৭৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান

৭৫৩-[৬৫] আবূ যার গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! দুনিয়াতে সর্বপ্রথম কোন্ মাসজিদ নির্মিত হয়েছে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’মাসজিদুল হারাম’। আমি বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, ’মাসজিদুল আক্বসা (আকসা)’। আমি বললাম, এ উভয় মাসজিদ তৈরির মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত? তিনি বললেন, চল্লিশ বছরের পার্থক্য। তারপর দুনিয়ার সব জায়গায়ই তোমার জন্য মাসজিদ, সালাতের সময় যেখানেই হবে সেখানেই সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে নিবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ فِي الْأَرْضِ أَوَّلُ؟ قَالَ: «الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ» قَالَ: قُلْتُ: ثُمَّ أَيْ؟ قَالَ: «ثُمَّ الْمَسْجِدُ الْأَقْصَى» . قُلْتُ: كَمْ بَيْنَهُمَا؟ قَالَ: «أَرْبَعُونَ عَامًا ثُمَّ الْأَرْضُ لَكَ مَسْجِدٌ فَحَيْثُمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلَاةُ فصل»

وعن ابي ذر قال قلت يا رسول الله اي مسجد وضع في الارض اول قال المسجد الحرام قال قلت ثم اي قال ثم المسجد الاقصى قلت كم بينهما قال اربعون عاما ثم الارض لك مسجد فحيثما ادركتك الصلاة فصل

ব্যাখ্য : ঐতিহাসিক তথ্যপঞ্জি অনুসারে ইবরাহীম (আঃ) ও সুলায়মান (আঃ)-এর সময়কালের পার্থক্য এক হাজার বছরেরও বেশি। অথচ হাদীসে মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুল আক্বসা (আকসা) নির্মাণের মধ্যকার পার্থক্য মাত্র চল্লিশ বছর। এতে একটি তথ্যবিভ্রাটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকৃত সত্য হলো, দু’টি মাসজিদই আমাদের পিতা আদম (আঃ) নির্মাণ করেছিলেন এবং তাঁর দ্বারা দু’টি মাসজিদ নির্মাণের মধ্যকার ব্যবধান ছিল চল্লিশ বছর। পরবর্তীতে এই দু’ ‘ইবাদাতসহ পুনর্নির্মাণ বা সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দেয়। মাসজিদুল হারাম সংস্কার করে পুনঃনির্মাণ করেন ইবরাহীম (আঃ) এবং মাসজিদুল আক্বসা (আকসা) পুনঃনির্মিত হয় সুলায়মান (আঃ)-এর সময় এবং তিনি জিনদের দ্বারা এ নির্মাণ কাজ করিয়েছিলেন এবং ঐ কাজের তদারকি করা অবস্থায় লাঠিতে ভর দিয়েই তিনি ইন্তিকাল করেন। ইব্রাহীম ও সুলায়মান (আঃ) মাসজিদ দু’টির সংস্কারক বা পুনঃনির্মাণকারী ছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না।

এরপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অতঃপর পৃথিবীর যে কয়টি স্থানে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় নিষিদ্ধ হওয়ার কথা বর্ণিত আছে তা ব্যতীত সমস্ত পৃথিবীই বা ভূ-পৃষ্ঠতেই সালাত আদায় বৈধ। যেখানে সালাতের সময় উপস্থিত হবে সেখানেই সালাত আদায় করবে। সালাত প্রথম ওয়াক্তে আদায় করার প্রতি এখানে ইঙ্গিত করা হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)