৬৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান

৬৭৮-[২৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বারো বছর পর্যন্ত আযান দিবে তাঁর জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায় এবং তার আযানের বিনিময়ে প্রতিদিন তার ’আমলনামায় ষাটটি নেকী ও প্রত্যেক ইক্বামাতের (ইকামত/একামত) পরিবর্তে ত্রিশ নেকী লেখা হবে। (ইবনু মাজাহ্)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَذَّنَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ وَكُتِبَ لَهُ بِتَأْذِينِهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ سِتُّونَ حَسَنَةً وَلِكُلِّ إِقَامَة ثَلَاثُونَ حَسَنَة» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه

وعن ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من اذن ثنتي عشرة سنة وجبت له الجنة وكتب له بتاذينه في كل يوم ستون حسنة ولكل اقامة ثلاثون حسنة رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা: হাদীসে আযান ও ইক্বামাত দেয়ার ফাযীলাত আলোচনা করা হয়েছে। যে ব্যক্তি দীর্ঘ সময় আযান দেয় আল্লাহ তার পুরস্কারও ঐ রকম বড় ধরনের দিয়ে থাকেন। এমনকি তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দেন। কারণ সে দীর্ঘদিন তাওহীদের সাক্ষ্য দিয়েছে এবং আল্লাহর রহমাত কামনা করেছে। ‘প্রতিদিনের জন্য তার সাওয়াব লেখা হয়’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো প্রত্যেক আযানের জন্য। আযানের সাওয়াবের চেয়ে ইক্বামাতের সাওয়াব অর্ধেক উল্লেখ করা হয়েছে। এর কারণ হলো, ইক্বামাত দেয়াটা আযানের তুলনায় অনেকটা সহজ। কেননা, আযান দেয়ার মধ্যে শব্দগুলো বড় করে উচ্চারণ করতে হয় এবং টেনে বলতে হয়। আর যে ‘আমলের মধ্যে কষ্ট বেশী হয় সেই ‘আমলের সাওয়াবও বেশী হয়। অথবা এর আরো একটি কারণ হতে পারে যে, আযানের শব্দগুলো বলতে হয় দুইবার করে কিন্তু ইক্বামাতের শব্দগুলো বলতে হয় একবার করে। এজন্য আযানের তুলনায় ইক্বামাতের সাওয়াব অর্ধেক করা হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)