পরিচ্ছেদঃ ৭৮. কিরান হজ্জ সম্পর্কে
১৯৫৯. মারওয়ান ইবনুল হাকাম হতে বর্ণিত। তিনি মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী (’উসফান নামক) স্থানে ’আলী ও ’উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হাজ্জে তামাত্তু’ করতে নিষেধ করতেন। এরপর যখন ’আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ অবস্থা দেখলেন, তখন তিনি হাজ্জ ও ’উমরাহ উভয়ের ইহরাম বাঁধেন এবং তিনি (’আলী) বললেন, আমি উমরাহ ও হাজ্জের জন্য একত্রে তালবিয়া পাঠ করলাম। এরপর তিনি ’উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে লক্ষ্য করে বললেন, আপনাকে আমি তা হতে বারণ করতে দেখছি, অথচ আপনি সেই কাজ করেছেন। এরপর তিনি (আলী) বললেন, আমি কোনো মানুষের কথায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত পরিত্যাগ করতে পারি না।[1]
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৫৬৯; মুসলিম, হাজ্জ ১২২৩;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৪২, ৩৪৯, ৪৩৪, ৬০৯ তে।
بَاب فِي الْقِرَانِ
أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ أَنَّهُ شَهِدَ عَلِيًّا وَعُثْمَانَ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَعُثْمَانُ يَنْهَى عَنْ الْمُتْعَةِ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عَلِيٌّ أَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا فَقَالَ لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا فَقَالَ تَرَانِي أَنْهَى عَنْهُ وَتَفْعَلُهُ فَقَالَ لَمْ أَكُنْ لِأَدَعَ سُنَّةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِ أَحَدٍ مِنْ النَّاسِ
পরিচ্ছেদঃ ৮৭. মিনায় কোনো কিছু নির্মাণ করা মাকরূহ (অপছন্দনীয়) হওয়া প্রসঙ্গে
১৯৭৫. ’আয়িশাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আমরা মিনায় আপনার জন্য কি একটি ঘর বানিয়ে দেব না, যা আপনাকে ছায়া দান করবে? তিনি বললেন, না। যিনি মিনায় যে স্থানে আগে পৌঁছাবে সেটিই হবে তার অবস্থানস্থল।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৫১৯ তে। ((আহমাদ ৬/২০৬-২০৭; তিরমিযী, হাজ্জ ৮৮১; ইবনু মাজাহ, মানাসিক ৩০০৬, ৩০০৭; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ ৪/২৮৪ নং ২৮৯১; আবূ দাউদ, মানাসিক ২০১৯; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/১৩৯; হাকিম ১/৪৬৬-৪৬৭-৪৬৮। তিনি একে মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন। তবে তা মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ নয়। কারণ, বর্ণনাকারীনী মুসাইকাহ হতে মুসলিম কোনো হাদীস বর্ণনা করেননি।
بَاب كَرَاهِيَةِ الْبُنْيَانِ بِمِنًى
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ عَنْ أُمِّهِ مُسَيْكَةَ وَأَثْنَى عَلَيْهَا خَيْرًا عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا نَبْنِي لَكَ بِمِنًى بِنَاءً يُظِلُّكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا مِنًى مُنَاخُ مَنْ سَبَقَ
পরিচ্ছেদঃ ৮. 'ফারাআ' বা 'আতীরা'
২০০৩. আবু রাযীন লাকীত ইবন আমির উকাইলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা (জাহিলী যুগে) রজব মাসে পশু যবাহ করতাম। এখন আপনি আমাদেরকে কী আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ “এতে কোন ক্ষতি নেই।”[1] (বর্ণনাকারী) ওকী’ বলেনঃ আমি কখনোই তা পরিত্যাগ করবো না।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০৬৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৯১ তে। আগের হাদীসটিও দেখুন।
بَاب فِي الْفَرَعِ وَالْعَتِيرَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ عَنْ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ لَقِيطِ بْنِ عَامِرٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَذْبَحُ فِي رَجَبٍ فَمَا تَرَى قَالَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ قَالَ وَكِيعٌ لَا أَدَعُهُ أَبَدًا
পরিচ্ছেদঃ ৯. আক্বীক্বার সুন্নাত (পদ্ধতি)
২০০৪. উম্মু কুরয রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আকীকা সম্পর্কে বলেছেন: ছেলের জন্য দুটো ছাগল যথেষ্ট হবে আর মেয়ের জন্য একটি ছাগল।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০৬০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৩১৩ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৪৯ তে। আরও দেখুন, আবী ইয়ালা, মু’জামুস শুয়ূখ নং ৪৯।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْعَقِيقَةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ عَنْ حَبِيبَةَ بِنْتِ مَيْسَرَةَ بْنِ أَبِي خُثَيْمٍ عَنْ أُمِّ كُرْزٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي الْعَقِيقَةِ عَنْ الْغُلَامِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ وَعَنْ الْجَارِيَةِ شَاةٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৬. যে ব্যক্তি অযথা কোনো প্রাণীকে হত্যা করে
২০১৬. আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি চড়ূই না-হাক্কভাবে (অযথা) হত্যা করে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করবেন। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো ইয়া রাসুলুল্লাহ! এর হাক্ব কি? তিনি বললেনঃ“(এর হাক্ব এই যে) তুমি একে যবাহ করবে অতঃপর তা খাবে।”[1]
তাখরীজ: ((নাসাঈ, সাইদ ৭/২৩৯; আহমাদ--ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ১৯৭৮ এর টীকা হতে।– অনুবাদক)) আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৯৮ তে।
بَاب مَنْ قَتَلَ شَيْئًا مِنْ الدَّوَابِّ عَبَثًا
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ إِسْمَعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو هُوَ ابْنُ دِينَارٍ عَنْ صُهَيْبٍ مَوْلَى ابْنِ عَامِرٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَتَلَ عُصْفُورًا بِغَيْرِ حَقِّهِ سَأَلَهُ اللَّهُ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قِيلَ وَمَا حَقُّهُ قَالَ أَنْ تَذْبَحَهُ فَتَأْكُلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৭. পশুর গর্ভস্থ বাচ্চার মাতার যবেহ করাই তার যবেহ বলে গণ্য- এ সম্পর্কে
২০১৭. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বাচ্চার মাতার যবেহই গর্ভস্থিত বাচ্চার যবেহ।[1] আবূ মুহাম্মদ-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, তা কি খাওয়া যাবে? তিনি বললেন: হাঁ।
তাখরীজ: ((আবূ দাউদ, আযাহী নং ২৮২৭। --ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ১৯৭৯ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৮০৮ ও মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৬১২৪ তে।
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবূ সাঈদ আল খুদরী (রা:) হতে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৯৯২, ১২০৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৮৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০৭৭ তে।
بَاب فِي ذَكَاةُ الْجَنِينِ ذَكَاةُ أُمِّهِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا عَتَّابُ بْنُ بَشِيرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَكَاةُ الْجَنِينِ ذَكَاةُ أُمِّهِ قِيلَ لِأَبِي مُحَمَّدٍ يُؤْكَلُ قَالَ نَعَمْ
পরিচ্ছেদঃ ১৮. যে সকল হিংস্র জন্তু খাওয়া যাবে না
২০১৯. আবূ সা’লাবা আল খুশানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপহরণ করা, চাঁদমারি করা ও লুণ্ঠন করা থেকে এবং দাঁতওয়ালা যাবতীয় হিংস্র জন্তু খাওয়া থেকে নিষেধ করেছেন।[1]
তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ২২/২০৯ নং ৫৫১; বাইহাকী, যাহাইয়া ৯/৩৩৪; আগের হাদীসটিও দেখুন।
بَاب مَا لَا يُؤْكَلُ مِنْ السِّبَاعِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو أُوَيْسٍ ابْنُ عَمِّ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْخَطْفَةِ وَالْمُجَثَّمَةِ وَالنُّهْبَةِ وَعَنْ أَكْلِ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنْ السِّبَاعِ
পরিচ্ছেদঃ ২০. মৃত জন্তুর চামড়া হতে উপকৃত হওয়া
২০২৫. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত জন্তুর দাবাগাত (পাকা) করা চামড়া হতে উপকৃত হতে নির্দেশ দিয়েছেন।[1]
তাখরীজ: মালিক, সাইদ ১৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১২৮৬ এবং মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২২।
بَاب الِاسْتِمْتَاعِ بِجُلُودِ الْمَيْتَةِ
أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ قُسَيْطٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ عَنْ أُمِّهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُسْتَمْتَعَ بِجُلُودِ الْمَيْتَةِ
পরিচ্ছেদঃ ২৩. লুটতরাজ করা নিষিদ্ধ
২০৩৩. আব্দুর রহমান ইবনু সামুরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিনতাই-লুটতরাজ করা হতে নিষেধ করেছেন।[1]
তাখরীজ: তাহাবী, মুশকিলিল আছার ১/১৩০; ইবনু আবী শাইবা, ৭/৫৯ নং ২৩৬৯; আহমাদ ৫/৬২, ৬৩; আবূ দাউদ, জিহাদ ২৭০৩; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ, তরজমাহ ৬৪৫;
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইমরাণ ইবনু হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৬৭, ৫১৭০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৭০, ১৬৮০ তে। এছাড়া ছা’লাবা ইবনুল হাকাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতেও এর শাহিদ রয়েছে যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫১৬৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৬৭৯ তে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ النُّهْبَةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِي لَبِيدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ النُّهْبَةِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد هَذَا فِي الْغَزْوِ إِذَا غَنِمُوا قَبْلَ أَنْ يُقْسَمَ
পরিচ্ছেদঃ ২৫. দুগ্ধদোহনকারী দুধ দোহনের জন্য কষ্টে পড়ে যায়, তার সম্পর্কে
২০৩৫. যিরার ইবনু আযওয়ার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে একটি গর্ভবতী (উট বা ছাগল) হাদীয়া দেওয়া হলো। তখন তিনি আমাকে আদেশ করলেন যে, আমি যেন এর দুগ্ধ দোহন করি। ফলে আমি সেটির দুগ্ধ দোহন করলাম এবং একে দোহন করতে গিয়ে বেশ কষ্টে পড়ে গেলাম। তখন তিনি বললেন: “দুধের উদ্দেশ্য ছাড়ো।”[1]
তাখরীজ: তাখরীজ আমরা দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫২৮৩ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯৯৯ তে। এছাড়াও, ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ, তরজমাহ ৪৭০ তে।
بَاب فِي الْحَالِبِ يَجْهَدُ الْحَلْبَ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ بَحِيرٍ عَنْ ضِرَارِ بْنِ الْأَزْوَرِ قَالَ أَهْدَيْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقْحَةً فَأَمَرَنِي أَنْ أَحْلُبَهَا فَحَلَبْتُهَا فَجَهَدْتُ فِي حَلْبِهَا فَقَالَ دَعْ دَاعِيَ اللَّبَنِ
পরিচ্ছেদঃ ২. কোনো ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ালে তার জন্য দু’আ করা
২০৬০. আব্দুল্লাহ ইবন বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, যিনি সামান্য সময়ই (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম-এর) সোহবত (সংস্পর্শ) লাভ করেছিলেন। তিনি বলেনঃ আমার পিতা আমার মাতাকে বললেন, তুমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এর জন্য কিছু খাবার প্রস্তুত করতে, (তবে কতই না উত্তম হতো)। ফলে তিনি ’ছারিদ’ নামক খাদ্য প্রস্তুত করলেন। তিনি (রাবী) হাত দিয়ে ইশারা করে দেখালেন যে, তা ছিল খুবই সামান্য পরিমাণ। এরপর আমার পিতা গিয়ে তাঁকে ডেকে নিয়ে আসলেন।
এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম খাবারের উঁচু স্থানে হাত রেখে বললেন: “বিসমিল্লাহ বলে গ্রহণ করো।” তখন তারা (পরিবারের লোকেরা) এর বিভিন্ন পাশ থেকে খেতে থাকলেন। এরপর যখন তারা খাওয়া শেষ করলেন, তখন তিনি তাদের জন্য দু’আ করলেন: “আল্লাহুম্মাগফির লাহুম, ওয়ারহামহুম, ওয়া বারিক লাহুম ফী রিযকিহিম। (অর্থ: ইয়া আল্লাহ! তুমি তাদের রিযিকে বরকত দাও, তাদের ক্ষমা কর এবং তাদের প্রতি রহম কর।)”[1]
তাখরীজ: মুসলিম, আশরিবাহ ২০৪২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫২৯৭,, ৫২৯৮, ৫২৯৯।
بَاب الدُّعَاءِ لِصَاحِبِ الطَّعَامِ إِذَا أَطْعَمَ
أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ يَسِيرَةٌ قَالَ قَالَ أَبِي لِأُمِّي لَوْ صَنَعْتِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَعَامًا فَصَنَعَتْ ثَرِيدَةً وَقَالَ بِيَدِهِ يُقْلِلُ فَانْطَلَقَ أَبِي فَدَعَاهُ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ عَلَى ذِرْوَتِهَا ثُمَّ قَالَ خُذُوا بِاسْمِ اللَّهِ فَأَخَذُوا مِنْ نَوَاحِيهَا فَلَمَّا طَعِمُوا دَعَا لَهُمْ فَقَالَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِي رِزْقِهِمْ
পরিচ্ছেদঃ ৪. খাবারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
২০৬২. সিনান ইবনু সান্না’র পিতার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কৃতজ্ঞ খাদ্য গ্রহণকারী ব্যক্তি ধৈর্য্যশীল রোযাদারের মতো।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ও তার পূত্র আব্দুল্লাহ’র মুসনাদ ও যাওয়াইদ, ৪/৩৪৩; মিযযী, তাহযীবুল কামাল ১২/১৫৩; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৭২৫, এ সনদটি সহীহ; বূসীরী তার মিসবাহুজ যুজাজাহ ২/৪২ এ বলেন, এ সনদটি সহীহ, রাবীগণ বিশস্ত; ইবনু মাজাহ সিনান এটি একাকী বর্ণনা করেছেন।… আর্ এর শাহিদ রয়েছে আবী হুরাইরা হতে যা বর্ণনা করেছেন ইবনু খুযাইমা, ইবনু হিব্বান, হাকিম ও তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, বুখারী এর অংশবিশেষ তা’লীক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ৬৫৮২ নং সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩১৫; মাওয়ারিদুয যাম’আন ৯৫২ তে।
بَاب فِي الشُّكْرِ عَلَى الطَّعَامِ
أَخْبَرَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حُرَّةَ عَنْ عَمِّهِ عَنْ سِنَانِ بْنِ سَنَّةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الطَّاعِمُ الشَّاكِرُ كَالصَّائِمِ الصَّابِرِ
পরিচ্ছেদঃ ৯. ডানহাতে খাবার খাওয়া
২০৭০. ইয়াস ইবনু সালামাহ’র পিতা (সালামা ইবন আকওয়া রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উটের রাখাল বুসরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বাম হাতে আহার করতে দেখেন। তখন তিনি বলেনঃ “তুমি তোমার ডান হাতে আহার কর।” সে বললো, আমি পারবো না । তিনি বললেনঃ “তুমি যেন না-ই পার।” তিনি (সালামা রাঃ) বলেনঃ সে আর তার ডান হাত মুখের কাছে তুলতে পারেনি।[1]
তাখরীজ: মুসলিম, আশরিবাহ ২০২১; ((আহমাদ ৪/৪৬)); আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৫১২, ৬৫১৩ তে। এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা, ৮/২৯৩ নং ৪৪৯৭; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৬/৪৩।
بَاب الْأَكْلِ بِالْيَمِينِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ أَبْصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُسْرَ بْنَ رَاعِي الْعِيرِ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ فَقَالَ كُلْ بِيَمِينِكَ قَالَ لَا أَسْتَطِيعُ قَالَ لَا اسْتَطَعْتَ قَالَ فَمَا وَصَلَتْ يَمِينُهُ إِلَى فِيهِ
পরিচ্ছেদঃ ১০. তিন আঙ্গুল দিয়ে আহার করা
২০৭২. কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম তিন আঙ্গুলে আহার করতেন এবং আহার শেষে আঙ্গুলগুলো চেটে খেতেন।[1]
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। পূর্ণ তাখরীজের জন্য।
بَاب الْأَكْلِ بِثَلَاثِ أَصَابِعَ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ الْمَدَنِيِّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ أَوْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ كَعْبٍ شَكَّ هِشَامٌ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْكُلُ بِأَصَابِعِهِ الثَّلَاثِ فَإِذَا فَرَغَ لَعِقَهَا وَأَشَارَ هِشَامٌ بِأَصَابِعِهِ الثَّلَاثِ
পরিচ্ছেদঃ ১১. অতিথি আপ্যায়ন সম্পর্কে
২০৭৫. মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব আবূ কারীমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি কারো নিকট মেহমান হিসাবে যায় এবং সে সকাল পর্যন্ত মাহরুম থাকে, এমতাবস্থায় প্রত্যেক মুসলিমের উচিত তার সাহায্য করা। এমন কি সেই মেহমান, সে রাতের জন্য মেহমানীর হক সে কাওমের ফসল এবং মাল হতে নেওয়ার হকদার হয়ে যায়।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৪/১৩১, ১৩৩; আবূ দাউদ, আতইমাহ ৩৭৫১; হাকিম ৪/১৩২; ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৬৭৭; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৪/৩৯, ৪০; দারুকুতনী ৪/২৮৭ সহীহ সনদে; বাইহাকী, যাহাইয়া ৯/৩৩২ সহীহ সনদে; এর শাহিদ হাদীস রয়েছে বুখারী মুসলিমে উক্ববাহ ইবনু আমির হতে বুখারী, মাযালিম ২৪৬১; মুসলিম লুক্বতাহ ১৭২৭; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫২৮৮।
بَاب فِي الضِّيَافَةِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي الْجُودِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُهَاجِرِ عَنْ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ أَبِي كَرِيمَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّمَا مُسْلِمٍ ضَافَ قَوْمًا فَأَصْبَحَ الضَّيْفُ مَحْرُومًا فَإِنَّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ نَصْرَهُ حَتَّى يَأْخُذَ لَهُ بِقِرَى لَيْلَتِهِ مِنْ زَرْعِهِ وَمَالِهِ
পরিচ্ছেদঃ ১৩. মু’মিন এক পেটে খায়
২০৮১. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মু’মিন এক পেটে খায়, আর কাফির সাত পেটে খায়।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, আতইমাহ ৫৩৯৬, ৫৩৯৭;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৫৮৪, ২০৬৯; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬১ তে।
بَاب الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ
পরিচ্ছেদঃ ১৭. গরম খাদ্য খাওয়া নিষেধ
২০৮৫. আসমা বিনতে আবী বাকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, (একদা) তিনি ছারীদ আনতে নির্দেশ দিলে তা আনা হলো। তখন এর উত্তপ্ত অবস্থা ও ধোঁয়া দূরীভূত না হওয়া পর্যন্ত তা ঢেকে রাখা হলো। আর তিনি বললেন: নিশ্চয়ই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “এটিই বরকতের জন্য মহত্তম।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫২০৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৩৪৪।
بَاب النَّهْيِ عَنْ أَكْلِ الطَّعَامِ الْحَارِّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ قُرَّةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّهَا كَانَتْ إِذَا أُتِيَتْ بِثَرِيدٍ أَمَرَتْ بِهِ فَغُطِّيَ حَتَّى يَذْهَبَ فَوْرَةُ دُخَانِهِ وَتَقُولُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ هُوَ أَعْظَمُ لِلْبَرَكَةِ
পরিচ্ছেদঃ ২০. যাইতুনের উপকারীতা প্রসঙ্গে
২০৯০. আবী উসাইদ আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা যাইতুনের তেল খাও; কেননা, এটি বরকতময়। আর তা দিয়ে তরকারী রান্না কর এবং তা শরীরে মালিশ কর। কেননা এটি একটি কল্যানময় গাছের তেল।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৩/৪৯৭; নাসাঈ, আল কুবরা নং ৬৭০২; তাবারাণী, কাবীর নং ১৯/২৭০ নং ৫৯৭; বুখারী, কাবীর নং ৬/৬; উকাইলী, যু’আফা ৩/৪০২; তিরমিযী, আতইমাহ ১৮৫৩, শামাইল নং ১৫৯; দাওলাবী, আল কুন্নী ১/১৫; হাকিম ২/৩৯৭-৩৯৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ২৮৭0। তিরমিযী একে গারীব বলেছেন। হাকিম একে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তা সমর্থন করেছেন।
... এর শাহিদ হাদীস রয়েছে তিরমিযী ১৮৫২; ইবনু মাজাহ ৩৩১৯ যয়ীফ সনদে; আব্দুর রাযযাক ও বাযযার, বাহরুয যুখখার ১/৩৯৭ নং ২৭৫ যয়ীফ সনদে। এর আরো শাহিদ রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে ইবনু মাজাহ ৩৩২০ যয়ীফ সনদে, যেটি হাকিম বণনা করে সহীহ বললেও যাহাবী তা সমর্থন করেননি।
بَاب فِي فَضْلِ الزَّيْتِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى عَنْ عَطَاءٍ وَلَيْسَ بِابْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ أَبِي أَسِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُوا الزَّيْتَ وَائْتَدِمُوا بِهِ وَادَّهِنُوا بِهِ فَإِنَّهُ يَخْرُجُ مِنْ شَجَرَةٍ مُبَارَكَةٍ
পরিচ্ছেদঃ ২১. রসূন খাওয়া প্রসঙ্গে
২০৯২. উম্মু আইউব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট উপস্থিত হলে আমরা তাঁর জন্য খাদ্য প্রস্তুত করলাম এবং তাতে এরকম কিছু শাক-সবজিও ছিল। যখন আমরা তা তাঁর নিকট নিয়ে গেলাম, তখন তিনি তা অপছন্দ করলেন। আর তিনি তাঁর সাহাবীগণকে বললেন, তোমরা খাও। কেননা, আমি তোমাদের কারো মতো নই। আমার আশংকা, হয়তো আমি আমার সাথীকে (জিবরীল) কষ্ট দিয়ে ফেলব।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, যদি কারো কষ্ট দেওয়ার ব্যাপার না থাকে, তবে এটা খাওয়াতে কোনো দোষ নেই।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/৫১১; ইবনু মাজাহ, আতইমাহ নং ৩৩৬৪; তিরমিযী, আতইমাহ ১৮১১; সহীহ ইবনু খুযাইমা, ১৬৭১; তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। দেখুন, ফাতহুল বারী ২/ ৩৪২ যেখানে এর শাহিদ হাদীসসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া দেখুন, আমাদের তাহক্বীক্বকৃত মাজমাউয যাওয়াইদ নং ২০১৬-২০২৬।
بَاب فِي أَكْلِ الثُّومِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي يَزِيدَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ أُمَّ أَيُّوبَ أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ نَزَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَكَلَّفْنَا لَهُ طَعَامًا فِيهِ شَيْءٌ مِنْ بَعْضِ هَذِهِ الْبُقُولِ فَلَمَّا أَتَيْنَاهُ بِهِ كَرِهَهُ وَقَالَ لِأَصْحَابِهِ كُلُوهُ فَإِنِّي لَسْتُ كَأَحَدٍ مِنْكُمْ إِنِّي أَخَافُ أَنْ أُوذِيَ صَاحِبِي قَالَ أَبُو مُحَمَّد إِذَا لَمْ يُؤْذِ أَحَدًا فَلَا بَأْسَ بِأَكْلِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪২. খিলাল প্রসঙ্গে
২১২৬. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি খাদ্য গ্রহণ করে, সে যেন (দাঁত) খেলাল করে। আর খেলালের মাধ্যমে যা বের হয়, সে যেন তা ফেলে দেয়। আর যা জিহবার দ্বারা বের হয়, সে যেন তা খেয়ে ফেলে।”[1]
তাখরীজ: ৬৮৯ নং এ হাদীসটি গত হয়েছে।
بَاب فِي التَّخْلِيلِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ الْحِمْيَرِيُّ أَخْبَرَنِي أَبُو سَعْدٍ الْخَيْرُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَكَلَ فَلْيَتَخَلَّلْ فَمَا تَخَلَّلَ فَلْيَلْفِظْهُ وَمَا لَاكَ بِلِسَانِهِ فَلْيَبْتَلِعْ