৮৪৫

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা

৮৪৫-[২৪] ওয়ায়িল ইবনু হূজর (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি সালাতে ’’গয়রিল মাগযূবি ’আলায়হিম ওয়ালায্ যোয়া-ল্লীন’’ পড়ার পর সশব্দে ’আমীন’ বলেছেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, দারিমী ও ইবনু মাজাহ্)[1]

وَعَن وَائِل بن حجر قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يقْرَأ: (غير المغضوب عَلَيْهِم وَلَا الضَّالّين)
فَقَالَ: آمِينَ مَدَّ بِهَا صَوْتَهُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد والدارمي وَابْن مَاجَه

وعن واىل بن حجر قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقرا غير المغضوب عليهم ولا الضالينفقال امين مد بها صوته رواه الترمذي وابو داود والدارمي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: সালাতে ‘আমীন’ বলা সম্পর্কে ইমামদের মতভেদঃ আল জামা‘আতের ইজমা বা ঐকমত্য সিদ্ধান্ত যে, ফাতিহার সমাপ্তিতে ‘আমীন’ বলা মুস্তাহাব। জাহিরী সম্প্রদায় বলেন ওয়াজিব এবং রাফিজীগণ বলেন ‘আমীন’ বলা বিদ্‘আত। তাদের মতে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বাতিল হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত ইমাম ‘আমীন’ বলবে কি না? ইমাম আবূ হানীফাহ্ ও মালিক (রহঃ) বলেন, ইমাম ‘আমীন’ বলবে না। কেবলমাত্র মুক্তাদীগণই ‘আমীন’ বলবে। তবে ইমাম শাফি‘ঈ ও আহমাদ (রহঃ) বলেন, ইমামও ‘আমীন’ বলবে। কেননা, এক হাদীসে বর্ণিত আছে ইমাম যখন ‘আমীন’ বলবে, তোমরা তখন ‘আমীন’ বলবে।

যে সালাতে ক্বিরাআত (কিরআত) চুপে চুপে পড়তে হয় সে সালাতে, ‘আমীন’ চুপে চুপে বলতে হবে। এতে কারো দ্বিমত নেই। কিন্তু প্রকাশ্যে ‘আমীন’ বলার মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেনঃ সর্বাবস্থায় ইমাম ও মুক্তাদী উভয় চুপে চুপে ‘আমীন’ বলবে। ইমাম আহমাদ ও শাফি‘ঈ (রহঃ) বলেন যে, সালাত আদায়কারী ইমাম হন বা মুক্তাদী হন ‘আমীন’ প্রকাশ্যে উচ্চারণ করতে হবে। মহানাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যখন ইমাম ‘আমীন’ বলবে তখন তোমরা ‘আমীন’ বলবে। ‘আমীন’ জেহরী হওয়ার বিষয়টি বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)