পরিচ্ছেদঃ ৬. খোলা তালাক্বের বিবরণ
১০৬৮৷ সাহল বিন আবূ হাসমাহ থেকে আহমদে রয়েছে, সাবিত বিন কায়েসের ঘটনাটি ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম খোলা তালাক।[1]
وَلِأَحْمَدَ: مِنْ حَدِيثِ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ: وَكَانَ ذَلِكَ أَوَّلَ خُلْعٍ فِي الْإِسْلَامِ
-
ضعيف. رواه أحمد (4/ 3) وعلته كعلة سابقه
পরিচ্ছেদঃ ৭. তালাক্বের বিবরণ - তালাক দেওয়া অপছন্দনীয়
১০৬৯। ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তালাক্ব হচ্ছে হালাল বস্তুর মধ্যে আল্লাহর নিকটে সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য বস্তু। আবূ দাউদ, ইবনু মাজাহ, হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আবূ হাতিম হাদীসটির মুরসাল হওয়াকে প্রাধান্য দিয়েছেন।[1]
শাইখ আলবানী তাখরীজ মিশকাতুল মাসাবীহ ৩২২৭, গায়াতুল মারাম ২৬১ গ্রন্থদ্বয়ে একে সহীহ বলেছেন, ইমাম ইবনুল কাইয়িম যাদুল মাআদ ৫/২২০ গ্রন্থে এর সানাদকে মুসলিম শর্তে সহীহ বলেছেন। তবে শাইখ আলবানী যঈফ নাসায়ী ৩৪০১ যঈফ বলেছেন, ইবনু হাজার আসকালানী তাঁর ফাতহুল বারী ৯/২৭৫ গ্রন্থে বলেন, এর সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত কিন্তু মাহমুদ বিন লাবীদ নয়। মাহমুদ বিন লাবীদ এর শ্রবণ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত হয় না।
عَنِ اِبْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أَبْغَضُ الْحَلَالِ عِنْدَ اللَّهِ الطَّلَاقُ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَابْنُ مَاجَهْ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ, وَرَجَّحَ أَبُو حَاتِمٍ إِرْسَالَهُ
-
ضعيف. رواه أبو داود (2177 و 2178)، وابن ماجه (2018)، والحاكم (2/ 169) موصولًا ومرسلًا. وانظر «العلل» لابن أبي حاتم (1/ 431)
পরিচ্ছেদঃ ৭. তালাক্বের বিবরণ - এক শব্দ দ্বারা তিন তালাক দেওয়ার বিধান
১০৭২। মাহমুদ ইবনু লাবীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কোন লোক সম্বন্ধে সংবাদ দেয়া হলো যে, লোকটি তার স্ত্রীকে একই সাথে তিন তালাক দিয়ে ফেলেছে। (এরূপ শুনে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগাম্বিত হয়ে উঠে দাঁড়ালেন, অতঃপর বললেন, তোমাদের মধ্যে আমি বিদ্যমান থাকা অবস্থাতেই কুরআন নিয়ে কি খেলা করা হচ্ছে? এমনকি এক ব্যক্তি (সাহাবী) দাঁড়িয়ে গিয়ে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তাকে হত্যা করব না? -হাদীসটির রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।[1]
وَعَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ قَالَ: أُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثَ تَطْلِيقَاتٍ جَمِيعًا, فَقَامَ غَضْبَانَ ثُمَّ قَالَ: «أَيُلْعَبُ بِكِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى, وَأَنَا بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ». حَتَّى قَامَ رَجُلٌ, فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! أَلَا أَقْتُلُهُ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَرُوَاتُهُ مُوَثَّقُونَ
-
ضعيف. رواه النسائي (6/ 142 - 143)، ورواته ثقات، ولكنه من رواية مخرمة بن بكير، عن أبيه، ولم يسمع منه
পরিচ্ছেদঃ ৭. তালাক্বের বিবরণ - তিন তালাক দ্বারা যা সংঘটিত হয়
১০৭৪। আবূ দাউদ অন্য সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে সূত্রটি এর থেকে উত্তম-তাতে আছে, অবশ্য আবূ রুকানাহ তাঁর স্ত্রী সুহায়মাহকে ’আল-বাত্তাহ তালাক্ব’ দিয়েছিলেন। আর তিনি বলেছিলেন- আল্লাহর শপথ! ’আমি তো এতে একটি মাত্র তালাকেরই ইচ্ছা করেছিলাম। ফলে নবী (রহঃ) তাঁর স্ত্রীকে তার নিকট ফেরত দিয়েছিলেন।[1]
وَقَدْ رَوَى أَبُو دَاوُدَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ أَحْسَنَ مِنْهُ: أَنَّ رُكَانَةَ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ سُهَيْمَةَ الْبَتَّةَ, فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَرَدْتُ بِهَا إِلَّا وَاحِدَةً, فَرَدَّهَا إِلَيْهِ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
-
ضعيف. رواه أبو داود (2206) وله علل
পরিচ্ছেদঃ ১৪. লালন-পালনের দায়িত্ব বহন - প্ৰাণীদের শাস্তি দেওয়া নিষেধ
১০৭৬। ইবনু ’আদীর অন্য একটি দুর্বল বর্ণনায় আছে- (ঐ তিনটি হচ্ছে) তালাক, দাসমুক্তি ও বিবাহ।[1]
وَفِي رِوَايَةٍ لِابْنِ عَدِيٍّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ ضَعِيفٍ: «الطَّلَاقُ, وَالْعِتَاقُ, وَالنِّكَاحُ
পরিচ্ছেদঃ ৭. তালাক্বের বিবরণ - অন্তরে তালাকের চিন্তা করলেই তালাক কার্যকর হয় না
১০৭৭। উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে একটা মারফূ’ সূত্রে হারিস ইবনু আবি উসামাহ হতে বর্ণিত হয়েছে; তিনটি ব্যাপারে খেল-তামাশা চলে না। তালাক, বিবাহ ও দাসমুক্তিতে। এ সম্বন্ধে যে কথা বলবে তার উপর তা সাব্যস্ত হয়ে যাবে। এর সানাদ দুর্বল।[1]
وَلِلْحَارِثِ ابْنِ أَبِي أُسَامَةَ: مِنْ حَدِيثِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ رَفَعَهُ: «لَا يَجُوزُ اللَّعِبُ فِي ثَلَاثٍ: الطَّلَاقُ, وَالنِّكَاحُ, وَالْعِتَاقُ, فَمَنْ قَالَهُنَّ فَقَدَ وَجَبْنَ». وَسَنَدُهُ ضَعِيفٌ
পরিচ্ছেদঃ ১০. লি’আন বা পরস্পরের প্রতি অভিশাপ প্ৰদান - ব্যাভিচারিণীকে বিবাহ করার বিধান
১০৯৯। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, কোন লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে বলল, আমার স্ত্রী কোন স্পর্শকারীর হাতকে প্রত্যাখ্যান করে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে দূর করে দাও। সে বলল, আমি ভয় করছি আমার অন্তর তার বাসনায় ঝুঁকে থাকবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হলে তাকে উপভোগ করতে থাক। --রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।
ইমাম নাসায়ী অন্য সূত্রে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে এরূপ শব্দে বর্ণনা করেছেন- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তাকে তালাক দাও, সে বললো, আমি তাকে ছেড়ে ধৈর্য ধারণ করতে পারব না, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে তাকে রেখে দাও।[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: إِنَّ امْرَأَتِي لَا تَرُدُّ يَدَ لَامِسٍ. قَالَ: «غَرِّبْهَا». قَالَ: أَخَافُ أَنْ تَتْبَعَهَا نَفْسِي. قَالَ: «فَاسْتَمْتِعْ بِهَا». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالْبَزَّارُ, وَرِجَالُهُ ثِقَاتٌ
وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ: عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِلَفْظٍ - قَالَ: طَلِّقْهَا. قَالَ: لَا أَصْبِرُ عَنْهَا. قَالَ: «فَأَمْسِكْهَا
-
ضعيف. رواه أبو داود (2049)، والنسائي (6/ 67 - 68)، وقد ضعف الحديث أحمد بن حنبل، والنسائي، وابن الجوزي وغيرهم
পরিচ্ছেদঃ ১০. লি’আন বা পরস্পরের প্রতি অভিশাপ প্ৰদান - নিজ সন্তানকে স্বীকৃতি দানের পর পুনরায় অস্বীকার করার ব্যাপারে সতর্কীকরন
১১০০। আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি দু’জন লি’আনকারী সম্বন্ধে কুরআনের আয়াত নাযিল হবার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যে নারী কোন সম্প্রদায়ের সাথে এমন বাচ্চাকে শামিল করে যে তাদের নয়, তার সাথে আল্লাহর কোন সম্পর্ক নেই এবং তিনি কখনো তাকে জান্নাতে প্রবেশ করবেন না। আর যে পুরুষ নিজের সন্তানকে চিনতে পেরেও অস্বীকার করলো, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার থেকে আড়ালে থাকবেন এবং সমস্ত সৃষ্টিকুলের সামনে তাকে অপমান করবেন। —ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ - حِينَ نَزَلَتْ آيَةُ الْمُتَلَاعِنَيْنِ: «أَيُّمَا امْرَأَةٍ أَدْخَلَتْ عَلَى قَوْمٍ مَنْ لَيْسَ مِنْهُمْ, فَلَيْسَتْ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ, وَلَنْ يُدْخِلَهَا اللَّهُ جَنَّتَهُ, وَأَيُّمَا رَجُلٍ جَحَدَ وَلَدَهُ -وَهُوَ يَنْظُرُ إِلَيْهِ- احْتَجَبَ اللَّهُ عَنْهُ, وَفَضَحَهُ اللَّهُ عَلَى رُءُوسِ الْخَلَائِقِ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ». أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيُّ, وَابْنُ مَاجَهْ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ
-
ضعيف. رواه أبو داود (2263)، والنسائي (679 - 80)، وابن ماجه (2743)، وابن حبان (1335)
পরিচ্ছেদঃ ১০. লি’আন বা পরস্পরের প্রতি অভিশাপ প্ৰদান - নিজ সন্তানকে স্বীকৃতি দানের পর পুনরায় অস্বীকার করার ব্যাপারে সতর্কীকরন
১১০১। উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন সন্তানের প্রতি তার সন্তান হবার স্বীকৃতি এক মুহুর্তের জন্য দান করবে। সে তার ঐ স্বীকৃতিকে আর অস্বীকার করতে পারবে না। —এ হাদীস হাসান ও মাওকূফ।[1]
وَعَنْ عُمَرَ - رضي الله عنه - قَالَ: مَنْ أَقَرَّ بِوَلَدٍ طَرْفَةَ عَيْنٍ, فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَنْفِيَهُ. أَخْرَجَهُ الْبَيْهَقِيُّ, وَهُوَ حَسَنٌ مَوْقُوفٌ
-
ضعيف. رواه البيهقي في «الكبرى» (7/ 411 - 412) وفي سنده مجالد بن سعيد ضعفه غير واحد، وقال الحافظ نفسه في «التقريب»: ليس بالقوي، وقد تغير في آخر عمره
পরিচ্ছেদঃ ১১. ইদ্দত পালন, শোক প্রকাশ, জরায়ু শুদ্ধিকরণ ইত্যাদির বর্ণনা - স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রী শোক প্রকাশের সময় যা করা থেকে বিরত থাকবে
১১০৭। উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার স্বামী আবূ সালামাহর ইনতিকাল হবার পর আমি আমার চোখে ’মুসব্বর’ লাগিয়ে ছিলাম। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এতে তো চেহারাকে লাবণ্য দান করে, ফলে তুমি এটা রাত্র ব্যতীত লাগাবে না, আর দিনের বেলায় তাকে অপসারিত করবে, আর সুগন্ধি দ্বারা কেশ বিন্যাস করবে না এবং মেহেদী লাগবে না। কেননা এটা হচ্ছে খিযাব।
উম্মু সালামাহ বলেন, আমি বললাম, তবে আমি কোন বস্তু দিয়ে চিরুনী করব? তিনি বললেন, কুলের পাতা দিয়ে। -এর সানাদ হাসান।[1]
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: جَعَلْتُ عَلَى عَيْنِي صَبْرًا, بَعْدَ أَنْ تُوُفِّيَ أَبُو سَلَمَةَ, فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِنَّهُ يَشِبُ الْوَجْهَ, فَلَا تَجْعَلِيهِ إِلَّا بِاللَّيْلِ, وَانْزِعِيهِ بِالنَّهَارِ, وَلَا تَمْتَشِطِي بِالطِّيبِ, وَلَا بِالْحِنَّاءِ, فَإِنَّهُ خِضَابٌ». قُلْتُ: بِأَيِّ شَيْءٍ أَمْتَشِطُ? قَالَ: «بِالسِّدْرِ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيُّ, وَإِسْنَادُهُ حَسَنٌ
-
ضعيف. رواه أبو داود (2305)، والنسائي (604 - 205)، من طريق مخرمة بن بكير، عن أبيه، قال: سمعت المغيرة بن الضحاك يقول: أخبرتني أم حكيم بنت أسيد، عن أمها أن زوجها توفي وكانت تشتكي عينها، فتكتحل الجلاء، فأرسلت مولاة لها إلى أم سلمة، فسألتها عن كحل الجلاء؟ فقالت: لا تكتحل إلا من أمر لا بد منه، دخل علي رسول الله صلى الله عليه وسلم حين توفي أبو سلمة، وقد جعلت على عيني صبرا ... الحديث. قلت: وهذا سند ضعيف. مخرمة لم يسمع من أبيه، والضحاك ومن فوقه مجاهيل، وأيضا فيه نكارة لمخالفته للحديث الصحيح التالي. والله أعلم
পরিচ্ছেদঃ ১১. ইদ্দত পালন, শোক প্রকাশ, জরায়ু শুদ্ধিকরণ ইত্যাদির বর্ণনা - উম্মুল ওয়ালাদের (এমন দাসী যার গর্ভে মনিবের সন্তান হয়েছে) ইদ্দাত পালন করা
১১১২। আমর ইবনু আস্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা আমাদের সামনে আমাদের নবী মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতকে বিপর্যন্ত করো না। উম্মুল ওয়ালাদের[1] মুনিবের মৃত্যুতে ইদ্দত চার মাস দশ দিন। -দারাকুতনী হাদীসটিকে মুনকাতে’ সানাদ হবার দোষারোপ করেছেন।[2]
[2] ইমাম দারাকুতনী এ হাদীসটিকে ইনকিতার দোষে দুষ্ট করেছেন। ইমাম সনআনী তাঁর সুবুলুস সালাম ৩/৩১৯ গ্রন্থে বলেন, এ হাদীসটি কুবাইসাহ বিন যুওয়াইব আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণনা করেছেন। অথচ তিনি তার নিকট থেকে শ্রবণই করেননি। তার মধ্যে দোষ এই রয়েছে যে, তারা দ্বারা ইযতিরাব অর্থাৎ এলোমেলো সংঘটিত হয়েছে। ইবনু উসাইমীন তাঁর শরহে বুলুগুল মারাম ৫/১২৪ গ্রন্থে বলেন, এর মধ্যে দু’টি ত্রুটি রয়েছে। শাইখ আলবানী সহীহ ইবনু মাজাহ ১৭০৭ গ্রন্থে, সহীহ আবূ দাউদ ২৩০৮ গ্রন্থদ্বয়ে একে সহীহ বলেছেন।
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: لَا تُلْبِسُوا عَلَيْنَا سُنَّةَ نَبِيِّنَا, عِدَّةُ أُمِّ الْوَلَدِ إِذَا تُوُفِّيَ عَنْهَا سَيِّدُهَا أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا. رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَأَبُو دَاوُدَ, وَابْنُ مَاجَهْ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ, وَأَعَلَّهُ الدَّارَقُطْنِيُّ بِالِانْقِطَاعِ
-
ضعيف. رواه أحمد (403)، وأبو داود (2308)، وابن ماجه (2083)، والحاكم (208) من طريق قبيصة بن ذؤيب، عن عمرو، به. وعلته قول الدارقطني في «السنن» (3/ 309): «قبيصة لم يسمع من عمرو». قلت: وروي موقوفا وصحح الوقف غير واحد، وأيضا استنكره الإمام أحمد
পরিচ্ছেদঃ ১১. ইদ্দত পালন, শোক প্রকাশ, জরায়ু শুদ্ধিকরণ ইত্যাদির বর্ণনা - দাসীর ইদ্দাত পালন করা
১১১৫। আর আবূ দাউদ, তিরমিযী ও ইবনু হিব্বান ’আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। হাকিম একে সহীহ বলেছেন- অন্যান্য মুহাদ্দিস এতে দ্বিমত করে এর যঈফ হওয়াতে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।[1]
وَأَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالتِّرْمِذِيُّ, وَابْنُ مَاجَهْ: مِنْ حَدِيثِ عَائِشَةَ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ, وَخَالَفُوهُ, فَاتَّفَقُوا عَلَى ضَعْفِهِ
-
ضعيف. رواه أبو داود (2189)، والترمذي (1182)، وابن ماجه (2080)، والحاكم (250) من طريق أبي عاصم، عن ابن جريج، عن مظاهر، عن القاسم بن محمد، عن عائشة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «طلاق الأمة تطليقتان، وقرؤها حيضتان» قال أبو عاصم: حدثني مظاهر، حدثني القاسم، عن عائشة، عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله؛ إلا أنه قال: «وعدتها حيضتان». قال أبو داود: «وهو حديث مجهول». وقال الترمذي: «حديث عائشة حديث غريب؛ لا نعرفه مرفوعا إلا من حديث مظاهر بن أسلم، ومظاهر لا نعرف له في العلم غير هذا الحديث». وروى الدارقطني (4/ 40) بالسند الصحيح، عن أبي عاصم النبيل؛ الضحاك بن مخلد، قال: ليس بالبصرة حديث أنكر من حديث مظاهر هذا
পরিচ্ছেদঃ ১১. ইদ্দত পালন, শোক প্রকাশ, জরায়ু শুদ্ধিকরণ ইত্যাদির বর্ণনা - স্বামী নিরুদ্দেশ হলে স্ত্রীর বিধান
১১১৭। উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নিরুদ্দিষ্ট (দীর্ঘদিন অনুপস্থিত) পুরুষের স্ত্রীকে চার বৎসর কাল অপেক্ষা করার জন্য বলেছেন। অতঃপর সে চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে। --মালিক ও শাফিয়ী[1]
وَعَنْ عُمَرَ - رضي الله عنه - فِي امْرَأَةِ الْمَفْقُودِ: تَرَبَّصُ أَرْبَعَ سِنِينَ, ثُمَّ تَعْتَدُّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا. أَخْرَجَهُ مَالِكٌ, وَالشَّافِعِيُّ
-
ضعيف. رواه مالك في «الموطأ» (2/ 575 /52)، من طريق سعيد بن المسيب، عن عمر، به وهو منقطع
পরিচ্ছেদঃ ১১. ইদ্দত পালন, শোক প্রকাশ, জরায়ু শুদ্ধিকরণ ইত্যাদির বর্ণনা - স্বামী নিরুদ্দেশ হলে স্ত্রীর বিধান
১১১৮। মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিরুদ্দিষ্ট বা দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ব্যক্তির সংবাদ তার স্ত্রীর নিকটে না পৌছা পর্যন্ত ঐ স্ত্রী তারই থাকবে। —দারাকুতনী দুর্বল সানাদে।[1]
وَعَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «امْرَأَةُ الْمَفْقُودِ امْرَأَتُهُ حَتَّى يَأْتِيَهَا الْبَيَانُ». أَخْرَجَهُ الدَّارَقُطْنِيُّ بِإِسْنَادٍ ضَعِيفٍ
-
ضعيف جدا. رواه الدارقطني (3/ 31255)، بإسناد رجاله ما بين متروك ومجهول
পরিচ্ছেদঃ ১১. ইদ্দত পালন, শোক প্রকাশ, জরায়ু শুদ্ধিকরণ ইত্যাদির বর্ণনা - স্ত্রী যার বিছানায় শয়ন করে ঐ স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান তারই হবে, ব্যভিচারীর নয়
১১২৬। উসমান (রাঃ) থেকে, আবূ দাউদে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।[1]
وَعَنْ عُثْمَانَ. عِنْدَ أَبِي دَاوُدَ
-
ضعيف. رواه أبو داود (2275) وفي سنده رباح الكوفي وهو مجهول، وفي حديثه قصة طويلة
পরিচ্ছেদঃ ১২. সন্তানকে দুধ খাওয়ান প্রসঙ্গ - কী পরিমাণ এবং কত সময় দুধ পান করলে হারাম সাব্যস্ত হবে
১১৩৫। ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দুধ পান দ্বারা হাড় বর্ধিত হয় এবং মাংস বৃদ্ধি পায় এমন দুধ পান করা ব্যতীত সম্পর্ক সাব্যস্ত হয় না।[1]
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا رَضَاعَ إِلَّا مَا أَنْشَزَ الْعَظْمَ, وَأَنْبَتَ اللَّحْمَ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
-
ضعيف. رواه أبو داود (2060) بسند فيه ثلاثة مجاهيل
পরিচ্ছেদঃ ১৪. লালন-পালনের দায়িত্ব বহন - প্ৰাণীদের শাস্তি দেওয়া নিষেধ
১১৩৭। যিয়াদ ’সাহমী (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কম বুদ্ধির মেয়েদের দুধ পান করাতে নিষেধ করেছেন।[1]
وَعَنْ زِيَادِ السَّهْمِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَنْ تُسْتَرْضَعَ الْحَمْقَى. أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ مُرْسَلٌ, وَلَيْسَتْ لِزِيَادٍ صُحْبَةٌ
-
ضعيف. رواه أبو داود في «المراسيل» (207) وفي سنده مجهول فضلا عن كونه مرسلا
পরিচ্ছেদঃ ১৩. ভরণপোষণের বিধান - গৰ্ভবতী বিধবার ব্যয়ভার প্রসঙ্গ
১১৪৪। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত; (মারফূ সূত্ৰে) গৰ্ভবতী বিধবা মেয়েদের প্রসঙ্গে বলেন: তাদের জন্য কোন খোর-পোষ হবে না। (কেননা এরূপ ক্ষেত্রে স্বামীর মালের ওয়ারিস হওয়ার সুযোগ বিধবা মেয়েদের জন্য রয়েছে)।[1]
وَعَنْ جَابِرٍ - يَرْفَعُهُ, فِي الْحَامِلِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا - قَالَ: «لَا نَفَقَةَ لَهَا». أَخْرَجَهُ الْبَيْهَقِيُّ, وَرِجَالُهُ ثِقَاتٌ, لَكِنْ قَالَ: الْمَحْفُوظُ وَقْفُهُ
-
ضعيف. رواه البيهقي (7/ 431) من طريق حرب بن أبي العالية، عن أبي الزبير، عن جابر مرفوعا، به. قلت: وأبو الزبير مدلس وقد عنعنه
পরিচ্ছেদঃ ১৩. ভরণপোষণের বিধান - ভরন-পোষণে অক্ষম ব্যক্তির বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ
১১৪৭। সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব হতে ঐ ব্যক্তি প্রসঙ্গে বর্ণিত; যে তার বিবিকে খেতে -পরতে দেয়ার সঙ্গতি রাখে না, তিনি বলেন, তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো যাবে। সাঈদ ইবনু মানসুর সুফইয়ান হতে, তিনি আবূ যিনাদ হতে, তিনি বলেন, সাঈদকে বললাম (এ ব্যবস্থা কি রাসূলের) সুন্নাত মূলে। তিনি বললেনঃ সুন্নাত মূলে।[1]
وَعَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ - فِي الرَّجُلِ لَا يَجِدُ مَا يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ - قَالَ: يُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا. أَخْرَجَهُ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ: عَنْ سُفْيَانَ, عَنْ أَبِي الزِّنَادِ, عَنْهُ. قَالَ: فَقُلْتُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ: سُنَّةٌ? فَقَالَ: سُنَّةٌ. وَهَذَا مُرْسَلٌ قَوِيَ
-
ضعيف؛ لإرساله، وإن كان رجاله ثقات. رواه سعيد بن منصور (2/ 55/رقم 2022)
পরিচ্ছেদঃ দাসের হত্যার বদলে মনিবকে হত্যা করার বিধান
১১৬১। সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দাসকে হত্যা করবে আমরা তাকে হত্যা করব, যে তার দাসের নাক কান কাটবে আমরা তার নাক কান কেটে নেব।[1]
وَعَنْ سَمُرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ قَتَلَ عَبْدَهُ قَتَلْنَاهُ, وَمَنْ جَدَعَ عَبْدَهُ جَدَعْنَاهُ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَالْأَرْبَعَةُ, وَحَسَّنَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَهُوَ مِنْ رِوَايَةِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ عَنْ سَمُرَةَ, وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي سَمَاعِهِ مِنْهُ
وَفِي رِوَايَةٍ لِأَبِي دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيِّ: «وَمَنْ خَصَى عَبْدُهُ خَصَيْنَاهُ». وَصَحَّحَ الْحَاكِمُ هَذِهِ الزِّيَادَةَ
-
ضعيف. رواه أحمد (50 و 11 و 12 و 18 و 19)، وأبو داود (4515)، والنسائي (81)، والترمذي (1414)، وابن ماجه (2663) من طريق الحسن، عن سمُرة، به. وليس الأمر هنا إثباتَ أسَمِعَ الحسن من سمُرة أم لا؟ فهو لا شك قد ثبت سماعه منه، ولكنه رحمه الله كان يدلس، فلا يقبل من حديثه إلا ما صرح فيه بالسماع، وهو ما لا يوجد هنا. «فائدة»: في رواية الإمام أحمد (50) بالإسناد الصحيح التصريح بأن الحسن لم يسمع هذا الحديث من سمرة
ضعيف أيضا. وهذه الرواية عند أبي داود (4516)، والنسائي (80 - 21)، والحاكم (4/ 367 - 368) وعلته كعلة سابقة
Samurah (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever kills his slave we shall kill him, and whoever cuts the nose of his slave we shall cut off his nose.” Related by Ahmad and the four lmams. At-Tirmidhi graded it as Hasan. Abu Dawud and An-Nasa’i added the following, “and whoever castrates his slave we shall castrate him.” Al-Hakim graded this addition as Sahih.