৫২

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন

৫২-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (হে লোক সকল!) সাতটি ধ্বংসাত্মক বিষয় হতে তোমরা দূরে থাকবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! এ সাতটি বিষয় কী? জবাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (১) আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা। (২) যাদু করা। (৩) শারী’আতের অনুমতি ব্যতীত কাউকে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করা। (৪) সুদ খাওয়া। (৫) (অন্যায়ভাবে) ইয়াতীমের মাল খাওয়া। (৬) জিহাদের মাঠ থেকে পালিয়ে আসা। (৭) নির্দোষ ও সতী-সাধ্বী মুসলিম মহিলার বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْكَبَائِرِ وَعَلَامَاتِ النِّفَاقِ- الفصل الأول

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اجْتَنِبُوا السَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا هُنَّ قَالَ الشِّرْكُ بِاللَّهِ وَالسِّحْرُ وَقَتْلُ النَّفْسِ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَأَكْلُ الرِّبَا وَأَكْلُ مَالِ الْيَتِيمِ وَالتَّوَلِّي يَوْمَ الزَّحْفِ وَقَذْفُ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ الْغَافِلَاتِ»

وعن ابي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال اجتنبوا السبع الموبقات قالوا يا رسول الله وما هن قال الشرك بالله والسحر وقتل النفس التي حرم الله الا بالحق واكل الربا واكل مال اليتيم والتولي يوم الزحف وقذف المحصنات المومنات الغافلات

Chapter: Major Sins and the Signs of Hypocrisy - Section 1


Abu Huraira reported God’s messenger as saying, “Avoid the seven noxious things." When his hearers asked, “What are they, messenger of God?" he replied, “Associating anything with God, magic, killing one whom God has declared inviolate without a just cause, devouring usury, consuming the property of an orphan, turning back when the army advances, and slandering chaste women who are believers but indiscreet."

(Bukhari and Muslim.)

ব্যাখ্যা : মানাবী (রহঃ) বলেন, সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ্ হলো শির্ক, অতঃপর অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা।

(سِحْرٌ) সিহর (যাদু) বলা হয় এমন বিষয়কে যা সাধারণ নিয়মের বহির্ভূত। তা সংঘটিত হয় দুষ্ট লোকেদের দ্বারা। জমহূর (অধিকাংশ) ‘আলিমদের মতানুযায়ী যাদুর বাস্তবতা রয়েছে এবং তার প্রভাবও বিদ্যমান। যা মানুষের মেজাজ বিগড়িয়ে দেয়। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, যাদু হারাম। তন্মধ্যে কিছু আছে কুফরী আর কিছু এমন যা কুফরী নয় তবে কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ্। যদি যাদুর মধ্যে এমন কথা ও কাজ থাকে যা কুফরীর পর্যায়ের তাহলে এমন যাদু কুফরী নচেৎ তা কুফরী নয়। সর্বাবস্থায় যাদু শিখা এবং তা শিক্ষা দেয়া হারাম।

যে কোন পন্থায় সুদগ্রহণ করা এবং অন্যায়ভাবে ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করা কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা তখনই কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ্ বলে গণ্য হবে যখন শত্রুর সংখ্যা মুসলিমের দ্বিগুণের অধিক না হবে। মুসলিম সতীসাধ্বী নারীদের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ। কাফির নারীদের প্রতি এরূপ অপবাদ দেয়া কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ নয়।

গাফিলাত বলতে সে সমস্ত নারীকে বুঝায়, যারা অশ্লীল কাজ কর্ম হতে মুক্ত। তবে যারা অশ্লীল কর্ম থেকে মুক্ত নয়, এরূপ নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করা হারাম নয় যদি তাদের অশ্লীলতা প্রকাশমান হয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)