৭৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে সুতরাহ্ (সুতরা)

৭৭৬-[৫] আবূ জুহায়ম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারী ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াতকারী এতে কি গুনাহ হয়, যদি জানতো তাহলে সে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারীর সামনে দিয়ে যাতায়াত অপেক্ষা চল্লিশ..... পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করতো। এ হাদীসের বর্ণনাকারী আবূ নাযর বলেন, ঊর্ধ্বতন রাবী চল্লিশ দিন অথবা চল্লিশ মাস অথবা চল্লিশ বছর বলেছেন তা আমার মনে নেই। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ السُّتْرَةِ

وَعَن أبي جهيم قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «لَوْ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يَقِفَ أَرْبَعِينَ خَيْرًا لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ» . قَالَ أَبُو النَّضر: لَا أَدْرِي قَالَ: «أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا أَو سنة»

وعن ابي جهيم قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لو يعلم المار بين يدي المصلي ماذا عليه لكان ان يقف اربعين خيرا له من ان يمر بين يديه» . قال ابو النضر: لا ادري قال: «اربعين يوما او شهرا او سنة»

ব্যাখ্যা: মুসল্লীর সাজদার সম্মুখে চলাফেরা করা নিষেধ করা হয়েছে। যে ব্যক্তি সাজদার স্থানের ভিতর দিয়ে অতিক্রম করবে সেই এ ধমকির আওতায় পড়বে। সাজদার স্থান দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ স্থান পর্যন্ত যেখানে মুসল্লী সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) দিবে। তার ভিতর দিয়ে সুতরাহ্ (সুতরা) বা আড়াল ছাড়া অতিক্রম করলে সে এ ধমকির আওতায় পড়ে যাবে। বিনয়ীভাবে তাকালে যে স্থানটুকু দৃষ্টিতে পড়বে ততটুকু সাজদার স্থান। সাজদার স্থান সে স্থানটুকু হতে পারে যা সিজদা্ (সিজদা/সেজদা), ক্বিয়াম (কিয়াম) ও রুকূ‘ করতে ব্যবহৃত হয়। তার ভিতর থেকে অতিক্রম করলে সেও এ ধমকির আওতায় পড়ে যাবে। তার ভিতর হাঁটাহাঁটি করা নিষেধ।

আন্তরিক বিনয়ীভাবে সালাত আদায় করতে যতদূর দৃষ্টি যায় ততটুকু সাজদার স্থান আল্লাহই ভালো জানেন। হাদীসে উল্লিখিত ৪০ দ্বারা ৪০ বছর বা ৪০ দিন বা ৪০ মাস উদ্দেশ্য নয়। কিছ সংখ্যক মুহাদ্দিসের মতে এখানের সংখ্যা সীমাবদ্ধতা উদ্দেশ্য নয়। বরং অনির্দিষ্টকাল উদ্দেশ্য। যেমন আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত (لَكَنْ اَنْ يِّقِفَ مِاءَةُ عَامٍ خَيْرًا لَّه مِنَ الْخُطْوَةِ الَّتِىْ خَطَاهَا) বুঝা গেল, সাজদার স্থান থেকে অতিক্রম করা শক্ত গুনাহ, কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ। সেটা থেকে বেঁচে থাকা জরুরী।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)