৬২৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের ফযীলত

৬২৯-[৬] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিক্বদের জন্য ’ইশা ও ফজরের (ফজরের) সালাতের চেয়ে ভারী আর কোন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) নেই। যদি এ দুই সালাতের মধ্যে কি রয়েছে, তারা জানতো তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও সালাতে আসতো। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ فَضَائِلِ الصَّلَاةِ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ صَلَاةً أَثْقَلَ عَلَى الْمُنَافِق مِنَ الْفَجْرِ وَالْعِشَاءِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لأتوهما وَلَو حبوا»

وعنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس صلاة اثقل على المنافق من الفجر والعشاء ولو يعلمون ما فيهما لاتوهما ولو حبوا

ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সকল সালাতই মুনাফিক্বদের জন্য ভারী বা কষ্টকর। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘‘তারা (মুনাফিক্বরা) সালাতে অলসতার সাথে উপস্থিত হয়’’- (সূরাহ্ আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৫৪)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘‘যখন তারা (মুনাফিক্বরা) সালাতে দাঁড়ায় তখন অলসতার সাথে দাঁড়ায়, কেবল লোক দেখানোর জন্য.....’’- (সূরাহ্ আন্ নিসা ৪ : ১৪২)।

অন্য যে কোন সালাতের তুলনায় ‘ইশা ও ফাজরের (ফজরের) সালাত আদায় করা মুনাফিক্বদের জন্য বেশি কষ্টকর। কারণ ‘ইশার সালাত হলো বিশ্রাম এবং ঘুমের প্রস্ত্ততি নেয়ার সময় আর ফাজরের (ফজরের) সালাত হলো ঘুমের সবচেয়ে আরামদায়ক বা মজাদার সময়।

একনিষ্ঠ মু’মিন ব্যক্তির উচিত মুনাফিক্বদের এ অভ্যাস থেকে দূরে থাকা। এ দু’ ওয়াক্ত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) অপরিমেয় বারাকাত সমৃদ্ধ। তাই কষ্ট করে হলেও অবশ্যই এ সালাতদ্বয় আদায় করার জন্য মসজিদে উপস্থিত হওয়া প্রয়োজন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)