইচ্ছা করলাম মসজিদে নাবাবীর কোন একটি খুঁটির সাথে একে বেঁধে ফেলতে, যাতে তোমরা সকলে একে দেখতে পারো। সে মুহূর্তে আমার ভাই সুলায়মান (রাঃ)-এর এ দু’আটি স্মরণ করলাম, ’’রাব্বি হাবলী মুলকান লা- ইয়ান্বাগী লিআহাদীম মিম্ বা’দী’’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে এমন একটি বাদশাহী দান করো, যা আমার পর আর কারো জন্যে সমীচীন হবে না)। তারপর আমি একে অপদস্ত করে ফেরত দিয়েছি। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ مَا لَا يَجُوْزُ مِنَ الْعَمَلِ فِي الصَّلَاةِ وَمَا يُبَاحُ مِنْهُ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الْجِنِّ تَفَلَّتَ الْبَارِحَةَ لِيَقْطَعَ عَلَيَّ صَلَاتِي فَأَمْكَنَنِي اللَّهُ مِنْهُ فَأَخَذْتُهُ فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْبِطَهُ عَلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ حَتَّى تَنْظُرُوا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ فَذَكَرْتُ دَعْوَةَ أَخِي سُلَيْمَانَ: (رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي)
فَرَدَدْتُهُ خَاسِئًا

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان عفريتا من الجن تفلت البارحة ليقطع علي صلاتي فامكنني الله منه فاخذته فاردت ان اربطه على سارية من سواري المسجد حتى تنظروا اليه كلكم فذكرت دعوة اخي سليمان رب هب لي ملكا لا ينبغي لاحد من بعديفرددته خاسىا

ব্যাখ্যা: (لِيَقْطَعَ عَلَيَّ صَلَاتِي) ‘‘আমার সালাত বিনষ্ট করার জন্য’’ জিন বিভিন্ন আকৃতি ধরতে সক্ষম। হয়তঃ সে কুকুরের আকৃতি ধরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করতে যেয়েছিল যাতে তাঁর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিনষ্ট হয়। যেমন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কালো শায়ত্বন (শয়তান) সালাত বিনষ্ট করে। অথবা জিনটি এমন কাজ করতে উদ্যত হয়েছিল যা থেকে তাকে বিরত রাখতে সীমাতিরিক্ত কাজ করতে হত যাতে সালাত বিনষ্ট হয়।

‘‘আমি তাকে বেঁধে রাখার ইচ্ছা করেছিলাম’’ হাদীসের এ অংশ প্রমাণ করে যে, মসজিদে বন্দী বেঁধে রাখা বৈধ।

শায়খ ‘আবদুল হক দেহলভী বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা সুলায়মান (আঃ)-কে যে বাদশাহী দিয়েছিলেন তাতে বায়ু, জিন্ ও শায়ত্বনকে তার অনুগত করে দিয়েছিলেন যা সুলায়মান (আঃ)-এর বিশেষত্ব বুঝায়। যদি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিন বেঁধে ফেলতেন তাহলে জিনের ওপর তাঁর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হত। এতে বুঝা যেত সুলায়মান (আঃ)-এর দু‘আ কবূল হয়নি। এজন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিন্ না বেঁধে তা ছেড়ে দিয়েছিলেন যাতে সুলায়মান (আঃ)-এর দু‘আ অক্ষুণ্ণ থাকে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)