৩৩৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৬০/২৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ

وَوٰعَدْنَا مُوْسٰى ثَلٰثِيْنَ لَيْلَةً وَّأَتْمَمْنٰهَا بِعَشْرٍ فَتَمَّ مِيْقَاتُ رَبِّهٰٓ أَرْبَعِيْنَ لَيْلَةً ج وَقَالَ مُوْسٰى لِأَخِيْهِ هٰرُوْنَ اخْلُفْنِيْ فِيْ قَوْمِيْ وَأَصْلِحْ وَلَا تَتَّبِعْ سَبِيْلَ الْمُفْسِدِيْنَ (142) وَلَمَّا جَآءَ مُوْسٰى لِمِيْقَاتِنَا وَكَلَّمَه” رَبُّه” لا قَالَ رَبِّ أَرِنِيْٓ أَنْظُرْ إِلَيْكَ ط قَالَ لَنْ تَرٰﯨـنِىْ إِلَى قَوْلِهِ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُؤْمِنِيْنَ (الأعراف142-143)

আর আমি মূসাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি ত্রিশ রাত্রির এবং সেগুলোকে পূর্ণ করেছি আরো দশ রাত দ্বারা। বস্ত্তত এভাবে চল্লিশ রাতের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেছে। আর মূসা তাঁর ভাই হারূনকে বললেন, আমার সম্প্রদায়ে তুমি আমার প্রতিনিধি হিসাবে থাক। তাদের সংশোধন করতে থাক এবং ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পথে চলো না। অতঃপর মূসা যখন আমার প্রতিশ্রুতির সময় অনুযায়ী এসে হাযির হলেন এবং তাঁর সাথে তাঁর রবের কথা বললেন, তখন তিনি বললেন, হে আমার রব, আমাকে তোমার দর্শন দাও, যেন আমি তোমাকে দেখতে পাই.... (আয়াতের শেষ পর্যন্ত) আর আমিই প্রথম মু‘মিনদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর। (আ’রাফ ১৪২-৪৩)

يُقَالُ دَكَّهُ زَلْزَلَهُ فَدُكَّتَا فَدُكِكْنَ جَعَلَ الْجِبَالَ كَالْوَاحِدَةِ كَمَا قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا (الأنبياء : 30) وَلَمْ يَقُلْ كُنَّ رَتْقًا مُلْتَصِقَتَيْنِ  أُشْرِبُوْا ثَوْبٌ مُشَرَّبٌ مَصْبُوغٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ انْبَجَسَتْ  انْفَجَرَتْ وَإِذْ نَتَقْنَا الْجَبَلَ  رَفَعْنَا

বলা হয় دَكَّتَا অর্থ ভূকম্পন। আয়াতে উল্লেখিত فَدَكَّتَا দ্বিবচন বহুবচন অর্থে ব্যবহৃত। এখানে الْجِبَالَ  শব্দটিকে এক ধরে নিয়ে وَالأَرْضَ  সহ দ্বিচনরূপে دَكَّتَا  বলা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ كَانَتَا رَتْقًا  এর মধ্যে سمَوَاتِ এক ধরে দ্বিবচনে উল্লেখ করা হয়েছে। كُنَّ رَتْقًا বহুবচন বলা হয়নি। رَتْقًا অর্থাৎ পরস্পর মিলিত। أُشْرِبُوْا অর্থাৎ তাদের হৃদয়ে গোবৎস প্রীতি সিঞ্চিত হয়েছিল। বলা হয় ثَوْبٌ مُشَرَّبٌ  অর্থ রঞ্জিত কাপড়। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, انْبَجَسَتْ অর্থ প্রবাহিত হয়েছিল। نَتَقْنَا الْجَبَلَ অর্থ আমি পাহাড়কে তাদের উপর উচিয়ে ছিলাম।


৩৩৯৮. আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন সকল মানুষ বেহুশ হবে। অতঃপর সর্বপ্রথম আমারই হুশ আসবে। তখন আমি মূসা (আঃ)-কে দেখতে পাব যে, তিনি আরশের খুঁটিগুলোর একটি খুঁটি ধরে রয়েছেন। আমি জানি না, আমার আগেই কি তাঁর হুশ আসল, না-কি তুর পাহাড়ে বেহুশ হবার প্রতিদান তাঁকে দেয়া হল। (২৪১২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১৬৫)

 

بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ النَّاسُ يَصْعَقُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَأَكُوْنُ أَوَّلَ مَنْ يُفِيْقُ فَإِذَا أَنَا بِمُوْسَى آخِذٌ بِقَائِمَةٍ مِنْ قَوَائِمِ الْعَرْشِ فَلَا أَدْرِيْ أَفَاقَ قَبْلِيْ أَمْ جُوْزِيَ بِصَعْقَةِ الطُّوْرِ

حدثنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن عمرو بن يحيى عن ابيه عن ابي سعيد عن النبي صلى الله عليه وسلم قال الناس يصعقون يوم القيامة فاكون اول من يفيق فاذا انا بموسى اخذ بقاىمة من قواىم العرش فلا ادري افاق قبلي ام جوزي بصعقة الطور


Narrated Abu Sa`id:

The Prophet (ﷺ) said, 'People will be struck unconscious on the Day of Resurrection and I will be the first to regain consciousness, and behold! There I will see Moses holding one of the pillars of Allah's Throne. I will wonder whether he has become conscious before me of he has been exempted, because of his unconsciousness at the Tur (mountain) which he received (on the earth).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء)