৬৭২

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান

৬৭২-[১৯] সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’ সময়ের দু’আ ফিরিয়ে দেয়া হয় না অথবা (তিনি বলেছেন) কমই ফিরিয়ে দেয়া হয়। আযানের সময়ের দু’আ ও যুদ্ধের সময়ের দু’আ, যখন পরস্পর কাটাকাটি, মারামারি আরম্ভ হয়ে যায়। আর এক বর্ণনায় আছে বৃষ্টি বর্ষণের সময়ে দু’আ। (আবূ দাঊদ)[1] তবে দারিমীর বর্ণনায় ’’বৃষ্টির বর্ষণের’’ কথাটুকু উল্লেখ হয়নি।

وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثِنْتَانِ لَا تُرَدَّانِ أَوْ قَلَّمَا تُرَدَّانِ الدُّعَاءُ عِنْدَ النِّدَاءِ وَعِنْدَ الْبَأْسِ حِينَ يُلْحِمُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا» وَفِي رِوَايَةٍ: «وَتَحْتَ الْمَطَرِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ «وَتَحْت الْمَطَر»

وعن سهل بن سعد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ثنتان لا تردان او قلما تردان الدعاء عند النداء وعند الباس حين يلحم بعضهم بعضا وفي رواية وتحت المطر رواه ابو داود والدارمي الا انه لم يذكر وتحت المطر

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে দু‘আ কবূলের সময়ের কথা বলা হয়েছে। ডাকার সময় অর্থাৎ- যখন আযান চলে অথবা আযান শেষ হওয়ার পর যে দু‘আ করা হয় তা আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। বরং কবূল করেন। যুদ্ধের সময়ে যে দু‘আ করা হয়, আল্লাহ তা‘আলা তা কবূল করে নেন। অর্থাৎ- কাফিরদের সাথে যুদ্ধের চরম মুহূর্তে যদি আল্লাহর কাছে দু‘আ করা হয় আল্লাহ সে দু‘আ ফিরিয়ে দেন না বরং কবূল করে নেন। আল্লাহর নিকট বৃষ্টির সময় দু‘আ করলে আল্লাহর সে দু‘আ কবূল করে নেন। অর্থাৎ- কোন ব্যক্তির উপর যখন বৃষ্টি পতিত হয় তখন আল্লাহ তার দু‘আ কবূল করেন। কেননা, যখন বৃষ্টি হয় তখন আল্লাহর রহমাত ও বারাকাত নাযিল হয়। সুতরাং যখন রহমাত ও বারাকাত নাযিল হয়, তখন দু‘আ করা উচিত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)