৬৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান

৬৯৮-[১০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল মসজিদে যাবে, আল্লাহ তা’আলা তার প্রত্যেকবারে যাতায়াতের জন্য জান্নাতে একটি মেহমানদারীর ব্যবস্থা করে রাখবেন। চাই সে সকালে যাক কী সন্ধ্যায়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْمَسَاجِدِ وَمَوَاضِعِ الصَّلَاةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ أَوْ رَاحَ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُ نُزُلَهُ مِنَ الْجَنَّةِ كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ»

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من غدا الى المسجد او راح اعد الله له نزله من الجنة كلما غدا او راح

ব্যাখ্যা : হাদীসের ভাষ্যমতে এই ব্যক্তি খাস করে ‘ইবাদাতের উদ্দেশে আসবে। আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হচ্ছে অন্যতম ‘ইবাদাত।

(أَعَدَّ اللّهُ لَه نُزُلَه مِنَ الْجَنَّةِ كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ) আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে অতিথি আপ্যায়ন প্রস্ত্তত করে রাখবেন। তার প্রত্যেকবারের জন্য যখন সে সকালে বা বিকালে যাবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তাদের জন্য রুযী থাকবে।’’ (সূরাহ্ মারইয়াম ১৯ : ৬২)

এর দ্বারা উদ্দেশ্য সর্বদা নির্ধারিত দু’টি সময় না।

মাযহার বলেনঃ মানুষের স্বভাব হলো যখনই কেউ তাদের বাসায় মেহমান হিসেবে আসে তখনই খাদ্য উপস্থাপন করে তথা আপ্যায়ন করায়।

মাসজিদ আল্লাহর ঘর। যখনই এ মসজিদে প্রবেশ করে, দিনে হোক আর রাতে হোক, আল্লাহ তাকে জান্নাতের কোন না কোন প্রতিদান দিবেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা সবচেয়ে বড় সম্মানকারী, তিনি মুহসিনদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)