৮১৪

পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়

৮১৪-[৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক (তাড়াহুড়া করে) এসে সালাতের কাতারে শামিল হয়ে গেল। তার শ্বাস উঠানামা করছিল। সে বললো, ’’আল্লা-হু আকবার, আলহামদু লিল্লা-হি হামদান কাসীরান তাইয়্যিবাম্ মুবা-রকান ফিহী’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ মহান। সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, এমন প্রশংসা যা অনেক বেশী পাক-পবিত্র ও বারাকাতময়)। সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের মধ্যে কে এ কথা বলেছে? সকলে চুপ হয়ে বসে আছে। তিনি আবার বললেন, তোমাদের মধ্যে কে এ কথাগুলো বলেছে? এবারও কেউ উত্তর দিল না। তিনি তৃতীয়বার জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কে এ বাক্যগুলো উচ্চারণ করেছে? যে ব্যক্তি এ কথাগুলো বলেছে সে আপত্তিকর কিছু বলেনি। এক ব্যক্তি আরয করলো, আমি যখন এসেছি, আমার শ্বাস উঠানামা করছিল। আমিই এ কথাগুলো বলেছি। এবার তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি দেখলাম বারোজন মালাক (ফেরেশতা) কার আগে কে আল্লাহর কাছে এ কথাগুলো নিয়ে যাবে, এ প্রতিযোগিতা করছে। (মুসলিম)[1]

بَابُ مَا يُقْرَاُ بَعْدَ التَّكْبِيْرِ

وَعَنْ أَنَسٍ: أَنَّ رَجُلًا جَاءَ فَدَخَلَ الصَّفَّ وَقد حفزه النَّفس فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاتَهُ قَالَ: «أَيُّكُمُ الْمُتَكَلِّمُ بِالْكَلِمَاتِ؟» فَأَرَمَّ الْقَوْمُ. فَقَالَ: «أَيُّكُمُ الْمُتَكَلِّمُ بِالْكَلِمَاتِ؟» فَأَرَمَّ الْقَوْمُ. فَقَالَ: «أَيُّكُمُ الْمُتَكَلِّمُ بِهَا فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْ بَأْسًا» فَقَالَ رَجُلٌ: جِئْتُ وَقَدْ حَفَزَنِي النَّفْسُ فَقَلْتُهَا. فَقَالَ: «لَقَدْ رَأَيْتُ اثْنَيْ عَشَرَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يرفعها» . رَوَاهُ مُسلم

وعن انس ان رجلا جاء فدخل الصف وقد حفزه النفس فقال الحمد لله حمدا كثيرا طيبا مباركا فيه فلما قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم صلاته قال ايكم المتكلم بالكلمات فارم القوم فقال ايكم المتكلم بالكلمات فارم القوم فقال ايكم المتكلم بها فانه لم يقل باسا فقال رجل جىت وقد حفزني النفس فقلتها فقال لقد رايت اثني عشر ملكا يبتدرونها ايهم يرفعها رواه مسلم

ব্যাখ্যা: দৌড়ে আসার কারণে শ্বাস বড় হয়ে যায়। যদিও এ হাদীসে ঐ কথাগুলো বর্ণনাকারীর জন্যে সু-সংবাদ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ম নয়। প্রকৃতপক্ষে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য সহীহ হাদীসে দৌড়ে এসে সালাতে শরীক হতে নিষেধ করেছেন। বরং ধীরস্থিরভাবে গাম্ভীর্য বজায় রেখে আসতে আদেশ করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)