পরিচ্ছেদঃ
৮১। হে আব্বাস! নিশ্চয় আল্লাহ আমার মাধ্যমে এ কর্ম উন্মোচন করেছেন, যার সমাপ্তি টানবেন তোমার সন্তানদের মধ্য হতে এক যুবকের মাধ্যমে। তিনি ইনসাফ দ্বারা তাকে (যমীনকে) পরিপূর্ণ করে দেবেন; যেমনিভাবে তাকে (যমীনকে) অত্যাচার দ্বারা পূর্ণ করে দেয়া হয়েছিল। তিনি ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর সাথে সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করবেন (তার ইমামতি করবেন)।
হাদীসটি জাল।
হাদীসটি খাতীব বাগদাদী “তারীখু বাগদাদ” গ্রন্থে (৪/১১৭) উল্লেখ করেছেন এবং তার সূত্রে ইবনুল জাওযী “আল-ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে (১৪৩৭) উল্লেখ করেছেন।
এটির সনদে আহমাদ ইবনু হাজ্জাজ নামক এক বর্ণনাকারী আছেন, তাকে যাহাবী এ হাদীসের ব্যাপারে মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। তার এ কথার সাথে হাফিয ইবনু হাজার “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। হাদীসটি সুয়ূতী “আল-লাআলিল মাসনুয়াহ" গ্রন্থে (১/৪৩১-৪৩৪) উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি কোন হুকুম না লাগিয়ে চুপ থেকেছেন।
ইবনুল জাওযী “মাওযুআত” গ্রন্থে (২/৩৭) উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি জাল ।
খাতীব বাগদাদী “তারীখু বাগদাদ” গ্রন্থে অন্য এক সনদে (৪/১১৭) উল্লেখ করেছেন এবং তার সূত্রে ইবনুল জাওযী "ইলালুল মুতানাহিয়াহ" গ্রন্থে (২/৩৭৫/১৪৩৮) উল্লেখ করার পর বলেছেনঃ এটির সনদে সমস্যা নেই।
কিন্তু এটির সনদে দুটি সমস্যা রয়েছেঃ
১। আব্দুস সামাদ ইবনু আলী, তিনি হাশেমী; তাকে উকায়লী (৩/৮৪/১০৫৩) দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
২। মুহাম্মাদ ইবনু নূহ ইবনে সাঈদ আল-মুয়াযযিন তার সম্পর্কে যাহাবী বলেনঃ তার এ হাদীসটি মিথ্যা এবং তার পিতা মাজহুল।
يا عباس إن الله فتح هذا الأمر بي، وسيختمه بغلام من ولدك يملؤها عدلا كما ملئت جورا، وهو الذى يصلي بعيسى
موضوع
-
أخرجه الخطيب في " تاريخ بغداد " (4 / 117) ، ومن طريقه ابن الجوزي في " الواهيات " (1437) في ترجمة أحمد بن الحجاج بن الصلت قال: حدثنا سعيد بن سليمان، حدثنا خلف بن خليفة عن مغيرة عن إبراهيم عن علقمة عن عمار بن ياسر مرفوعا
قلت: وهذا سند رجاله كلهم ثقات معروفون من رجال مسلم غير أحمد بن الحجاج هذا ولم يذكر فيه الخطيب جرحا ولا تعديلا، وقد اتهمه الذهبي بهذا الحديث فقال: رواه بإسناد الصحاح مرفوعا، فهو آفته! والعجيب أن الخطيب ذكره في " تاريخه " ولم يضعفه وكأنه سكت عنه لانتهاك حاله، ووافقه الحافظ في " لسان الميزان " والحديث أورده السيوطي في " اللآليء المصنوعة " (1 / 431 - 434) وسكت عليه! ومن هنا يتبين لك الفرق بين الذهبي والسيوطي، فإن الأول حافظ نقاد، والآخر جماع نقال، وهذا هو السر في كثرة خطئه وتناقضه في كتبه، والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (2 / 37) من حديث ابن عباس نحوه وقال
موضوع، المتهم به الغلابي محمد بن زكريا، وأقره السيوطي في " اللآليء " (1 / 435) ، ورواه الخطيب في " التاريخ " (3 / 323 - 324) ، وعنه ابن الجوزي في " العلل المتناهية " (2 / 375 / 1438) من طريق أخرى، ثم قال ابن الجوزي (2 / 378) : لا بأس بإسناده كذا قال وهو منه عجيب فإن فيه علتين
إحداهما: عبد الصمد بن علي وهو الهاشمي ضعفه العقيلي (3 / 84 / 1053) وساق له حديث استنكره الذهبي وسيأتي برقم (2898)
والأخرى: محمد بن نوح بن سعيد المؤذن، أورده الذهبي وقال: خبره كذب يعني هذا وأبوه مجهول
تنبيه: اختلط هذا الإسناد على بعض الطلبة فظن أنه من رواية الغلابي، وليس هو فيه