৭১৫

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান

৭১৫-[২৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝখানেই ’ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)হ্ (কিবলাহ/কিবলা)’। (তিরমিযী)[1]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ قِبْلَةٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

عن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما بين المشرق والمغرب قبلة رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: ‘উলামাদের ভাষ্যমতে এ হাদীসটি শামবাসী (সিরিয়াবাসী) ও মদীনাহ্বাসীর জন্য খাস।

আর হাদীসটি দলীল হিসেবে প্রমাণ করে অবশ্যই ক্বিবলামুখী হওয়া তাদের জন্য যারা মনে করে পৃথিবীর কিছু কিছু প্রান্তে কা‘বার অভিমুখী হওয়ার প্রয়োজন নেই।

আপনি যদি দেশসমূহের পরিচিতি ও প্রদেশের সীমানা সম্পর্কে পারঙ্গম হন তাহলে বুঝতে পারবেন যে, মানুষের কা‘বার দিকে অভিমুখী হওয়াটা কেন্দ্র হিসেবে বৃত্তের মতো।

সুতরাং যে কা‘বাঘর হতে পশ্চিম দিকে হবে সালাতে তার ক্বিবলাহ্ (কিবলাহ/কিবলা) হবে পূর্ব দিকে। যে পূর্ব দিকে হবে তার ক্বিবলাহ্ হবে পশ্চিম দিকে। কা‘বাহ্ ঘর হতে যে উত্তর দিকে হবে তার ক্বিবলাহ্ হবে দক্ষিণে। যে দক্ষিণে হবে তার ক্বিবলাহ্ হবে উত্তরে। আর যে কা‘বাহ্ ঘর হতে পূর্ব এবং দক্ষিণের মাঝামাঝিতে অবস্থানে করবে তার ক্বিবলাহ্ হবে উত্তর ও পশ্চিমের মধ্যে। আর যে দক্ষিণ ও পশ্চিমের মধ্যে হবে তার ক্বিবলাহ্ উত্তর ও পূর্বের মধ্যবর্তী স্থানে আর যে পূর্ব ও উত্তরের মধ্য হবে তার ক্বিবলাহ্ হবে দক্ষিণ ও পশ্চিমের মধ্যবর্তীস্থানে আর যে উত্তর ও পশ্চিমে হবে তার ক্বিবলাহ্ হবে দক্ষিণ ও পূর্বের মধ্যবর্তী স্থানে।

অনেকে মনে করেন যে, ক্বিবলামুখী হওয়ার ব্যাপারে যার সন্দেহ হয় তার চেষ্টানুযায়ী সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) যে দিকেই হোক না কেন তা সহীহ বলে গণ্য হবে যেমন আল্লাহ বলেনঃ ‘‘পূর্ব-পশ্চিম আল্লাহরই। অতএব তোমরা যেদিকে মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহর চেহারা।’’ (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ১১৫)

কারো মতে এটা প্রযোজ্য সওয়ারীবস্থায় নফল সালাতের ক্ষেত্রে যেদিকেই মুখ হোক।

কারো মতে অসুস্থ ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট যে ক্বিবলামুখী হতে পারে না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)