৫৯৮

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়

৫৯৮-[১২] উক্ত রাবী [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। যে সব স্ত্রীলোক চাদর গায়ে মুড়িয়ে সালাত আদায় করতে আসতেন অন্ধকারের দরুন তাদের চেনা যেত না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ تَعْجِيْلِ الصَّلَوَاتِ

وَعَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُصَلِّي الصُّبْحَ فَتَنْصَرِفُ النِّسَاءُ مُتَلَفِّعَاتٌ بمروطهن مَا يعرفن من الْغَلَس

وعنها قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ليصلي الصبح فتنصرف النساء متلفعات بمروطهن ما يعرفن من الغلس

ব্যাখ্যা: আবূ বাররাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, যখন ফাজরের (ফজরের) সালাত শেষ করতেন তখন কোন ব্যক্তি তার পাশে বসা ব্যক্তিকে চিনতে পারতো। আর এখানে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে আছে, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কালীন চাদর জড়িয়ে আসা মহিলাদের চেনা যেত না। প্রথম হাদীসের চিনতে পারার কারণ হলো, সাহাবীগণ কাছাকাছি বসতেন। আর দ্বিতীয় হাদীসের কারণ হলো, মহিলারা পুরুষের পিছনে সালাত আদায় করতো আর দূরে থাকায় সাধারণত তাদেরকে চেনা যেত না।

লেখক বলেন, এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আলোকিত অবস্থার চেয়ে অন্ধকার অবস্থায় ফজরের (ফজরের) সালাত আদায় করা অধিক ফাযীলাতপূর্ণ। এ মতই দিয়েছেন ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাক (রহঃ )। ইবনু ‘আবদুল বার্ বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বাকর (রাঃ), ‘উমার (রাঃ), ‘উসমান (রাঃ) সবাই অন্ধকার থাকতে ফাজরের (ফজরের) সালাত আদায় করতেন- এ কথা বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত।

আল্ হাযিমী বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক অন্ধকারে ফাজরের (ফজরের) সালাত আদায় করা প্রমাণিত। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এর উপর অটল ছিলেন। আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বোত্তম ‘আমল ছাড়া কোন ‘আমলের উপর অটল থাকতেন না। তারপরে তাঁর সাহাবীগণও তার অনুসরণ করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)