২৬১০

পরিচ্ছেদঃ ৪. জিবরীল (আঃ) কর্তৃক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান ও ইসলামের পরিচয় প্রদান

২৬১০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়ামার (রহঃ) হতে বর্ণিত, তাকদীর মতবাদের ব্যাপারে সর্বপ্রথম মা’বাদ আল-জুহানীই কথা বলেন। কোন এক সময় আমি ও হুমাইদ ইবনু আব্দুর রাহমান আল-হিময়ারী মদীনায় আসলাম এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলাম, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন সাহাবীর সাক্ষাৎ পেলে এসব লোকেরা যে নতুন কথা বের করেছে সেই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করতাম। আমরা আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ)-এর দেখা পেলাম। তিনি মাসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন। আমি ও আমার সাথী গিয়ে তার পাশে পাশে চললাম।

আমি মনে করলাম আমার সঙ্গী আমার উপরি কথা বলার দায়িত্ব দিবেন। তাই আমি বললাম, হে আবূ আব্দুর রাহমান! কিছু সংখ্যক লোক কুরআন তিলাওয়াত করে, জ্ঞানও অন্বেষণ করে, কিন্তু তাদের ধারণায় তাকূদীর বলতে কিছু নেই, যা কিছু হচ্ছে তা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটে।

ইবনু উমর (রাযিঃ) বললেন, তাদের সাথে তোমার দেখা হলে বলবে, তাদের সাথে আমার কোন সম্পক নেই এবং তারাও আমার হতে সম্পর্ক মুক্ত। তারপর ইবনু উমর (রাযিঃ) আল্লাহ তা’আলার নামে শপথ করে বলেন, তাদের কেউ উহুদ পাহাড় সমান স্বর্ণ দান-খাইরাত করলেও তা গ্রহণ করা হবে না, তাকদীিরের ভাল-মন্দের উপর যে পর্যন্ত না সে ঈমান আনবে।

তারপর তিনি বললেন, "উমার ইবনু খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, কোন এক সময় আমরা রাসূলুল্লাহ -এর সামনে বসে ছিলাম। এমন সময় সাদা ধবধবে জামা পরা এবং কালো কুচকুচে চুলধারী এক লোক এসে উপস্থিত। তার মধ্যে সফরের কোন চিহ্নও ছিল না এবং আমাদের মধ্যে কেউই তাকে চিনতে পারলো না। তারপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে এসে তার হাটুদ্বয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাটুদ্বয়ের সাথে মিলিয়ে বসলেন।

অতঃপর তিনি প্রশ্ন করেন, হে মুহাম্মাদ! ঈমান কি? তিনি বললেনঃ ঈমান হলো-তুমি আল্লাহ, তার ফেরেশতাকুলে, কিতাবসমূহে, রাসূলগণে, পরকালে এবং তাকদীিরের ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস স্থাপন কর।

আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, ইসলাম কি? তিনি বললেনঃ এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দাহ ও তার রাসূল, নামায প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান করা, বাইতুল্লাহর হাজ্জ্ব আদায় করা এবং রামাযানের রোযা রাখা।

তিনি আবার প্রশ্ন করেন, ইহসান কি? তিনি বললেনঃ তুমি (এমনভাবে) আল্লাহ তা’আলার ইবাদাত করবে যেন তুমি তাকে দেখছো। তুমি যদি তাকে না দেখ তাহলে অবশ্যই তিনি তোমাকে দেখেন। বর্ণনাকারী বলেন, প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরেই তিনি বলতেন, আপনি সত্যই বলেছেন। তার এই আচরণে আমরা অবাক হলাম যে, তিনিই প্রশ্ন করছেন আবার তিনিই তা সমর্থন করছেন।

তিনি আবার প্রশ্ন করেন, কখন কিয়ামত সংঘটিত হবে? তিনি এবার বললেনঃ জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি এই ব্যাপারে প্রশ্নকারীর চাইতে বেশি কিছু জানে না। তিনি আবার প্রশ্ন করেন, এর নিদর্শনগুলো কি কি?

তিনি বললেনঃ যখন দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে এবং খোলা পা, উলঙ্গ শরীরের অভাবী মেষপালক রাখালগণকে বিশাল দালান-কোঠার প্রতিযোগিতায় গর্ব করতে দেখবে। উমর (রাযিঃ) বলেন, তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনদিন পর আমার সাক্ষাৎ পেয়ে প্রশ্ন করেনঃ হে উমার! তুমি কি জানো, ঐ প্রশ্নকারী কে ছিলেন? তিনি ছিলেন জিবরীল (আঃ), তোমাদেরকে ধর্মীয় অনুশাসন শিখাতে এসেছিলেন।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৬৩), মুসলিম।

উক্ত মৰ্মে আহমাদ ইবনু মুহাম্মদ-ইবনুল মুবারাক হতে, তিনি কাহমাস ইবনুল হাসান (রহঃ) সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না-মুআয ইবনু হিশাম-কাহমাস (রাযিঃ) সূত্রে উক্ত মর্মে একই রকম বর্ণনা করেছেন। তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ, আনাস ইবনু মালিক ও আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

আবূ ঈসা বলেন, বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি একাধিকসূত্রে উমার (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। ইবনু উমার (রাযিঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীসটি বর্ণিত হলেও সঠিক সনদসূত্র হলো ইবনু উমার-উমার (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে।

باب مَا جَاءَ فِي وَصْفِ جِبْرِيلَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الإِيمَانَ وَالإِسْلاَمَ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ الْخُزَاعِيُّ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمُرَ، قَالَ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْقَدَرِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ قَالَ فَخَرَجْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَتَّى أَتَيْنَا الْمَدِينَةَ فَقُلْنَا لَوْ لَقِينَا رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا أَحْدَثَ هَؤُلاَءِ الْقَوْمُ ‏.‏ قَالَ فَلَقِينَاهُ يَعْنِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْمَسْجِدِ قَالَ فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي قَالَ فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلاَمَ إِلَىَّ فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَقَفَّرُونَ الْعِلْمَ وَيَزْعُمُونَ أَنْ لاَ قَدَرَ وَأَنَّ الأَمْرَ أُنُفٌ قَالَ فَإِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي مِنْهُمْ بَرِيءٌ وَأَنَّهُمْ مِنِّي بُرَآءُ وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا قُبِلَ ذَلِكَ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُ فَقَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعَرِ لاَ يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلاَ يَعْرِفُهُ مِنَّا أَحَدٌ حَتَّى أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَلْزَقَ رُكْبَتَهُ بِرُكْبَتِهِ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ مَا الإِيمَانُ قَالَ ‏"‏ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا الإِسْلاَمُ قَالَ ‏"‏ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَحَجُّ الْبَيْتِ وَصَوْمُ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا الإِحْسَانُ قَالَ ‏"‏ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنَّكَ إِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فِي كُلِّ ذَلِكَ يَقُولُ لَهُ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ فَتَعَجَّبْنَا مِنْهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ ‏.‏ قَالَ فَمَتَى السَّاعَةُ قَالَ ‏"‏ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا أَمَارَتُهَا قَالَ أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ أَصْحَابَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ فَلَقِيَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ بِثَلاَثٍ فَقَالَ ‏"‏ يَا عُمَرُ هَلْ تَدْرِي مَنِ السَّائِلُ ذَاكَ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ مَعَالِمَ دِينِكُمْ ‏"‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا كَهْمَسُ بْنُ الْحَسَنِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ كَهْمَسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ نَحْوُ هَذَا عَنْ عُمَرَ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالصَّحِيحُ هُوَ ابْنُ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا ابو عمار الحسين بن حريث الخزاعي، اخبرنا وكيع، عن كهمس بن الحسن، عن عبد الله بن بريدة، عن يحيى بن يعمر، قال اول من تكلم في القدر معبد الجهني قال فخرجت انا وحميد بن عبد الرحمن الحميري حتى اتينا المدينة فقلنا لو لقينا رجلا من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فسالناه عما احدث هولاء القوم ‏.‏ قال فلقيناه يعني عبد الله بن عمر وهو خارج من المسجد قال فاكتنفته انا وصاحبي قال فظننت ان صاحبي سيكل الكلام الى فقلت يا ابا عبد الرحمن ان قوما يقرءون القران ويتقفرون العلم ويزعمون ان لا قدر وان الامر انف قال فاذا لقيت اولىك فاخبرهم اني منهم بريء وانهم مني براء والذي يحلف به عبد الله لو ان احدهم انفق مثل احد ذهبا ما قبل ذلك منه حتى يومن بالقدر خيره وشره ‏.‏ قال ثم انشا يحدث فقال قال عمر بن الخطاب كنا عند رسول الله صلى الله عليه وسلم فجاء رجل شديد بياض الثياب شديد سواد الشعر لا يرى عليه اثر السفر ولا يعرفه منا احد حتى اتى النبي صلى الله عليه وسلم فالزق ركبته بركبته ثم قال يا محمد ما الايمان قال ‏"‏ ان تومن بالله وملاىكته وكتبه ورسله واليوم الاخر والقدر خيره وشره ‏"‏ ‏.‏ قال فما الاسلام قال ‏"‏ شهادة ان لا اله الا الله وان محمدا عبده ورسوله واقام الصلاة وايتاء الزكاة وحج البيت وصوم رمضان ‏"‏ ‏.‏ قال فما الاحسان قال ‏"‏ ان تعبد الله كانك تراه فانك ان لم تكن تراه فانه يراك ‏"‏ ‏.‏ قال في كل ذلك يقول له صدقت ‏.‏ قال فتعجبنا منه يساله ويصدقه ‏.‏ قال فمتى الساعة قال ‏"‏ ما المسىول عنها باعلم من الساىل ‏"‏ ‏.‏ قال فما امارتها قال ان تلد الامة ربتها وان ترى الحفاة العراة العالة اصحاب الشاء يتطاولون في البنيان ‏"‏ ‏.‏ قال عمر فلقيني النبي صلى الله عليه وسلم بعد ذلك بثلاث فقال ‏"‏ يا عمر هل تدري من الساىل ذاك جبريل اتاكم يعلمكم معالم دينكم ‏"‏ ‏.‏ حدثنا احمد بن محمد، اخبرنا ابن المبارك، اخبرنا كهمس بن الحسن، بهذا الاسناد نحوه ‏.‏ حدثنا محمد بن المثنى، حدثنا معاذ بن معاذ، عن كهمس، بهذا الاسناد نحوه بمعناه ‏.‏ وفي الباب عن طلحة بن عبيد الله وانس بن مالك وابي هريرة ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح قد روي من غير وجه نحو هذا عن عمر ‏.‏ وقد روي هذا الحديث عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم والصحيح هو ابن عمر عن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Abdullah bin Buraidah from Yahya bin Ya'mur who said:
"The first person to speak about Al-Qadar was Ma'bad Al-Juhani." He said: "Humaid bin Abdur-Rahman Al-Himyari and I went out until we reached Al-Madinah, and we said: 'If we could only meet someone among the companions of the Prophet (ﷺ) so we could ask him about what those people have innovated." [He said:] "So we met him - meaning Abdullah bin 'Umar - while he was leaving the Masjid." [He said:] "My companion and I were on either side of him." [He said:] I thought my companion was going to leave the speaking to me so I said: "O Abu Abdur-Rahman! There is a group of people who recite the Qur'an and seek knowledge, and they claim there is no Al-Qadar, and that the affair is left to chance.' He said: "Whenever you meet those people, then tell them that I am not of them and they are not of me. By the One Whom Abdullah swears by! If one of them were to spend gold the like of Uhud (mountain) in charity, it would not be accepted from him until he believes in Al-Qadar; the good of it and the bad of it.'" He said: "Then he began to narrate, he said: "'Umar bin Al-Khattab said: "We were with the Messenger of Allah when a man came with extremely white garments, and extremely black hair. He had no appearance of traveling visible on him, yet none of us recognized him. He came until he reached the Prophet (ﷺ). He put his knees up against his knees, and then said: "O Muhammad! What is Iman?' He said 'To believe in Allah, His Angels, His, Books, His Messengers, the Day of Judgement, and Al-Qadar, the good of it and the bad of it.' He said: 'Then what is Islam?' He said: 'Testifying to La Ilaha Illallah, and that Muhammad is His servant and Messenger, establishing the Salat, giving the Zakat, performing Hajj to the House, and fasting (the month of) Ramadan.' He said: 'Then what is Ihsan?' He said 'That (is) you worship Allah as if you see Him, and although you do not see Him, He certainly sees you.' He said: 'For all of those he replied to him: 'You have told the truth.'" He said: "So we were amazed at him, he would ask, and then tell him that he is telling the truth. He said: 'Then when is the Hour?' He (ﷺ) said: 'The one being asked knows no more than the questioner.' He said: 'Then what are its signs?' He said: 'That the slave woman gives birth to her master, and that the naked, poor, and bare-footed shepherds rival each other in the height of the buildings.'" 'Umar said: 'Then the Prophet (ﷺ) met me three days after that and said: 'O 'Umar! Do you know who the questioner was? It was Jibril. He came to teach you about the matters of your religion.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ)