৭৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন

৭৯৬-[৭] উক্ত রাবী [মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেজোড় রাক্’আতে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) হতে উঠে দাঁড়াবার আগে কিছুক্ষণ সোজা হয়ে বসতেন। (বুখারী)[1]

بَابُ صِفَةِ الصَّلَوةِ

وَعَنْهُ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فَإِذَا كَانَ فِي وِتْرٍ مِنْ صَلَاتِهِ لَمْ يَنْهَضْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا. رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعنه انه راى النبي صلى الله عليه وسلم يصلي فاذا كان في وتر من صلاته لم ينهض حتى يستوي قاعدا رواه البخاري

ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয় রাক্‘আত আদায়ের পর আরামের জন্যে একটু বসতেন তারপর দাঁড়াতেন। জলসায়ে ইস্তিরাহাত শার‘ঈ বিধান ও সুন্নাত হওয়ার স্পষ্ট দলীল। ইমাম খল্লাদ তাঁর কিতাব শারহে কাবীর-এর মধ্যে ইমাম আহমাদ (রহঃ) জলসায়ে ইস্তিরাহাতের ক্ষেত্রে এ হাদীসকে গ্রহণ করেছে- এ কথাটি স্পষ্ট বলেছেন। ইমাম আহমাদ-এর দু’ উক্তির শেষটি হলো যে, তিনি জলসায়ে ইস্তিরাহাত করেছেন। ইমাম আবূ হানীফাহ্, ইমাম মালিক, সুফ্ইয়ান সাওরী, আওয়াবী, ইসহাক ও অন্যান্য হানাফী বিশেষজ্ঞগণ বলেন জলসায়ে ইস্তিরাহাত সুন্নাত নয়। ইমাম আহমাদ-এর দ্বিতীয় রিওয়ায়াত মতে জলসায়ে ইস্তিরাহাত না করাই উচিত। তাদের দলীলঃ তিরমিযীর এক রিওয়ায়াতে বর্ণিত আছে যে, আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেন, মহানাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেজোড় রাক্‘আতের পর সোজাসুজি পায়ের মুড়ির উপর দাঁড়িয়ে যেতেন। অর্থাৎ- সাজদার পর বসতেন না। ইমাম ত্বহাবী বলেছেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন বিশেষ ওযরের দরুন বসেছেন। যেমন- তিনি হয়ত শারীরিক ক্লান্তি অনুভব করেছেন অথবা বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার দরুন কখনো কখনো বসতেন। মুসান্নাফে আবূ শায়বাতে বর্ণিত আছে যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) না বসে সরাসরি দাঁড়িয়ে যেতেন। ইমাম শা‘বী বলেন, ‘উমার (রাঃ) ও ‘আলী  (রাঃ) এবং অন্যান্য প্রথম সারীর প্রবীণ সাহাবীগণও না বসে সরাসরি দাঁড়িয়ে যেতেন।

প্রথম ও তৃতীয় রাক্‘আতে দ্বিতীয় সাজদার পর দাঁড়াবার পূর্বে খানিকটা বসাকে জলসায়ে ইসতিরাহাত বলে। ইমাম শাফি‘ঈর মতে এবং ইমাম আহমাদের এক রিওয়ায়াতের মধ্যে এ সময় খানিকটা বসা সুন্নাত। আহলে হাদীসগণও এরূপ ‘আমল করে থাকেন। তারা অত্র হাদীস মতেই দলীল গ্রহণ করেন। এমনকি যদি কোন শাফি‘ঈ হানাফীদের ন্যায় না বসে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সম্পাদন করে তাহলে শাফি‘ঈ ‘উলামাগণ এটা আপত্তিকর মনে করেন না। এরূপে হানাফীরাও যদি তাদের ন্যায় জলসা করে সালাত সম্পাদন করে তাহলে হানাফী ‘উলামাগণ এটা আপত্তিকর মনে করেন না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)