৬৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান

৬৫৬-[৩] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যতদূর পর্যন্ত মানুষ, জিন্ বা অন্য কিছু মুয়াযযিনের আযানের ধ্বনি শুনবে তারা সকলেই কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করবে। (বুখারী)[1]

بَابُ فَضْلِ الْاَذَانِ وَاِجَابَةِ الْـمُؤَذِّنِ

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَسْمَعُ مَدَى صَوْتِ الْمُؤَذِّنِ جِنٌّ وَلَا إِنْسٌ وَلَا شَيْءٌ إِلَّا شَهِدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن ابي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يسمع مدى صوت الموذن جن ولا انس ولا شيء الا شهد له يوم القيامة رواه البخاري

ব্যাখ্যা: এ হাদীসে মুয়াযযিনের ফাযীলাত বর্ণনা করা হয়েছে। সেই সাথে আযানের শব্দ জোরে উচ্চারণ করারও ইঙ্গিত পাওয়া যায়। হাদীসে ‘মাদা’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থ শেষসীমা, শেষ প্রান্ত অর্থাৎ- আযানের শব্দ দূরে যেতে যেতে, এমন স্থানে শেষ হবে যার পরে আযানের কোন শব্দ বুঝা যায় না। এই দূরত্বের মধ্যে মানুষ, জিন, পশু-পাখী- যারা এ শব্দ শুনবে তারা মুয়াযযিনের এ খিদমাত ও তার ঈমানের সাক্ষ্য দিবে।

ইবনে খুযায়মার বর্ণনায় রয়েছে যে, জিন্, ইনসান, পাথর, গাছ-পালা সবকিছুই সাক্ষ্য দেবে। আবূ দাঊদে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে এ কথাও উল্লেখ রয়েছে যে, প্রত্যেক শুকনো এবং ভেজা জিনিস মুয়াযযিনের জন্য সাক্ষ্য দেবে। জড় বস্ত্তর মধ্যেও আল্লাহ তা‘আলা এক ধরনের অনুভূতি দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা ১৭ নং সূরার ৪৪ নং আয়াতে উল্লেখ করেছেন যে, وَإِنْ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِه

অর্থাৎ- ‘‘এমন কোন জিনিস নেই যা আল্লাহর প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করে না।’’

সূরাহ্ আল বাক্বারার ৭৪ নং আয়াতে পাথর সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে যে, আল্লাহর ভয়ে কোন কোন পাথর নীচে পড়ে যায়। আবার হাদীসে এ কথাও রয়েছে যে, এক পাহাড় অপর পাহাড়কে বলে, তোমার উপর দিয়ে কি এমন কেউ অতিক্রম করেছে যে আল্লাহকে স্মরণ করে? পাহাড় যখন বলে, হ্যাঁ, তখন বলা হয় সুসংবাদ গ্রহণ করো।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)