৭১২

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান

৭১২-[২৪] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মৃত্যুশয্যায় বলেছেনঃ আল্লাহর অভিশাপ ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রতি। তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْمَسَاجِدِ وَمَوَاضِعِ الصَّلَاةِ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي لَمْ يَقُمْ مِنْهُ: «لَعَنَ اللَّهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِد»

وعن عاىشة رضي الله عنها ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال في مرضه الذي لم يقم منه لعن الله اليهود والنصارى اتخذوا قبور انبياىهم مساجد

ব্যাখ্যা: লা‘নাত তথা অভিসম্পাত শব্দটি হারাম শব্দের চেয়েও বেশি হওয়ার নিদর্শন বহন করে।

নাবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করার নিষেধাজ্ঞার কারণ হলো মূর্তিপূজার মতো সাদৃশ্য হওয়া। যারা এমন জড়পদার্থকে সম্মান করে যা শুনে না এবং কারো উপকার কিংবা ক্ষতিও করতে পারে না তা হতে দূরে থাকা এবং এ পথকে বন্ধ করে দেয়া।

তুরবিশতী হানাফী এর ব্যাখ্যায় বলেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইয়াহূদী ও নাসারাদের এমন কাজ প্রত্যাখ্যানের কারণ মূলত দু’টি।

প্রথমত তারা নাবীদের ক্ববরে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করে তাঁদের সম্মানার্থে। দ্বিতীয়ত তাদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের চিন্তা-চেতনা নাবীদের দাফনের স্থানে সালাত আদায় ও তাদের এ রকম কাজ যাতে বিশ্বাস থাকে যে, আল্লাহর নিকট তাদের (নাবীদের) বিশাল ক্ষমতা রয়েছে।

আমি (ভাষ্যকার) বলি, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিষেধাজ্ঞা ও সতর্ক করার কারণ এজন্য যে, তাদের সালাত ক্ববরের নিকটে। তাদের নিকট হতে সাহায্য লাভ এবং তাদের রূহ্ হতে বারাকাত লাভের উদ্দেশে। নিঃসন্দেহে এমনটি করা বড় ধরনের ফাসাদ। এজন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মাতের কাউকে কোন নাবী বা কোন বুযুর্গ ব্যক্তির ক্ববরের নিকট আবেদন করা, সাহায্য চাওয়া, বারাকাত গ্রহণ করা ইত্যাদি বিষয় অনুমোদন দেননি। বরং আদেশ করেছেন কবরবাসীকে সালাম প্রদান ও তাদের জন্যে ইস্তিগফার কামনা ও দু‘আ করার জন্য।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)