৬২৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. হাতিব ইবনু আবূ বালতা'আল্লাহ্ এবং বাদরী সাহাবীগণ (রাযিঃ) এর ফযীলত

৬২৯৫-(১৬১/২৪৯৪) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ ..... আলী (রাযিঃ) এর কাতিব উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ রাফি (রহঃ) রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি আলী (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে যুবায়র ও মিকদাদ (রাযিঃ) কে (বিশেষ কাজে) প্রেরণ করে বললেনঃ তোমরা দ্রুত ’রাওযায়ে খাখ’ (মদীনার সন্নিকটবর্তী একটি জায়গার নাম) যাও। সেখানে উষ্ট্রারোহিণী এক নারী রয়েছে তার কাছে একটি গোপনীয় পত্র রয়েছে। তোমরা তার নিকট হতে সেটা নিয়ে এসো। আমরা ঘোড়ার পৃষ্ঠে আরোহিত হয়ে ছুটে চললাম। সেখানে আমরা জনৈক নারীকে দেখতে পেলাম। আমরা তাকে বললাম, পত্র বের করে দাও। সে বলল, আমার নিকট কোন পত্র নেই। আমরা বললাম, তোমাকে পত্র বের করতেই হবে, আর না হলে গায়ের বস্ত্র খুলতে বাধ্য হব। তারপর সে তার চুলের বেণীর মাঝখান থেকে পত্র বের করে দিল। তখন আমরা তা নিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলাম। পত্র খুলে দেখা গেল যে, তা হাতিব ইবনু আবূ বালতা (রাযিঃ) এর পক্ষ হতে মক্কার কতিপয় মুশরিকের প্রতি লিখিত একটি চিঠি ছিল। তিনি এ চিঠিতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতক গুরুত্বপূর্ণ কাজের লুকানো তথ্য প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে হাতিব! তুমি এমন কাজ কেন করলে? সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমার ব্যাপারে অনুগ্রহ করে দ্রুত রায় ঘোষণা করবেন না। আমি এমন একজন লোক, কুরায়শদের সঙ্গে যার সম্পর্ক রয়েছে (কিন্তু আমি তাদের বংশের কেউ নেই)।

সুফইয়ান (রহঃ) বলেন, তিনি তাদের মিত্র ছিলেন, কিন্তু তাদের (বংশোদ্ভূত) গোত্রভুক্ত ছিলেন না। আর আপনার মুহাজির সাহাবীদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন সেখানে আছে, যাদের মাধ্যমে তাদের পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে। তাই আমি স্থির করলাম যে, কুরায়শদের সাথে যখন আমার কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই তখন এমন কোন কাজ করি যার দ্বারা আমার পরিবার-পরিজন মুক্তি পেতে পারে। আমি এ কাজটি এজন্য করিনি যে, আমি কাফির হয়ে গেছি অথবা মুরতাদ হয়েছি দীন থেকে। আর আমি ইসলাম কবুলের পরে কুফরের প্রতি আসক্ত হইনি। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে সত্যই বলেছে। উমার (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে অনুমতি দিন, আমি এ মুনাফিকের গর্দান কেটে দিব। তখন তিনি বললেন, সে তো বদর যুদ্ধে শারীক হয়েছিল এবং তুমি কি জান না যে, আল্লাহ বাদরী সাহাবীদের সম্পর্কে অধিক অবহিত আছেন। তিনি বলেছেনঃ “তোমরা যা খুশী করতে পারো, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি।” এরপর আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন- “হে মু’মিনগণ! আমার ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে না”— (সূরাহ আল মুমতাহিনাহ্ ৬০ঃ ১)। আবূ বকর ও যুহায়র বর্ণিত হাদীসে আয়াতের বর্ণনা নেই। আর ইসহাক তার বর্ণনায় আয়াতটিকে সুফইয়ানের তিলাওয়াত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬১৭৬, ইসলামিক সেন্টার ৬২২০)

باب مِنْ فَضَائِلِ أَهْلِ بَدْرٍ رضى الله عنهم وَقِصَّةِ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ، عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي رَافِعٍ، - وَهُوَ كَاتِبُ عَلِيٍّ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، رضى الله عنه وَهُوَ يَقُولُ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَالزُّبَيْرَ وَالْمِقْدَادَ فَقَالَ ‏"‏ ائْتُوا رَوْضَةَ خَاخٍ فَإِنَّ بِهَا ظَعِينَةً مَعَهَا كِتَابٌ فَخُذُوهُ مِنْهَا ‏"‏ ‏.‏ فَانْطَلَقْنَا تَعَادَى بِنَا خَيْلُنَا فَإِذَا نَحْنُ بِالْمَرْأَةِ فَقُلْنَا أَخْرِجِي الْكِتَابَ ‏.‏ فَقَالَتْ مَا مَعِي كِتَابٌ ‏.‏ فَقُلْنَا لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَتُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ ‏.‏ فَأَخْرَجَتْهُ مِنْ عِقَاصِهَا فَأَتَيْنَا بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا فِيهِ مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى نَاسٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ يُخْبِرُهُمْ بِبَعْضِ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَا حَاطِبُ مَا هَذَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لاَ تَعْجَلْ عَلَىَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ امْرَأً مُلْصَقًا فِي قُرَيْشٍ - قَالَ سُفْيَانُ كَانَ حَلِيفًا لَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ مِنْ أَنْفُسِهَا - وَكَانَ مِمَّنْ كَانَ مَعَكَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ لَهُمْ قَرَابَاتٌ يَحْمُونَ بِهَا أَهْلِيهِمْ فَأَحْبَبْتُ إِذْ فَاتَنِي ذَلِكَ مِنَ النَّسَبِ فِيهِمْ أَنْ أَتَّخِذَ فِيهِمْ يَدًا يَحْمُونَ بِهَا قَرَابَتِي وَلَمْ أَفْعَلْهُ كُفْرًا وَلاَ ارْتِدَادًا عَنْ دِينِي وَلاَ رِضًا بِالْكُفْرِ بَعْدَ الإِسْلاَمِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ دَعْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ‏)‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرٍ وَزُهَيْرٍ ذِكْرُ الآيَةِ وَجَعَلَهَا إِسْحَاقُ فِي رِوَايَتِهِ مِنْ تِلاَوَةِ سُفْيَانَ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، وعمرو الناقد، وزهير بن حرب، واسحاق بن ابراهيم، وابن ابي عمر - واللفظ لعمرو - قال اسحاق اخبرنا وقال الاخرون، حدثنا سفيان بن، عيينة عن عمرو، عن الحسن بن محمد، اخبرني عبيد الله بن ابي رافع، - وهو كاتب علي قال سمعت عليا، رضى الله عنه وهو يقول بعثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم انا والزبير والمقداد فقال ‏"‏ اىتوا روضة خاخ فان بها ظعينة معها كتاب فخذوه منها ‏"‏ ‏.‏ فانطلقنا تعادى بنا خيلنا فاذا نحن بالمراة فقلنا اخرجي الكتاب ‏.‏ فقالت ما معي كتاب ‏.‏ فقلنا لتخرجن الكتاب او لتلقين الثياب ‏.‏ فاخرجته من عقاصها فاتينا به رسول الله صلى الله عليه وسلم فاذا فيه من حاطب بن ابي بلتعة الى ناس من المشركين من اهل مكة يخبرهم ببعض امر رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يا حاطب ما هذا ‏"‏ ‏.‏ قال لا تعجل على يا رسول الله اني كنت امرا ملصقا في قريش - قال سفيان كان حليفا لهم ولم يكن من انفسها - وكان ممن كان معك من المهاجرين لهم قرابات يحمون بها اهليهم فاحببت اذ فاتني ذلك من النسب فيهم ان اتخذ فيهم يدا يحمون بها قرابتي ولم افعله كفرا ولا ارتدادا عن ديني ولا رضا بالكفر بعد الاسلام ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ صدق ‏"‏ ‏.‏ فقال عمر دعني يا رسول الله اضرب عنق هذا المنافق ‏.‏ فقال ‏"‏ انه قد شهد بدرا وما يدريك لعل الله اطلع على اهل بدر فقال اعملوا ما شىتم فقد غفرت لكم ‏"‏ ‏.‏ فانزل الله عز وجل ‏(‏ يا ايها الذين امنوا لا تتخذوا عدوي وعدوكم اولياء‏)‏ وليس في حديث ابي بكر وزهير ذكر الاية وجعلها اسحاق في روايته من تلاوة سفيان ‏.‏


Ubaidullah b. Rafi', who was the scribe of 'All, reported:
I heard 'Ali (Allah be pleased with him) as saying: Allah's Messenger (ﷺ) sent me and Zubair and Miqdad saying: Go to the garden of, Khakh [it is a place between Medina and Mecca at a distance of twelve miles from Medina] and there you will find a woman riding a camel. She would be in possession of a letter, which you must get from her. So we rushed on horses and when we met that woman, we asked her to deliver that letter to us. She said: There is no letter with me. We said: Either bring out that letter or we would take off your clothes. She brought out that letter from (the plaited hair of) her head. We delivered that letter to Allah's Messenger (ﷺ) in which Hatib b. Abu Balta'a had informed some people amongst the polytheists of Mecca about the affairs of Allah's Messenger (ﷺ). Allah's Messenger (ﷺ) said: Hatib, what is this? He said: Allah's messenger, do not be hasty in judging my intention. I was a person attached to the Quraish. Sufyan said: He was their ally but had no relationship with them. (Hatib further said): Those who are with you amongst the emigrants have blood-relationship with them (the Quraish) and thus they would protect their families. I wished that when I had no blood-relationship with them I should find some supporters from (amongst them) who would help my family. I have not done this because of any unbelief or apostasy and I have no liking for the unbelief after I have (accepted) Islam. Thereupon Allah's Apostle (ﷺ) said: You have told the truth. 'Umar said: Allah's Messenger, permit me to strike the neck of this hypocrite. But he (the Holy Prophet) said: He was a participant in Badr and you little know that Allah revealed about the people of Badr: Do what you like for there is forgiveness for you. And Allah, the Exalted and Glorious, said:" O you who believe, do not take My enemy and your enemy for friends" (lx. 1). And there is no mention of this verse in the hadith transmitted on the authority of Abu Bakr and Zubair and Ishaq has in his narration made a mention of the recitation of this verse by Sufyan.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪৫। সাহাবা (রাযিঃ) গণের ফজিলত [মর্যাদা] (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم)