১৯৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৩০/২৯. রমাযানে যৌন মিলন করা।

30/28. بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ  إِذَا تَوَضَّأَ فَلْيَسْتَنْشِقْ بِمَنْخِرِهِ الْمَاءَ وَلَمْ يُمَيِّزْ بَيْنَ الصَّائِمِ وَغَيْرِهِ

৩০/২৮. অধ্যায় : নবী (সাঃ)-এর বাণী : যখন উযূ করবে তখন নাকের ছিদ্র দিয়ে পানি টেনে নিবে।

وَقَالَ الْحَسَنُ لاَ بَأْسَ بِالسَّعُوطِ لِلصَّائِمِ إِنْ لَمْ يَصِلْ إِلَى حَلْقِهِ وَيَكْتَحِلُ وَقَالَ عَطَاءٌ إِنْ تَمَضْمَضَ ثُمَّ أَفْرَغَ مَا فِي فِيهِ مِنْ الْمَاءِ لاَ يَضِيرُهُ إِنْ لَمْ يَزْدَرِدْ رِيقَهُ وَمَاذَا بَقِيَ فِي فِيهِ وَلاَ يَمْضَغُ الْعِلْكَ فَإِنْ ازْدَرَدَ رِيقَ الْعِلْكِ لاَ أَقُولُ إِنَّهُ يُفْطِرُ وَلَكِنْ يُنْهَى عَنْهُ فَإِنْ اسْتَنْثَرَ فَدَخَلَ الْمَاءُ حَلْقَهُ لاَ بَأْسَ لَمْ يَمْلِكْ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সায়িম এবং সায়িম নয়, তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করেননি। হাসান (রহ.) বলেন, সায়িমের জন্য নাকে ঔষধ ব্যবহার করায় দোষ নেই যদি তা কন্ঠনালীতে না পৌঁছে এবং সে সুরমা ব্যবহার করতে পারবে। ’আত্বা (রহ.) বলেন, কুলি করে মুখের পানি ফেলে দেয়ার পর থুথু এবং মুখের অবশিষ্ট পানি গিলে ফেলায় কোন ক্ষতি নেই এবং সায়িম গোন্দ (আঠা) চিবাবে না। গোন্দ চিবিয়ে যদি কেউ থুথু গিলে ফেলে, তা হলে তার সওম নষ্ট হয়ে যাবে, আমি এ কথা বলছি না, তবে এরূপ করা হতে নিষেধ করা উচিত।

وَيُذْكَرُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَفَعَهُ مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ وَلاَ مَرَضٍ لَمْ يَقْضِهِ صِيَامُ الدَّهْرِ وَإِنْ صَامَهُ وَبِهِ قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَالشَّعْبِيُّ وَابْنُ جُبَيْرٍ وَإِبْرَاهِيمُ وَقَتَادَةُ وَحَمَّادٌ يَقْضِي يَوْمًا مَكَانَهُ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে একটি মারফূ’ হাদীস বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ওযর এবং রোগ ব্যতীত রমাযানের একটি সওম ভেঙ্গে ফেলল, তার সারা জীবনের সওমের দ্বারাও এ কাযা আদায় হবে না, যদিও সে সারা জীবন সওম পালন করে। ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-ও অনুরূপ কথাই বলেছেন। সা’ঈদ ইবনু মুসায়্যাব, শা’বী, ইবনু যুবায়র, ইব্রাহীম, কাতাদাহ এবং হাম্মাদ (রহ.) বলেছেন, তার স্থলে একদিন কাযা করবে।


১৯৩৫. ’আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে বলল যে, সে তো জ্বলে গেছে। তিনি বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? লোকটি বলল, রমাযানে আমি স্ত্রী সহবাস করে ফেলেছি। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে (খেজুর ভর্তি) ঝুড়ি এল, যাকে ’আরাক (১৫ সা’ পরিমাণ) বলা হয়। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অগ্নিদগ্ধ লোকটি কোথায়? লোকটি বলল, আমি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ গুলো সাদাকা করে দাও। (৬৮২২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮০৮)

بَاب إِذَا جَامَعَ فِي رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُنِيرٍ سَمِعَ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ حَدَّثَنَا يَحْيَى هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ بْنَ الْقَاسِمِ أَخْبَرَهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ بْنِ خُوَيْلِدٍ عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ تَقُولُ إِنَّ رَجُلاً أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّهُ احْتَرَقَ قَالَ مَا لَكَ قَالَ أَصَبْتُ أَهْلِي فِي رَمَضَانَ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمِكْتَلٍ يُدْعَى الْعَرَقَ فَقَالَ أَيْنَ الْمُحْتَرِقُ قَالَ أَنَا قَالَ تَصَدَّقْ بِهَذَا

حدثنا عبد الله بن منير سمع يزيد بن هارون حدثنا يحيى هو ابن سعيد ان عبد الرحمن بن القاسم اخبره عن محمد بن جعفر بن الزبير بن العوام بن خويلد عن عباد بن عبد الله بن الزبير اخبره انه سمع عاىشة تقول ان رجلا اتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال انه احترق قال ما لك قال اصبت اهلي في رمضان فاتي النبي صلى الله عليه وسلم بمكتل يدعى العرق فقال اين المحترق قال انا قال تصدق بهذا


Narrated `Aisha:

A man came to the Prophet (ﷺ) and said that he had been burnt (ruined). The Prophet (ﷺ) asked him what was the matter. He replied, "I had sexual intercourse with my wife in Ramadan (while I was fasting)." Then a basket full of dates was brought to the Prophet (ﷺ) and he asked, "Where is the burnt (ruined) man?" He replied, "I am present." The Prophet (ﷺ) told him to give that basket in charity (as expiation).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৩০/ সাওম/রোযা (كتاب الصوم)