৯৩৪

পরিচ্ছেদঃ ১৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা

৯৩৪-[১৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার কবরের কাছে দাঁড়িয়ে থেকে আমার ওপর দরূদ পড়ে আমি তা সরাসরি শুনতে পাই। আর যে ব্যক্তি দূর থেকে আমার প্রতি দরূদ পড়ে তা আমার কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। (বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ وَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ نَائِيًا أُبْلِغْتُهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلى علي عند قبري سمعته ومن صلى علي ناىيا ابلغته رواه البيهقي في شعب الايمان

ব্যাখ্যা: (مَنْ صَلّـى عَلَـىَّ عِنْدَ قَبْرِىْ) ‘‘যে ব্যক্তি আমার ওপর আমার কবরের নিকট দরূদ পাঠ করে’’ অর্থাৎ- আমার ঘরে আমার কবরের অতি নিকটবর্তী এটা সুস্পষ্ট কিন্তু বর্তমানে তা সম্ভব নয়। কেননা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর ঘর যেখানে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দাফন করা হয়েছে এবং তা বন্ধ করা হয়েছে।

কবরের চতুর্দিকে উঁচু দেয়াল রয়েছে, এ কারণে ঘরে প্রবেশ করা এবং ক্ববরের নিকটে যাওয়া সম্ভব না।

মা'নাবী  বলেন, মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাগণের) মাধ্যমে সংবাদ দেয়া হয় কেননা তাঁর রূহ্ সম্মানিত স্থানে অবস্থিত আর জমিনের জন্য নাবীগণের শরীর খাওয়া তথা পঁচে ফেলাটা হারাম। সুতরাং তার অবস্থা একজন নিদ্রিত ব্যক্তির মতো হতে পারে। আল্লাহই ভালো জানেন।

আর হাদীসটি তার কবরে উপস্থিত হয়ে দরূদ পাঠ ও অনুপস্থিত ব্যক্তির দরূদ পাঠের মধ্যে পার্থক্য প্রমাণ করে।

যে কবরের কাছে দরূদ পাঠ করে তার দরূদ পাঠ স্বয়ং রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুনতে পান আর যে দূর হতে পাঠ করে তারটা পৌঁছিয়ে দেয়া হয়।

সুতরাং হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যারা কবরের নিকট দরূদ পাঠ করে তাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ফাযীলাত যারা দূর হতে দরূদ পাঠ করে তাদের চেয়ে।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মাতের মধ্যে হতে যে কেউ তার ওপর দরূদ বা সালাম পেশ করে সেটা তাঁর কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া হয় এবং উপস্থাপন করা হয় দরূদ পাঠকারী চাই কাছে থাকুক আর দূরে থাকুক কোন অবস্থাতেই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুনতে পান না বরং তার নিকট পৌঁছানো হয় কোন প্রকার পার্থক্য ছাড়াই চাই দূরে হোক আর নিকটে হোক। আর এটা নিষেধাজ্ঞার হাদীসের বিপরীত যা ইতিপূর্বে গেছে যে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরকে মেলার স্থান বানাতে নিষেধ করেছেন আর যেখানেই থাকুক না কেন সেখান হতে দরূদ পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন এবং আরো এটা এ হাদীসের বিপরীত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন সাওয়াবের উদ্দেশে কোন স্থানে সফর করা তবে তিনটি মাসজিদ ব্যতিরেকে।


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)