৩৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫-[৩৪] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ খুৎবা খুব কমই দিয়েছেন যাতে এ কথা বলেননি যে, যার আমানাতদারী নেই তার ঈমানও নেই এবং যার ওয়া’দা-অঙ্গীকারের মূল্য নেই তার দীনও নেই। (বায়হাক্বী-এর শু’আবুল ঈমান)[1]

الفصل الثانى

وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَلَّمَا خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا قَالَ: «لَا إِيمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَهُ وَلَا دِينَ لِمَنْ لَا عَهْدَ لَهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ

وعن انس رضي الله عنه قال قلما خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم الا قال لا ايمان لمن لا امانة له ولا دين لمن لا عهد له رواه البيهقي في شعب الايمان

Chapter - Section 2


Anas said:

God’s messenger seldom addressed us without saying, “He who is not trustworthy has no faith, and he who does not keep his covenant has no religion."

Baihaqi transmitted it in Shu'ab al-lman.

ব্যাখ্যা: তার মধ্যে ঈমান নেই যার মধ্যে আমানাতদারী নেই। কেননা প্রকৃত মু’মিনতো সেই যাকে লোকেরা স্বীয় জান ও মালের জন্য নিরাপদ মনে করে। অতএব যে ব্যক্তি খিয়ানত করে ও যুলম করে সে প্রকৃত মু’মিন নয়। ঈমানের পূর্ণতাকে বুঝানো হয়েছে। আমানাতদারী বিলুপ্ত হলে ঈমানের পূর্ণতা বিলুপ্ত হয়ে যায়। কেননা খারাপ চরিত্র তাকে মানুষের সম্পদ, সম্মান ও রক্ত হালাল করার দিকে ধাবিত করে। আর এ অন্যায় আচরণগুলো ঈমানকে ত্রুটিযুক্ত করে। ফলে তার মধ্যে স্বল্প ঈমানই অবশিষ্ট থাকে। এমনকি কখনো কখনো এ খারাপ কাজগুলো কুফরীতেও লিপ্ত করে।

‘‘যে অঙ্গীকার রক্ষা করে না তার ধর্ম নেই’’ অর্থাৎ- যার সাথে কারো কোন ওয়া‘দা বা চুক্তি হয়, অতঃপর শারী‘আত কর্তৃক অনুমোদিত কোন কারণ ছাড়াই তা’ ভঙ্গ করে, তার ধর্মও অসম্পূর্ণ। এখানে প্রশ্ন উত্থাপন হতে পারে যে, ইতোপূর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, দীন, ঈমান ও ইসলাম সমার্থবোধক। এ হাদীসে তা পৃথক করা হয়েছে কেন? কেনইবা তার প্রতিটিকে একটি নির্দিষ্ট অর্থের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে? এর জওয়াব এই যে, যদিও তার শব্দাবলী ভিন্ন কিন্তু তার অর্থ একই। কেননা আমানত ও অঙ্গীকার মূলত আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর ও বান্দার হক আদায় করার মধ্যে নিহিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেন এ কথা বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করার পর তা পূর্ণ করে না, আল্লাহর পক্ষ হতে আমানাত গ্রহণ করার পর তা’ আদায় করে না তার মধ্যে দীন ও ঈমান নেই। আর এ ওয়া‘দা ‘ও আমানাত হলো আল্লাহ কর্তৃক আদেশ ও নিষেধ পালনের বাধ্যবাধকতা।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)