১৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা

১৮৭-[৪৮] গুযায়ফ ইবনু আল হারিস আস্ সুমালী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখনই কোন জাতি একটি বিদ্’আত সৃষ্টি করেছে, তখনই সমপরিমাণ সুন্নাত বিদায় নিয়েছে। সুতরাং একটি সুন্নাতের উপর ’আমল করা (সুন্নাত যত ক্ষুদ্রই হোক), একটি বিদ্’আত সৃষ্টি করা অপেক্ষা উত্তম। (আহমাদ)[1]

باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث

وَعَن غُضَيْف بن الْحَارِث الثمالِي قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَا أَحْدَثَ قَوْمٌ بِدْعَةً إِلَّا رُفِعَ مِثْلُهَا مِنَ السُّنَّةِ فَتَمَسُّكٌ بِسُنَّةٍ خَيْرٌ مِنْ إِحْدَاث بِدعَة)
رَوَاهُ أَحْمد

وعن غضيف بن الحارث الثمالي قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما احدث قوم بدعة الا رفع مثلها من السنة فتمسك بسنة خير من احداث بدعةرواه احمد

ব্যাখ্যা: হাদীসে একটা জিনিসের গুরুত্ব আরোপের জন্য আরেকটি বিপরীত জিনিস দ্বারা দৃষ্টান্ত দেয়া হয়েছে। কারণ দু’টো জিনিসের মধ্যে এমন একটি সম্পর্ক বিদ্যামান যে, যখন একটার কথা উল্লেখ করা হয় অথবা একটাকে উঠিয়ে নেয়া হয় তখন অন্যটার কথা এমনিতেই চলে আসে। বিদ্‘আত সৃষ্টির দ্বারা সুন্নাহ উঠে যায় এবং বিদ্‘আত সুন্নাহর পরিপন্থী। অতএব সুন্নাহ প্রতিষ্ঠা করলেই বিদ্‘আত দূরীভূত হবে।

পাপ এবং বিদ্‘আত মানে সুন্নাত পরিপন্থী বিষয়। আর এটা বোধগম্য যে, পাপের কোন বিষয়ের চেয়ে নেকীর বিষয় অনেক উত্তম। সুন্নাতকে ধারণ করায় অনেক কল্যাণ রয়েছে। অন্যদিকে বিদ্‘আতে কল্যাণকর বলতে কিছুই নেই।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)