পরিচ্ছেদঃ
২৬৩। তোমরা তোমাদের চাচী খেজুর গাছকে সম্মান কর। কারণ তাঁকে তোমাদের পিতা আদমকে সৃষ্টিকৃত মাটির অবশিষ্টাংশ দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। মারইয়াম বিনতে ইমরান যে বৃক্ষের নীচে সন্তান প্রসব করেছেন, তার চেয়ে আল্লাহর নিকট সম্মানিত বৃক্ষ আর নেই। অতএব তোমরা তোমাদের নারী মাতাকে কাঁচা খেজুর খাওয়াও। যদি কাঁচা খেজুর না থাকে তাহলে শুকনা খেজুর।
হাদীসটি জাল।
এটি উকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৪৩০), আবুশ শাইখ “আল-আমসাল" গ্রন্থে (নং ২৬৩), ইবনু আদী (১/৩৩০), ইবনু হিব্বান "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (৩/৪৪-৪৫), বাগেন্দী “হাদীস শায়বান” গ্রন্থে (১/১৯০) এবং তার থেকে ইবনু আসাকির (২/৩০৯/২, ১৯/২৬৭/১), আবু নু’য়াইম “আত-তিব্ব” গ্রন্থে (২/২৩/২) এবং "আল-হিলইয়াহ" গ্রন্থে (৬/১২৩) মাসরুর ইবনু সাঈদ আত-তামীমী সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন।
আবূ নু’য়াইম বলেনঃ উরওয়া হতে আওযাঈর এ হাদীসটি গারীব। মাসরূর এককভাবে এটিকে বর্ণনা করেছেন। উকায়লী বলেনঃ তার হাদীসটি নিরাপদ নয়। তাকে ছাড়া অন্য কারো মাধ্যমে এটিকে জানা যায় না।
ইবনু আসাকির বলেনঃ উরওয়া আলী (রাঃ)-কে পায়নি, অর্থাৎ সনদটি মুনকাতি বিচ্ছিন্ন। হাদীসটি গরীব এবং তামীমী মাজহুল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি মিথ্যার দোষে দোষী। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ ইবনু হিব্বান তার সম্পর্কে অনুসন্ধান করে বলেছেনঃ তিনি আওযাঈ হতে বহু মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন।
সুয়ূতী তার সমালোচনা করে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/১৫৬) বলেছেনঃ আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) এর হাদীসে তার প্রথমাংশের শাহেদ রয়েছে এবং শেষাংশেরও শাহেদ আছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আবু সাঈদ (রাঃ) এর (২৬২) হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল। সবার ঐক্যমতে সেটি শাহেদ হবার যোগ্য নয়। তার অবস্থা সম্পর্কে এটির পূর্বেই আলোচনা করেছি।
আরো একটি শাহেদ হচ্ছে আবু উমামা (রাঃ)-এর হাদীস। সেটি হচ্ছে ২৬০ নং হাদীস। সেটি যে দুর্বল তা সেখানেই আলোচনা করা হয়েছে।
أكرموا عمتكم النخلة، فإنها خلقت من فضلة طينة أبيكم آدم، وليس من الشجر شجرة أكرم على الله من شجرة ولدت تحتها مريم بنت عمران، فأطعموا نساءكم الوالد الرطب، فإن لم يكن رطبا فتمر
موضوع
-
أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (430) وأبو الشيخ في " الأمثال " (رقم 263) وابن عدي (330 / 1) وابن حبان في " الضعفاء " (3 / 44 - 45 حلب) والباغندي في " حديث شيبان وغيره " (190 / 1) وعنه ابن عساكر (2 / 309 / 2 و19 / 267 / 1) وأبو نعيم في " الطب " (2 / 23 / 2) و" الحلية " (6 /123) والسياق له من طريق مسرور بن سعيد التميمي عن الأوزاعي عن عروة بن رويم عن علي مرفوعا. وقال أبو نعيم: غريب من حديث الأوزاعي عن عروة تفرد به مسرور بن سعيد، وقال العقيلي: حديثه غير محفوظ ولا يعرف إلا به، وقال ابن عساكر: عروة لم يدرك عليا، والحديث غريب، والتميمي مجهول
قلت: بل هو متهم، قال الذهبي في " الميزان ": غمزه ابن حبان فقال: يروي عن الأوزاعي المناكير الكثيرة
ومن طريق أبي نعيم أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (1 / 184) وقال: لا يصح، مسرور منكر الحديث يروي عن الأوزاعي المناكير، وعقب عليه السيوطي في " اللآليء " (1 / 156) بقوله: أخرجه العقيلي وقال: أنه غير محفوظ، لا يعرف إلا بمسرور، وأخرجه ابن عدي وقال: هذا منكر عن الأوزاعي، وعروة عن علي مرسل، ومسرور غير معروف لم أسمع بذكره إلا في هذا الحديث، وأخرجه أبو يعلى في " مسنده " عن شيبان به، وأخرجه ابن أبي حاتم وابن مردويه معا في " التفسير " وابن السني، ولأوله شاهد من حديث أبي سعيد الخدري، ولآخره شاهد
قلت: حديث أبي سعيد الخدري ضعيف جدا فلا يصلح شاهدا اتفاقا، وقد بينت حاله قبيل هذا، وأما الشاهد الآخر فهو حديث أبي أمامة الذي تقدم برقم (260) وقد بينا هناك أن إسناده ضعيف، ثم ذكر الحديث الآتي