৬৪১

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - আযান

এ অধ্যায়ে আযান প্রবর্তনের সূচনা ও আযানের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আযান শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, ঘোষণা দেয়া। শারী’আতের পরিভাষায় বিশেষ কিছু শব্দের মাধ্যমে সালাতের সময়ের ঘোষণা দেয়াকে আযান বলা হয়।

’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) এবং ’আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে আযানের বিবরণ এসেছে। প্রথম হিজরীতে আযানের প্রবর্তন হয়।


৬৪১-[১] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (সালাতে শরীক হবার জন্য ঘোষণা প্রসঙ্গে) আগুন জ্বালানো ও শিঙ্গায় ফুঁক দেবার প্রস্তাব হলো। এটাকে কেউ কেউ ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রথা বলে উল্লেখ করেন। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিলালকে নির্দেশ দিলেন আযান জোড়া শব্দে ও ইক্বামাত(ইকামত/একামত) বেজোড় শব্দে দেয়ার জন্য।

হাদীস বর্ণনাকারী ইসমা’ঈল বলেন, আমি আবূ আইয়ূব আল আনসারীকে (ইক্বামাত(ইকামত/একামত) বেজোড় দেয়া সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তবে ’’ক্বদ্ ক্ব-মাতিস্ সলা-হ্’’ ছাড়া (অর্থাৎ- ’ক্বদ্ ক্ব-মাতিস্ সলা-হ্’ জোড় বলতে হবে)। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْاَذَانِ

عَن أنس قَالَ: ذَكَرُوا النَّارَ وَالنَّاقُوسَ فَذَكَرُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى فَأُمِرَ بِلَالٌ أَنْ يَشْفَعَ الْأَذَانَ وَأَنْ يُوتِرَ الْإِقَامَةَ. قَالَ إِسْمَاعِيلُ: فَذَكَرْتُهُ لِأَيُّوبَ. فَقَالَ: إِلَّا الْإِقَامَة

عن انس قال ذكروا النار والناقوس فذكروا اليهود والنصارى فامر بلال ان يشفع الاذان وان يوتر الاقامة قال اسماعيل فذكرته لايوب فقال الا الاقامة

ব্যাখ্যা: ইমাম তিরমিযী বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এবং ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, মধ্যবর্তী সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হলো ফাজরের (ফজরের) সালাত। আমি (লেখক) ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত কোন সূত্র পাইনি। হ্যাঁ, তবে ইবনু কাসীর বলেছেন, যে, ইবনু আবী হাতিম ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবূ মুহাম্মাদ ‘আবদুল মু’মিন তাঁর গ্রন্থ ‘‘কাশফুল গিতা আনিস সালাতিল উসত্বা’’ গ্রন্থে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে সহীহ সূত্রে যে মত বর্ণনা করেছেন তাতে মধ্যবর্তী সালাত হলো ‘আসরের সালাত। এ সম্পর্কে আল্লাহই সর্বাধিক জানেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)