৬৫২

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযান

৬৫২-[১২] ইমাম মালিক-এর নিকট বিশ্বস্ত সূত্রে এ হাদীসটি পৌঁছেছে যে, একজন মুয়াযযিন ’উমার (রাঃ) কে ফজরের (ফজরের) সালাতের জন্য জাগাতে এলে তাকে নিদ্রিত পেলেন। তখন মুয়াযযিন বললেন, ’’আসসলা-তু খয়রুম মিনান্ নাওম’’ (সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ঘুম থেকে উত্তম)। ’উমার (রাঃ) তাকে এ বাক্যটি ফাজ্‌রের (ফজরের) সালাতের আযানে যোগ করার নির্দেশ দিলেন। (মু’আত্তা)[1]

وَعَن مَالك بَلَغَهُ أَنَّ الْمُؤَذِّنَ جَاءَ عُمَرَ يُؤْذِنُهُ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ فَوَجَدَهُ نَائِمًا فَقَالَ: الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ فَأَمَرَهُ عُمَرُ أَنْ يَجْعَلَهَا فِي نِدَاءِ الصُّبْح. رَوَاهُ فِي الْمُوَطَّأ

وعن مالك بلغه ان الموذن جاء عمر يوذنه لصلاة الصبح فوجده ناىما فقال الصلاة خير من النوم فامره عمر ان يجعلها في نداء الصبح رواه في الموطا

ব্যাখ্যা: এ হাদীস এর বাহ্যিক বর্ণনা প্রমাণ করে যে, ফাজরের (ফজরের) আযানের মধ্যে ‘‘আস্ সলা-তু খয়রুম্ মিনান্ নাওম’’ বাক্য প্রবেশ করানো হয়েছে ‘উমার (রাঃ)-এর আদেশে। অথচ এ বাক্যটি ফাজরের (ফজরের) আযানের মধ্যে বলার জন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ)-কে আদেশ দিয়েছিলেন, এ কথা প্রমাণিত। তাহলে ‘উমার (রাঃ)-এর এ আদেশে এ বাক্যটি ফাজরের (ফজরের) আযানে ঢুকানো হয়েছে বলে যে কথা এ হাদীসে রয়েছে তার উত্তর কী হবে? এর অনেক উত্তর হতে পারে। যেমন- ‘উমার (রাঃ)-এর এ আদেশ দ্বারা বুঝানো হচ্ছে যে, এ বাক্যটি অন্য কোন সালাতের আযানে না বলে শুধু ফাজরের (ফজরের) আযানে বলতে হবে। তার উদ্দেশ্য ছিল বিধিসম্মান আযান ব্যতীত ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করার জন্য আমীরের বাড়ির দরজায় এসে এ বাক্য বলে ডাকা ঠিক না, এ কথা বুঝানো। অর্থাৎ- এ বাক্যটি ফাজরের (ফজরের) আযানে বলা অব্যাহত রাখতে হবে এবং ফাজরের (ফজরের) আযান ছাড়া অন্য কোথাও কাউকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য ব্যবহার করা যাবে না।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)