৩৫৭০

পরিচ্ছেদঃ হেফয করার দু'আ

৩৫৭০. আহমাদ ইবনুল হাসান (রহঃ) ...... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ছিলাম এমন সময় আলী ইবন আবূ তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর কাছে এসে বললেনঃ আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, আমার অন্তরে কুরআন স্থির থাকে না। আমি তো এই বিষয়ে নিজেকে সক্ষম পাচ্ছি না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ হে হাসানের পিতা! এমন কিছু কালিমার কথা তোমাকে শিখিয়ে দিব কি যাদ্বারা আল্লাহ তা’আলা তোমাকে উপকৃত করবেন এবং যাদেরকে তুমি তা শিখাবে তাদেরকেও উপকৃত করবেন আর তুমি যা শিখবে তা তোমার অন্তরে স্থিত হয়ে থাকবে।

তিনি বললেনঃ অবশ্যই ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে আপনি তা শিখিয়ে দিন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জুম’আর রাতে তুমি সম্ভব হলে রাত্রির শেষ তৃতীয় ভাগে সালাতে দাঁড়াবে। কেননা এই ক্ষণটি হল রহমত সমুপস্থিতির সময়। এ সময়ে দু’আ অবশ্যই কবূল করা হয়ে থাকে। আমার ভাই ইয়াকূব (আঃ) তাঁর পুত্রদের বলেছিলেনঃ আমার পরওয়ারদিগারের নিকট তোমাদের জন্য অচিরেই আমি মাগফিরাত ভিক্ষা করব (অর্থাৎ জুমু’আর রাত এলে তোমাদের জন্য)। আর এই সময়ে যদি তোমার পক্ষে সম্ভব না হয় তবে মাঝ রাতে আর তাও সম্ভব নাহলে রাত্রিত প্রথম ভাগে দাঁড়াবে এবং চার রাকাত সালাত আদায় করবে।

প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহা এবং সূরা ইয়াসীন, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা এবং হামীম আদ-দুখান, তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা আলিফ-লাম-মীম তানযীল আস-সাজদা এবং চতুর্থ রাকাতে সূরা ফাতিহা এবং তিওয়ালে মুফাসসালের সূরা তাবারাকা পাঠ করবে। তাশাহহুদ পাঠ শেষে আল্লাহর হামদ করবে এবং উত্তম রূপে আল্লাহর প্রশংসা করবে। আমার উপর দরূদ পাঠ করবে এবং উত্তমরূপে তা করবে। এর সঙ্গে আম্বিয়ায়ে কিরাম সবার উপরই দরূদ পাঠ করবে। মু’মিন পুরুষ, মু’মিন নারী এবং যে সব ভাই ঈমানের ক্ষেত্রে তোমার অগ্রবর্তী, তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। এরপর বলবেঃ

اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي بِتَرْكِ الْمَعَاصِي أَبَدًا مَا أَبْقَيْتَنِي وَارْحَمْنِي أَنْ أَتَكَلَّفَ مَا لاَ يَعْنِينِي وَارْزُقْنِي حُسْنَ النَّظَرِ فِيمَا يُرْضِيكَ عَنِّي اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ وَالْعِزَّةِ الَّتِي لاَ تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا اللَّهُ يَا رَحْمَنُ بِجَلاَلِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُلْزِمَ قَلْبِي حِفْظَ كِتَابِكَ كَمَا عَلَّمْتَنِي وَارْزُقْنِي أَنْ أَتْلُوَهُ عَلَى النَّحْوِ الَّذِي يُرْضِيكَ عَنِّي اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ وَالْعِزَّةِ الَّتِي لاَ تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا اللَّهُ يَا رَحْمَنُ بِجَلاَلِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُنَوِّرَ بِكِتَابِكَ بَصَرِي وَأَنْ تُطْلِقَ بِهِ لِسَانِي وَأَنْ تُفَرِّجَ بِهِ عَنْ قَلْبِي وَأَنْ تَشْرَحَ بِهِ صَدْرِي وَأَنْ تَغْسِلَ بِهِ بَدَنِي لأَنَّهُ لاَ يُعِينُنِي عَلَى الْحَقِّ غَيْرُكَ وَلاَ يُؤْتِيهِ إِلاَّ أَنْتَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ

হে আল্লাহ! তুমি যতদিন আমাকে বাঁচিয়ে রাখ সব সময়ের জন্য ততদিন গুনাহ পরিত্যাগ করার শক্তি দিও। আমার উপর রহম কর। যে কাজে কোন উপকার নেই সে কাজে আমার লিপ্ত হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রেখে আমার উপরর রহম কর। যে সব কাজ আমার উপর তোমাকে করে সন্তুষ্ট, সে সব কাজে সুদৃষ্টির তাওফীক দান কর আমাকে। হে আল্লাহ! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর উদ্ভাবক, পরাক্রমসম্পন্ন ও প্রতিপত্তির মালিক যার কল্পনাও করতে পারে না কেউ। তোমার কাছেই যাচ্ঞা করি হে আল্লাহ! হে দয়াময়! তোমারই পরাক্রমশীলতার ওয়াসীলায়, তোমার চেহারার জ্যোতির তুফায়লে তোমার কিতাবের হেফজ আমার অন্তরে সুস্থিত করে দাও যেমন তা তুমি শিখিয়েছ আমাকে। তাওফীক দান কর এমন পদ্ধতিতে যেন তিলাও্যাত করতে পারি তা, যা আমার উপর সন্তুষ্ট করবে তোমাকে। হে আল্লাহ! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর নব সৃষ্টিকারী, পরাক্রম, সম্মান এবং এমন প্রতিপত্তির অধিকারী যার ইচ্ছা পোষণও করা যায় না। তোমার কাছেই যাঞ্চা করি হে আল্লাহ! হে দয়াময়! তোমার পরাক্রমশীলতার ওয়াসীলায়, তোমার চেহেরার নূরের তুফায়লে তোমার এই কিতাবের মাধ্যমে আলোময় করে দাও আমার দৃষ্টিশক্তি। প্রাঞ্জল করে দাও আমার যাবান, বিকশিত করে দাও আমার অন্তর। প্রশস্ত করে দাও আমার বক্ষ, ধুয়ে দাও আমার শরীর। কেননা সত্য বিষয়ে তুমি ছাড়া আমাকে সাহায্য করার আর নেই তো কেউ, তুমি ছাড়া তা দেওয়ার মত আর নেই তো কেউ। কোন উপায় নেই, কোন শক্তি নেই সুউচ্চ সুমহান আল্লাহ ছাড়া।

হে হাসানের পিতা (আলী)। তিন বা পাঁচ বা সাত জুমু’আ তুমি তা করবে। আল্লাহর ইচ্ছায় তোমার বাসনা পূরণ হবে। যিনি আমাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন সেই সত্তার কসম! মুমিন এই ক্ষেত্রে লক্ষ্যচূত হবে না কখনও।

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ আল্লাহর কসম! পাঁচ কি সাত জুমু’আ বিরতির পর আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু অনুরূপ এক মজলিসে আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন। বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! অতীতে আমি চার বা অনুরূপ পরিমাণ আয়াতের বেশী মুখস্ত করতে পারতাম না। পরে যখন মনে মনে পড়তাম তখন দেখতাম সবই ছুটে গেছে। আর আজ চল্লিশ বা তৎপরিমাণ আয়াত শিকতে পারি। পরে যখন নিজে নিজে মুখস্ত পড়ি তখন দেখি আল্লাহর এই কিতাবটিই যেন আমার সমক্ষে বিদ্যামান। আমি হাদীস শুনতাম কিন্তু যখন আওড়াতাম, তখন দেখতাম সব ছুটে গেছে। কিন্তু আজ বহু হাদীস আমি শুনি এবং পরে যখন তা বর্ণনা করি, একটি হরফের ক্ষেত্রেও আমার কোন ত্রুটি হয় না। এই সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ হে হাসানের পিতা! কা’বার রব্বের কসম! তুমি তো মু’মিন।

মাওযূ, তা’লীকুর রাগীব ২/২১৪, যঈফা ৩৩৭৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-গারীব। ওয়ালীদ ইবন মুসলিম (রহঃ) এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।

باب فِي دُعَاءِ الْحِفْظِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، وَعِكْرِمَةَ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي تَفَلَّتَ هَذَا الْقُرْآنُ مِنْ صَدْرِي فَمَا أَجِدُنِي أَقْدِرُ عَلَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَا أَبَا الْحَسَنِ أَفَلاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ يَنْفَعُكَ اللَّهُ بِهِنَّ وَيَنْفَعُ بِهِنَّ مَنْ عَلَّمْتَهُ وَيُثَبِّتُ مَا تَعَلَّمْتَ فِي صَدْرِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَعَلِّمْنِي ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِذَا كَانَ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تَقُومَ فِي ثُلُثِ اللَّيْلِ الآخِرِ فَإِنَّهَا سَاعَةٌ مَشْهُودَةٌ وَالدُّعَاءُ فِيهَا مُسْتَجَابٌ وَقَدْ قَالَ أَخِي يَعْقُوبُ لِبَنِيهِ ‏:‏ ‏(‏سوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي ‏)‏ يَقُولُ حَتَّى تَأْتِيَ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقُمْ فِي وَسَطِهَا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقُمْ فِي أَوَّلِهَا فَصَلِّ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ تَقْرَأُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةِ يس وَفِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَ‏(‏ حم ‏)‏ الدُّخَانَ وَفِي الرَّكْعَةِ الثَّالِثَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَالم تَنْزِيلُ السَّجْدَةَ وَفِي الرَّكْعَةِ الرَّابِعَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَتَبَارَكَ الْمُفَصَّلَ فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ التَّشَهُّدِ فَاحْمَدِ اللَّهَ وَأَحْسِنِ الثَّنَاءَ عَلَى اللَّهِ وَصَلِّ عَلَىَّ وَأَحْسِنْ وَعَلَى سَائِرِ النَّبِيِّينَ وَاسْتَغْفِرْ لِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلإِخْوَانِكَ الَّذِينَ سَبَقُوكَ بِالإِيمَانِ ثُمَّ قُلْ فِي آخِرِ ذَلِكَ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي بِتَرْكِ الْمَعَاصِي أَبَدًا مَا أَبْقَيْتَنِي وَارْحَمْنِي أَنْ أَتَكَلَّفَ مَا لاَ يَعْنِينِي وَارْزُقْنِي حُسْنَ النَّظَرِ فِيمَا يُرْضِيكَ عَنِّي اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ وَالْعِزَّةِ الَّتِي لاَ تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا اللَّهُ يَا رَحْمَنُ بِجَلاَلِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُلْزِمَ قَلْبِي حِفْظَ كِتَابِكَ كَمَا عَلَّمْتَنِي وَارْزُقْنِي أَنْ أَتْلُوَهُ عَلَى النَّحْوِ الَّذِي يُرْضِيكَ عَنِّي اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ وَالْعِزَّةِ الَّتِي لاَ تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا اللَّهُ يَا رَحْمَنُ بِجَلاَلِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُنَوِّرَ بِكِتَابِكَ بَصَرِي وَأَنْ تُطْلِقَ بِهِ لِسَانِي وَأَنْ تُفَرِّجَ بِهِ عَنْ قَلْبِي وَأَنْ تَشْرَحَ بِهِ صَدْرِي وَأَنْ تَغْسِلَ بِهِ بَدَنِي لأَنَّهُ لاَ يُعِينُنِي عَلَى الْحَقِّ غَيْرُكَ وَلاَ يُؤْتِيهِ إِلاَّ أَنْتَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ يَا أَبَا الْحَسَنِ تَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثَ جُمَعٍ أَوْ خَمْسَ أَوْ سَبْعَ تُجَابُ بِإِذْنِ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ مَا أَخْطَأَ مُؤْمِنًا قَطُّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ فَوَاللَّهِ مَا لَبِثَ عَلِيٌّ إِلاَّ خَمْسًا أَوْ سَبْعًا حَتَّى جَاءَ عَلِيٌّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مِثْلِ ذَلِكَ الْمَجْلِسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ فِيمَا خَلاَ لاَ آخُذُ إِلاَّ أَرْبَعَ آيَاتٍ أَوْ نَحْوَهُنَّ وَإِذَا قَرَأْتُهُنَّ عَلَى نَفْسِي تَفَلَّتْنَ وَأَنَا أَتَعَلَّمُ الْيَوْمَ أَرْبَعِينَ آيَةً أَوْ نَحْوَهَا وَإِذَا قَرَأْتُهَا عَلَى نَفْسِي فَكَأَنَّمَا كِتَابُ اللَّهِ بَيْنَ عَيْنَىَّ وَلَقَدْ كُنْتُ أَسْمَعُ الْحَدِيثَ فَإِذَا رَدَّدْتُهُ تَفَلَّتَ وَأَنَا الْيَوْمَ أَسْمَعُ الأَحَادِيثَ فَإِذَا تَحَدَّثْتُ بِهَا لَمْ أَخْرِمْ مِنْهَا حَرْفًا ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ ‏"‏ مُؤْمِنٌ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ يَا أَبَا الْحَسَنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ ‏.‏

حدثنا احمد بن الحسن حدثنا سليمان بن عبد الرحمن الدمشقي حدثنا الوليد بن مسلم حدثنا ابن جريج عن عطاء بن ابي رباح وعكرمة مولى ابن عباس عن ابن عباس انه قال بينما نحن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ جاءه علي بن ابي طالب فقال بابي انت وامي تفلت هذا القران من صدري فما اجدني اقدر عليه فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم يا ابا الحسن افلا اعلمك كلمات ينفعك الله بهن وينفع بهن من علمته ويثبت ما تعلمت في صدرك قال اجل يا رسول الله فعلمني قال اذا كان ليلة الجمعة فان استطعت ان تقوم في ثلث الليل الاخر فانها ساعة مشهودة والدعاء فيها مستجاب وقد قال اخي يعقوب لبنيه سوف استغفر لكم ربي يقول حتى تاتي ليلة الجمعة فان لم تستطع فقم في وسطها فان لم تستطع فقم في اولها فصل اربع ركعات تقرا في الركعة الاولى بفاتحة الكتاب وسورة يس وفي الركعة الثانية بفاتحة الكتاب و حم الدخان وفي الركعة الثالثة بفاتحة الكتاب والم تنزيل السجدة وفي الركعة الرابعة بفاتحة الكتاب وتبارك المفصل فاذا فرغت من التشهد فاحمد الله واحسن الثناء على الله وصل على واحسن وعلى ساىر النبيين واستغفر للمومنين والمومنات ولاخوانك الذين سبقوك بالايمان ثم قل في اخر ذلك اللهم ارحمني بترك المعاصي ابدا ما ابقيتني وارحمني ان اتكلف ما لا يعنيني وارزقني حسن النظر فيما يرضيك عني اللهم بديع السموات والارض ذا الجلال والاكرام والعزة التي لا ترام اسالك يا الله يا رحمن بجلالك ونور وجهك ان تلزم قلبي حفظ كتابك كما علمتني وارزقني ان اتلوه على النحو الذي يرضيك عني اللهم بديع السموات والارض ذا الجلال والاكرام والعزة التي لا ترام اسالك يا الله يا رحمن بجلالك ونور وجهك ان تنور بكتابك بصري وان تطلق به لساني وان تفرج به عن قلبي وان تشرح به صدري وان تغسل به بدني لانه لا يعينني على الحق غيرك ولا يوتيه الا انت ولا حول ولا قوة الا بالله العلي العظيم يا ابا الحسن تفعل ذلك ثلاث جمع او خمس او سبع تجاب باذن الله والذي بعثني بالحق ما اخطا مومنا قط قال عبد الله بن عباس فوالله ما لبث علي الا خمسا او سبعا حتى جاء علي رسول الله صلى الله عليه وسلم في مثل ذلك المجلس فقال يا رسول الله اني كنت فيما خلا لا اخذ الا اربع ايات او نحوهن واذا قراتهن على نفسي تفلتن وانا اتعلم اليوم اربعين اية او نحوها واذا قراتها على نفسي فكانما كتاب الله بين عينى ولقد كنت اسمع الحديث فاذا رددته تفلت وانا اليوم اسمع الاحاديث فاذا تحدثت بها لم اخرم منها حرفا فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم عند ذلك مومن ورب الكعبة يا ابا الحسن قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من حديث الوليد بن مسلم


`Ikrimah, the freed slave of Ibn `Abbas, narrated that:
Ibn `Abbas said: “We were with the Messenger of Allah (ﷺ) when `Ali bin Abi Talib came to him, and he said: ‘May my father and mother be ransomed for you! This Qur’an has suddenly left my heart, and I do not find myself capable of it.’ So the Messenger of Allah (ﷺ) said to him: ‘O Abul-Hasan! Should I not teach you words that Allah shall benefit you with, and benefit whomever you teach, and they will make whatever you have learned in your chest firm?’ He said: ‘Of course, O Messenger of Allah (ﷺ), so teach me.’ He (ﷺ) said: ‘When it is the night of (before) Friday, then if you are able to stand in the last third of the night, then verily it is a witnessed hour, and supplication is answered in it. And my brother Ya`qub (as) did say to his sons: I shall seek forgiveness for you from my Lord. He said: “Until the night of Friday comes.” So if you are not able, then stand in the middle of it, and if you are not able then stand in the first of it. And pray four Rak`ah. Recite Fatihatul-Kitab (the Opening of the Book) and Surat Ya-Sin in the first Rak`ah, and Fatihatul-Kitab and Ha-Mim Ad-Dukhan in the second Rak`ah, and Fatihatul-Kitab and Alif Lam Mim Tanzil As-Sajdah in the third Rak`ah, and Fatihatul-Kitab and Tabarak Al-Mufassal in the fourth Rak`ah. So when you have finished with the Tasha-hud, then praise Allah and mention Allah’s greatness in an excellent manner, and send Salat upon me - and be excellent in it - and upon the rest of the Prophets. And seek forgiveness for the believing men and the believing women, and for your brothers who have preceded you in faith. Then say in the end of that: “O Allah, have mercy on me by abandonment of sins forever, so long as You keep me remaining. And have mercy on me from taking upon myself what does not concern me, and provide me good sight for what will make You pleased with me. O Allah, Originator of the heavens and the earth, Possessor of glory, and generosity, and honor that is not exceeded. I ask you, O Allah, O Rahman, by Your glory and the light of Your Face, to make my heart constant in remembering Your Book as You taught me, and grant me that I recite it in the manner that will make You pleased with me. O Allah, Originator of the heavens and the earth, Possessor of glory, and generosity, and honor that is not exceeded. I ask you, O Allah, O Rahman, by Your glory and the light of Your Face, to enlighten my sight with Your Book, and make my tongue free with it, and to relieve my heart with it, and to expand my chest with it, and to wash my body with it. For indeed, none aids me upon the truth other than You, and none gives it except You, and there is no might or power except by Allah, the High, the Magnificent. (Allāhummarḥamnī bitarkil-ma`āṣī abadan mā abqaitanī, warḥamnī an atakallafa mā lā ya`nīnī, warzuqnī ḥusnan-naẓari fī mā yurḍīka `annī. Allāhumma badī`as-samāwāti wal-arḍi dhal-jalāli wal-ikrāmi wal-`izzatil-latī lā turāmu, as’aluka yā Allāhu yā Raḥmānu bi-jalālika wa nūri wajhika, an tulzima qalbī ḥifẓa kitābika kamā `allamtanī, warzuqnī an atluwahū `alan-naḥwil-ladhī yurḍīka `annī. Allāhumma badī`as-samāwāti wal arḍi dhal-jalāli wal-ikrāmi wal `izzati-llatī lā turāmu, as’aluka yā Allāhu, yā Raḥmānu bi-jalālika wa nūri wajhika, an tunawwira bi-kitābika baṣarī, wa an tuṭliqa bihī lisānī, wa an tufarrija bihī `an qalbī, wa an tashraḥa bihī ṣadrī, wa an taghsila bihī badanī, fa innahu lā yu`īnunī `alal-ḥaqqi ghairuka wa lā yu’tīhi illā anta wa lā ḥawla wa lā quwwata illā billāhil-`Aliyyil-`Aẓīm).” O Abul-Hasan! So do this three Fridays, or five, or seven, you will be answered - by the will of Allah - by the One Who sent me with the Truth, it has not failed a believer once.’” `Abdullah bin `Abbas said: “So, by Allah, `Ali did not wait but five or seven until [`Ali] came to the Messenger of Allah (ﷺ) in a gathering similar to that and said: ‘O Messenger of Allah (ﷺ), indeed I was [a man] in the time that passed, who used to not take except four Ayat or about that much, so when I would recite them to myself they would suddenly depart from me, and today I learn forty Ayat or about that much, and when I recite them to myself, then it is as if the Book of Allah is before my eyes. I used to hear a Hadith and when I would repeat it, it would suddenly depart from me, and today I hear Ahadith, and when I report them, I do not err in a single letter.’ So the Messenger of Allah (ﷺ) said at that point: ‘A believer, by the Lord of the Ka`bah, O Abul-Hasan.’”


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ দু’আ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত (كتاب الدعوات عن رسول الله ﷺ)