১১৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান

১১৪-[৩৬] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তাক্বদীর বিষয়ে আলোচনা করবে, কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন তাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। অপরদিকে যে ব্যক্তি এ ব্যাপারে কোন আলোচনা করবে না, তাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হবে না। (ইবনু মাজাহ্)[1]

باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَكَلَّمَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْقَدَرِ سُئِلَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ لم يسْأَل عَنهُ» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من تكلم في شيء من القدر سىل عنه يوم القيامة ومن لم يتكلم فيه لم يسال عنه رواه ابن ماجه

Chapter: Belief in the Divine Decree - Section 3


‘A’isha said that she heard God’s messenger say, “He who discusses any aspect of God’s decree will be questioned about it on the day of resurrection, but he who does not discuss it will not be questioned about it.”

Ibn Majah transmitted it.

ব্যাখ্যা: (مَنْ تَكَـلَّمَ فِيْ شَيْءٍ مِنْ الْقَدَرِ) এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, এখানে فِيْ شَيْءٍ বলা হয়েছে فِيْ الْقَدَرِ বলা হয়নি। এর কারণ হলো, যাতে করে স্বল্পের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞার প্রতি জোর দেয়া যায়। অর্থাৎ- যে কেউ তাক্বদীরের একটি ক্ষুদ্র বিষয়েও আলোচনা করবে এর জন্য তাকে ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। অতএব যদি কেউ বেশী করে তাহলে তো কোন কথাই নেই।

(يُسْأَلْ عَنْهُ) ধমকের সাথে বলা হয়েছে অথবা এখানে সাধারণভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন হবে এটাও বলা যায়।

‘আল্লামা আলী ক্বারী (রহঃ) বলেন, অন্যান্য যাবতীয় কথা এবং কাজের মতো তাক্বদীরের বিষয়ে কথা বললেও তাকে জিজ্ঞাসিত হতে হবে এবং এজন্য তাকে উপযুক্ত বিনিময় দেয়া হবে।

(لَمْ يُسْأَلْ عَنْهُ) ‘তাকে জিজ্ঞেস করা হবে না’ এর অর্থ হলো তাকে এ কথা বলা হবে না তুমি তাক্বদীরের বিষয়ে কেন কথা বললে না? অতএব এ বিষয়ে কথা বলার চেয়ে না বলাই তার জন্য উত্তম হলো।

অতএব কোন ব্যক্তি তাক্বদীরের প্রতি যখন ঈমান রাখলো আর সে বিষয়ে বেশী বেশী আলোচনা না করলো তার ওপরে এই অভিযোগ আসবে না যে, সে কেন তাক্বদীরের বিষয়ে ব্যুৎপত্তি তথা গভীর জ্ঞান লাভ করেনি কেননা এ বিষয়ে সে আদিষ্ট নয়। এজন্যই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ ব্যাপারেই কি তোমরা আদিষ্ট হয়েছ? এবং তিনি আরো বলেছেন, ‘‘যখন তাক্বদীরের আলোচনা করা হয় তখন তোমরা তা থেকে বিরত থাকো।’’


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)