৯০৯

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাশাহুদ

৯০৯-[৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতাম তখন এ দু’আ পাঠ করতাম, ’’আসসালা-মু ’আলাল্ল-হি ক্ববলা ’ইবা-দিহী, আসসালা-মু ’আলা- জিবরীলা, আসসালা-মু ’আলা- মীকায়ীলা, আসসালা-মু ’আলা- ফুলা-নিন’’- (অর্থাৎ- আল্লাহর ওপর সালাম তাঁর বান্দাদের ওপর পাঠাবার আগে, জিবরীলের উপর সালাম, মীকায়ীল-এর ওপর সালাম। সালাম অমুকের উপর। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করলেন, আমাদের দিকে ফিরে বললেন, ’’আল্লাহর ওপর সালাম’’ বলো না। কারণ আল্লাহ তো নিজেই সালাম (শান্তিদাতা)।

অতএব তোমাদের কেউ সালাতে বসে বলবে, ’’আততাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াস্ সলাওয়া-তু ওয়াত্ব ত্বইয়্যিবা-তু আসসালা-মু ’আলায়কা আইয়্যুহান নাবিইয়্যু ওয়ারহমাতুল্ল-হি ওয়াবার-কা-তুহু আসসালা-মু ’আলায়না ওয়া’আলা- ’ইবা-দিল্লা-হিস্ স-লিহীন’’

(অর্থাৎ- সব সম্মান, ’ইবাদাত, উপাসনা ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার ওপর আল্লাহর সব নেক বান্দাদের ওপর সালাম)।

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কোন ব্যক্তি এ কথাগুলো বললে এর বারাকাত আকাশ ও মাটির প্রত্যেক নেক বান্দার কাছে পৌঁছবে। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’’আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ’আবদুহূ ওয়া রসূলুহু’’- (অর্থাৎ- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বূদ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রসূল।)

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এরপর আল্লাহর বান্দার কাছে যে দু’আ ভালো লাগে সে দু’আ পাঠ করে আল্লাহর মহান দরবারে আকুতি মিনতি জানাবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ التَّشَهُّدِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْنَا السَّلَامُ عَلَى اللَّهِ قبل عباده السَّلَام على جِبْرِيل السَّلَام على مِيكَائِيل السَّلَام على فلَان وَفُلَان فَلَمَّا انْصَرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ قَالَ: «لَا تَقُولُوا السَّلَامُ عَلَى اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلَامُ فَإِذَا جَلَسَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلْيَقُلِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ فَإِنَّهُ إِذَا قَالَ ذَلِكَ أَصَابَ كُلَّ عَبْدٍ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ لْيَتَخَيَّرْ مِنَ الدُّعَاءِ أَعْجَبَهُ إِلَيْهِ فيدعوه»

وعن عبد الله بن مسعود قال كنا اذا صلينا مع النبي صلى الله عليه وسلم قلنا السلام على الله قبل عباده السلام على جبريل السلام على ميكاىيل السلام على فلان وفلان فلما انصرف النبي صلى الله عليه وسلم اقبل علينا بوجهه قال لا تقولوا السلام على الله فان الله هو السلام فاذا جلس احدكم في الصلاة فليقل التحيات لله والصلوات والطيبات السلام عليك ايها النبي ورحمة الله وبركاته السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين فانه اذا قال ذلك اصاب كل عبد صالح في السماء والارض اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله ثم ليتخير من الدعاء اعجبه اليه فيدعوه

ব্যাখ্যা: এটা শারী‘আতসম্মত যে, সালাতে সালামের পূর্বে দুনিয়া ও আখিরাত সংক্রান্ত দু‘আ চাওয়া বৈধ যদি সেখানে গুনাহের সংমিশ্রণ না থাকে। যেমন আখিরাত সংক্রান্ত ‘‘হে আল্লাহ! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও’’ বা দুনিয়া সংক্রান্ত ‘‘হে আল্লাহ! আমাকে সুন্দরী স্ত্রী দান করো এবং অফুরন্ত সম্পদ।’’

তবে যে চাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় বিষয়াদি যা ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ-এর হাদীস রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘তোমরা আল্লাহর নিকট চাও তোমাদের প্রয়োজনীয় বিষয়াদি এমন কি জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলে ও তোমাদের রান্নার পাতিলের লবণের জন্যও।’’


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)