৬৬২

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান

৬৬২-[৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক দুই আযানের মধ্যখানে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আছে। প্রত্যেক দুই আযানের মধ্যখানে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আছে। অতঃপর তৃতীয়বার বললেনঃ এই সালাত ওই ব্যক্তির জন্য যে আদায় করতে চায়, ঐ ব্যক্তির জন্য যে আদায় করতে চায়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ فَضْلِ الْاَذَانِ وَاِجَابَةِ الْـمُؤَذِّنِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلَاةٌ بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلَاةٌ» ثُمَّ قَالَ فِي الثَّالِثَةِ «لِمَنْ شَاءَ»

وعن عبد الله بن مغفل قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم بين كل اذانين صلاة بين كل اذانين صلاة ثم قال في الثالثة لمن شاء

ব্যাখ্যা: এ হাদীসে এ কথার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, দুই আযান তথা আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে হবে। তবে এখানে আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বলতে মাগরিবের ফরয সালাতের পূর্বেকার দুই রাক্‘আত নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করাকে বুঝানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে ‘আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল (রাঃ)-এর মত পাওয়া যায় যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের পূর্বে সালাত আদায় করতে বলেছেন। এ মর্মে ইরশাদ হচ্ছে (قَالَ النَّبِىُّ ﷺ صَلُّوْا قَبْلَ صَلَوةِ الْمَغْرِبِ) অর্থাৎ- তোমরা মাগরিবের (ফরয) সালাতের পূর্বে সালাত আদায় কর। (বুখারী ও মুসলিম)

মনে রাখতে হবে যে, এ সালাত আদায় করার ক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত আদায় করতে বলেছেন এজন্য যে, আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ের দু‘আ আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। সহীহ ইবনে হিব্বান নামক হাদীসের কিতাবে ‘আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল (রাঃ) এর বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের ফারযের (ফরযের/ফরজের) পূর্বে দুই রাক্‘আত সালাত আদায় করতেন। আরেক হাদীসে পাওয়া যায় যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের পূর্বে দুই রাক্‘আত নফল সালাত আদায় করলেন এবং সাহাবীগণকেও আদায় করতে বললেন। এটা মুহাম্মাদ ইবনু নাসর কর্তৃক বর্ণিত। মোটকথা, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের ফরয সালাতের পূর্বে নফল সালাত আদায় করতেন- এ সংক্রান্ত হাদীস সহীহ। এ ব্যাপারে বুখারী, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, নাসায়ী, আবূ দাঊদ, ইবনে মাজাহ প্রভৃতি কিতাবে বর্ণিত হাদীস প্রমাণ করে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণ এবং তাবি‘ঈগণ- সকলেই এ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। সুতরাং এ ব্যাপারে হানাফী ও মালিকী ও তাদের সমর্থনকারীর সিদ্ধান্তের উপর ‘আমল করা যাবে না। কেননা তাদের সিদ্ধান্ত সুস্পষ্ট হাদীসের হুকুমের বিপরীত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)