৭৪১

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান

৭৪১-[৫৩] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াহূদীদের একজন ’আলিম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ জায়গা সবচেয়ে উত্তম? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নীরব রইলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যতক্ষণ জিবরীল (আঃ) আমীন না আসবেন আমি নীরব থাকবো। তিনি নীরব থাকলেন। এর মধ্যে জিবরীল (আঃ) আসলেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিবরীল (আঃ) কে ঐ প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করলেন। জিবরীল (আঃ) উত্তর দিলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাকারীর চেয়ে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি বেশি কিছু জানে না। তবে আমি আমার রবকে জিজ্ঞেস করবো। এরপর জিবরীল (আঃ) বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমি আল্লাহর এত নিকটে গিয়েছিলাম যা কোন দিন আর যাইনি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে হে জিবরীল? তিনি বললেন, তখন আমার ও তাঁর মধ্যে মাত্র সত্তর হাজার নূরের পর্দা ছিল। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থান হলো বাজার, আর সবচেয়ে উত্তম স্থান হলো মাসজিদ। ইবনু হিব্বান; তাঁর সহীহ গ্রন্থে ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।[1]

وَعَن أبي أُمَامَة قَالَ: إِنَّ حَبْرًا مِنَ الْيَهُودِ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ الْبِقَاعِ خَيْرٌ؟ فَسَكَتَ عَنْهُ وَقَالَ: «أَسْكُتُ حَتَّى يَجِيءَ جِبْرِيلُ» فَسَكَتَ وَجَاءَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَسَأَلَ فَقَالَ: مَا المسؤول عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ وَلَكِنْ أَسْأَلُ رَبِّيَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى. ثُمَّ قَالَ جِبْرِيلُ: يَا مُحَمَّدُ إِنِّي دَنَوْتُ مِنَ اللَّهِ دُنُوًّا مَا دَنَوْتُ مِنْهُ قطّ. قَالَ: وَكَيف كَانَ ياجبريل؟ قَالَ: كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ سَبْعُونَ أَلْفَ حِجَابٍ مِنْ نُورٍ. فَقَالَ: شَرُّ الْبِقَاعِ أَسْوَاقُهَا وَخَيْرُ الْبِقَاع مساجدها

وعن ابي امامة قال ان حبرا من اليهود سال النبي صلى الله عليه وسلم اي البقاع خير فسكت عنه وقال اسكت حتى يجيء جبريل فسكت وجاء جبريل عليه السلام فسال فقال ما المسوول عنها باعلم من الساىل ولكن اسال ربي تبارك وتعالى ثم قال جبريل يا محمد اني دنوت من الله دنوا ما دنوت منه قط قال وكيف كان ياجبريل قال كان بيني وبينه سبعون الف حجاب من نور فقال شر البقاع اسواقها وخير البقاع مساجدها

ব্যাখ্যা: এ হাদীস হতে আমরা প্রথমে যে শিক্ষা লাভ করি তা হচ্ছে, কোন বিষয়ে পুরোপুরি অবগত না হয়ে বলা সঙ্গত নয়। কিংবা নিজ জ্ঞানমতে বলে দেয়াও ঠিক নয়। সেজন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল (আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে জ্ঞান না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। দ্বিতীয় শিক্ষা এই যে, বান্দা আল্লাহর দিকে অগ্রসর হলে আল্লাহও তার দিকে এগিয়ে আসেন। তৃতীয়ত আল্লাহ জিবরীল (আঃ) কে এই অবকাশ দেননি যাতে তিনি [জিবরীল (আঃ)] তাঁকে দেখতে পান, কারণ তা’ সম্ভব ছিল না। তাই তিনি নূরের পর্দায় আড়াল হতে কথা বলেছেন।

চতুর্থতঃ মূল প্রশ্ন, দুনিয়ার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থান সম্বন্ধে। মাসজিদ সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) এবং যিকর ইলাহীর জন্য খাস জায়গা, এখানে বান্দা তাঁর প্রভুর স্মরণে রত থাকে। ফলে তা’ নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠতম স্থান। অন্যদিকে বাজারে শুধুই দুনিয়াদারী নিয়ে মানুষ ব্যাস্ত থাকে, আল্লাহর স্মরণ সেখানে খুব অল্পই হয় যদি না ক্রেতা ও বিক্রেতা লেনদেনের সময় আল্লাহভীতি বজায় রাখে। ফলে এটা নিকৃষ্টতম স্থানই বটে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)