৮১০

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন

৮১০-[২১] আবূ হুমায়দ আস্ সা’ইদী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের জন্য ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)মুখী হয়ে দাঁড়াতেন। হাত উপরে উঠিয়ে তিনি বলতেন, ’আল্লা-হ আকবার’। (ইবনু মাজাহ্)[1]

وَعَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ اسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَقَالَ: الله أكبر. رَوَاهُ ابْن مَاجَه

وعن ابي حميد الساعدي قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا قام الى الصلاة استقبل القبلة ورفع يديه وقال الله اكبر رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা: সালাতে ক্বিবলাকে সামনে করা শার‘ঈ রীতি এবং এ হাদীস তা’ প্রমাণিত। আর স্বাভাবিক অবস্থায় সবসময় ক্বিবলামুখী হওয়া ওয়াজিব।

হানাফীরা নিয়্যাতকে জিহ্বা দিয়ে স্বশব্দে করা মুস্তাহাব মনে করেন। যাতে মুখ ও অন্তরের অবস্থা একই মিল থাকে। কিন্তু স্বশব্দে নিয়্যাত করা শার‘ঈ নীতি নিয়ম নয়, চাই ইমাম হোক বা মুক্তাদী হোক, বা একাকি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারী হোক। মালিকীরা বলেন, স্বশব্দে নিয়্যাত করা মাকরূহ। সুতরাং কোন সন্দেহ নেই যে, সেটা বিদ্‘আত কেননা সেটা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ পদ্ধতিতে আসেনি। না য‘ঈফ পদ্ধতিতে না মুসনাদ না মুরসাল পদ্ধতিতে। না কোন সাহাবী উচ্চরণ করছেন, না কোন তাবি‘ঈ নিয়্যাত উচ্চারণ করছেন। তাই অবশ্যই সাব্যস্ত হয়ে গেল যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়াতেন। তারপর তাকবীর দিতেন এবং সালাত শুরু করতেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)