পরিচ্ছেদঃ ৬১৬- দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং দাবা/পাশা খেলোয়াড় ও বাতিলপন্থীদের উচ্ছেদ করা।
১২৮৬। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি জানতে পারলেন যে, তার বাড়িতে বসবাসকারী এক পরিবারের নিকট দাবা/পাশা খেলার সরঞ্জাম আছে। তিনি লোক মারফত বলে পাঠান, তোমরা যদি তা বের করে ফেলে না দাও তবে আমি অবশ্যই আমার বাড়ি থেকে তোমাদের উচ্ছেদ করবো। তিনি তাদের এই আচরণ কঠোরভাবে অপছন্দ করেন।
بَابُ الأَدَبِ وَإِخْرَاجِ الَّذِينَ يَلْعَبُونَ بِالنَّرْدِ وَأَهْلِ الْبَاطِلِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهُ بَلَغَهَا أَنَّ أَهْلَ بَيْتٍ فِي دَارِهَا، كَانُوا سُكَّانًا فِيهَا، عِنْدَهُمْ نَرْدٌ، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِمْ: لَئِنْ لَمْ تُخْرِجُوهَا لَأُخْرِجَنَّكُمْ مِنْ دَارِي، وَأَنْكَرَتْ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ.
'Alqama ibn Abi 'Alqama reported from his mother that 'A'isha, may Allah be pleased with her, heard that some people living in a room in her house had a backgammon game. She sent to them, saying, "If you do not remove it, I will evict you from my house." He censured them for playing that.
পরিচ্ছেদঃ ৬১৬- দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং দাবা/পাশা খেলোয়াড় ও বাতিলপন্থীদের উচ্ছেদ করা।
১২৮৭। রবীআ ইবনে কুলসূম (রহঃ) বলেন, আমার পিতা বলেছেন, ইবনুয যুবাইর (রাঃ) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, হে মক্কাবাসীগণ! আমি জানতে পারলাম যে, কুরাইশ বংশের কতক লোক দাবা/পাশা খেলায় লিপ্ত আছে। এটা ছিল অত্যন্ত কঠোর ব্যাপার। আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয় মদ ও জুয়া ...” (সূরা মায়িদাহঃ ৯০)। আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, কোন দাবা/পাশা খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার করে আনা হলে আমি অবশ্যই তার প্রতিটি পশমে ও চামড়ায় কঠোর শাস্তি দিবো এবং যে তাকে গ্রেপ্তার করে আনবে আমি তাকে তার মালপত্র দিয়ে দিবো।
بَابُ الأَدَبِ وَإِخْرَاجِ الَّذِينَ يَلْعَبُونَ بِالنَّرْدِ وَأَهْلِ الْبَاطِلِ
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ بْنُ كُلْثُومِ بْنِ جَبْرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: خَطَبَنَا ابْنُ الزُّبَيْرِ فَقَالَ: يَا أَهْلَ مَكَّةَ، بَلَغَنِي عَنْ رِجَالٍ مِنْ قُرَيْشٍ يَلْعَبُونَ بِلُعْبَةٍ يُقَالُ لَهَا: النَّرْدَشِيرُ، وَكَانَ أَعْسَرَ، قَالَ اللَّهُ: (إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ)، وَإِنِّي أَحْلِفُ بِاللَّهِ: لاَ أُوتَى بِرَجُلٍ لَعِبَ بِهَا إِلاَّ عَاقَبْتُهُ فِي شَعْرِهِ وَبَشَرِهِ، وَأَعْطَيْتُ سَلَبَهُ لِمَنْ أَتَانِي بِهِ.
Kulthum ibn Jabir said, "Ibn az-Zubayr addressed us and said, 'People of Makka, I have heard that there are men of Quraysh who play a game called backgammon. It is done with the left hand. Allah says, 'Wine and gambling.' (5:
90) I swear by Allah that if anyone who plays it is brought before me, I will punish him in his hair and skin, and I will give his booty to the one who brings him to me."
পরিচ্ছেদঃ ৬২৮- কবুতর যবেহ করা।
১৩১২। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে একটি কবুতরের পিছু ধাওয়া করতে দেখলেন। তিনি বলেনঃ এক শয়তান আরেক শয়তানের পিছে লেগেছে। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদ আহমাদ)
بَابُ ذَبْحِ الْحَمَامِ
حَدَّثَنَا شِهَابُ بْنُ مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: رَأَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً يَتْبَعُ حَمَامَةً، قَالَ: شَيْطَانٌ يَتْبَعُ شَيْطَانَةً.
Abu Hurayra said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, saw a man following a dove and said, 'A shaytan following a shaytan.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬২৯- যার প্রয়োজন আছে সে-ই যাবে।
১৩১৫। যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একদিন উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তার নিকট এসে (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চান। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। তখন তার মাথা তার বাঁদীর হাতে ছিল এবং সে তাতে চিরুনী করছিল। তিনি তার মাথা সরিয়ে নিলেন। উমার (রাঃ) তাকে বলেন, তাকে অপনার মাথায় চিরুনী করতে দিন। তিনি বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি লোক পাঠালে আমিই তো আপনার নিকট যেতে পারতাম। উমার (রাঃ) বলেন, প্রয়োজনটা তো আমার। (বায়হাকীর সুনানুল কুবরা)
بَابُ مَنْ كَانَتْ لَهُ حَاجَةٌ , فَهُوَ أَحَقُّ أَنْ يَذْهَبَ إِلَيْهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ حَدَّثَهُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ جَاءَهُ يَسْتَأْذِنُ عَلَيْهِ يَوْمًا، فَأَذِنَ لَهُ وَرَأْسُهُ فِي يَدِ جَارِيَةٍ لَهُ تُرَجِّلُهُ، فَنَزَعَ رَأْسَهُ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: دَعْهَا تُرَجِّلُكَ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَوْ أَرْسَلْتَ إِلَيَّ جِئْتُكَ، فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّمَا الْحَاجَةُ لِي.
Zayd ibn Thabit reported that 'Umar ibn al-Khattab came to him to ask to see him one day and he gave him permission while his head was in the hands of a slavegirl of his who was combing his hair. He removed his head and 'Umar said to him, 'Let her comb it.' He said, 'Amir al-Mu'minin, if you were to send for me, I would come to you.' ''Umar said, 'It is my need.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬৩১- কোন ব্যক্তি একদল লোকের সাথে কথা বলার সময় একজনকে লক্ষ্য করে বলবে না।
১৩১৭। হাবীব ইবনে আবু সাবিত (রহঃ) বলেন, তারা (সাহাবীগণ) এটাই পছন্দ করতেন যে, কোন ব্যক্তি কথা বললে কেবল একজনের সামনাসামনি হয়ে কথা বলবে না, বরং সকলকে সম্বোধন করবে।
بَابُ إِذَا حَدَّثَ الرَّجُلُ الْقَوْمَ لا يُقْبِلُ عَلَى وَاحِدٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ قَالَ: كَانُوا يُحِبُّونَ إِذَا حَدَّثَ الرَّجُلُ أَنْ لاَ يُقْبِلَ عَلَى الرَّجُلِ الْوَاحِدِ، وَلَكِنْ لِيَعُمَّهُمْ.
Habib ibn Abi Thabit said, "When a man spoke, they used to like that he not turn to one particular man, but rather he should address everyone."
পরিচ্ছেদঃ ৬৩২- অবাঞ্ছিত দৃষ্টিপাত।
১৩১৮। ইবনে আবুল হুযাইল (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ (রাঃ) তার সাথীদের একজনকে সাথে নিয়ে এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যান। তিনি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলে তার সাথের লোকটি এদিকে ওদিকে তাকাতে থাকে। আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে বলেন, আল্লাহর শপথ! যদি তোমার চোখ দুটি ফুঁড়ে দেয়া হতো তবে তা তোমার জন্য কল্যাণকর হতো।
بَابُ فُضُولِ النَّظَرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَجْلَحِ، عَنِ ابْنِ أَبِي الْهُذَيْلِ قَالَ: عَادَ عَبْدُ اللهِ رَجُلاً، وَمَعَهُ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا دَخَلَ الدَّارَ جَعَلَ صَاحِبُهُ يَنْظُرُ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللهِ: وَاللَّهِ لَوْ تَفَقَّأَتْ عَيْنَاكَ كَانَ خَيْرًا لَكَ.
Ibn Abi'l-Hudhayl said, "Messenger of Allah visited a man with one of his companions. When he entered the house, his companion began to look around. 'Abdullah told him, 'By Allah, it would have been better for you if your eyes had been gouged out."
পরিচ্ছেদঃ ৬৩৫- দ্বিমুখী চরিত্রের লোকের পাপ।
১৩২৩। আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে দ্বিমুখী চরিত্রের, কিয়ামতের দিন তার আগুনের দুইটি মুখ হবে। এ সময় এক স্থূলকায় ব্যক্তি সেখান দিয়ে গেলে তিনি বলেনঃ এই ব্যক্তি তাদের অন্তর্ভুক্ত। (আবু দাউদ, দারিমী, ইবনে হিব্বান)
بَابُ إِثْمِ ذِي الْوَجْهَيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الأَصْبَهَانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ رُكَيْنٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ حَنْظَلَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: مَنْ كَانَ ذَا وَجْهَيْنِ فِي الدُّنْيَا، كَانَ لَهُ لِسَانَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ نَارٍ، فَمَرَّ رَجُلٌ كَانَ ضَخْمًا، قَالَ: هَذَا مِنْهُمْ.
'Ammar ibn Yasir said, "I heard the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, say, "The person who has two faces in this world will have two tongues of the Fire on the Day of Rising.' He passed by a stout man and said, 'This is one of them.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬৩৮- যুলুম-নির্যাতন।
১৩২৮। মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনুল হানাফিয়্যা (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন হৃষ্টপুষ্ট মাথাবিশিষ্ট এবং ডাগর চোখবিশিষ্ট। তিনি সামনের দিকে ঝুঁকে হাটতেন, যেন তিনি উচ্চ স্থানে আরোহণ করছেন। তিনি কারো প্রতি দৃষ্টিপাত করলে পূর্ণদেহে সেদিকে ফিরতেন। (আহমাদ হাঃ ৬৮৪, তিরমিযী, মুসান্নাফ ইবনে শায়বাহ)
بَابُ الْجَفَاءِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنِ ابْنِ عَقِيلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ضَخْمَ الرَّأْسِ، عَظِيمَ الْعَيْنَيْنِ، إِذَا مَشَى تَكَفَّأَ، كَأَنَّمَا يَمْشِي فِي صَعَدٍ، إِذَا الْتَفَتَ الْتَفَتَ جَمِيعًا.
Muhammad ibn al-Hanafiyya said, "The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, had a large head and large eyes. When he walked, he bent forward as if he was walking up a hill. When he turned around, he turned completely."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪৩- বন্ধুর সার্থে ভালোবাসার আতিশয্য দেখাবে না।
১৩৩৫। আলী (রাঃ) ইবনুল কাওয়াকে বলেন, তুমি কি জানো, প্রথম ব্যক্তি কি বলেছেন? তোমার বন্ধুকে সংগত সীমা পর্যন্ত ভালোবাসো। অসম্ভব নয় যে, সে একদিন তোমার শত্রু হয়ে যেতে পারে। তোমার শত্রুর সাথে তোমার শত্রুতাকে সীমিত রাখো। অসম্ভব নয় যে, সে একদিন তোমার বন্ধু হয়ে যেতে পারে। (তিরমিযী হাঃ ১৯৪৭)
بَابُ أَحْبِبْ حَبِيبَكَ هَوْنًا مَا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْكِنْدِيُّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ لِابْنِ الْكَوَّاءِ: هَلْ تَدْرِي مَا قَالَ الأَوَّلُ؟ أَحْبِبْ حَبِيبَكَ هَوْنًا مَا، عَسَى أَنْ يَكُونَ بَغِيضَكَ يَوْمًا مَا، وَأَبْغِضْ بَغِيضَكَ هَوْنًا مَا، عَسَى أَنْ يَكُونَ حَبِيبَكَ يَوْمًا مَا.
'Ali was heard to say to Ibn al-Kawwa', "Do you know what the first one said? 'Loving the one you love is an easy matter. It may be that one day he will be the one you hate. Hating the one who hate is an easy matter, It may be that one day he will be the one you hate.'"
পরিচ্ছেদঃ ১. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রেরিত হওয়ার পূর্বে লোকেরা যে অজ্ঞতা ও বিভ্রান্তির মধ্যে নিমজ্জিত ছিল
৩. মুজাহিদ রাহ. এর দাস বর্ণনা করেন, তার মনীব (বাড়ির কর্তা) তাকে মাখন ও দুধের একটি পেয়ালা দিয়ে তাদের উপাস্যগণের (দেবতা বা মূর্তিগুলোর) নিকট পাঠালো। তিনি বলেন: আমি দেবতার ভয়ে মাখন খাওয়া হতে বিরত রইলাম। তিনি বলেন, অতঃপর একটি কুকুর এসে মাখন খেয়ে ফেলল এবং দুধ পান করে নিল। তারপর সে মূর্তির উপর পেশাব করে দিল। আর সেই মূর্তিগুলো ছিলো ’উসাফ’ ও ’নায়িলাহ’-এর মূর্তি।[1]
হারুন বলেন: জাহিলী যুগে মানুষ যখন সফর করত তখন সে তার সাথে চারটি পাথর সাথে রাখতো। তার মধ্যে তিনটি পাথর চুলা তৈরির জন্য এবং চতুর্থ পাথরটির সে ইবাদত করত। আর সে কুকুর পালত এবং তার সন্তানদের হত্যা করত।[2]
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান বা উত্তম ।
তাখরীজ: এটি দারিমী একাই বর্ণনা করেছেন। অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন আহমদ, ৩/৪২৫।
بَاب مَا كَانَ عَلَيْهِ النَّاسُ قَبْلَ مَبْعَثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْجَهْلِ وَالضَّلَالَةِ
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُلَيْمَانَ الْمُؤَدِّبِ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَوْلَايَ: " أَنَّ أَهْلَهُ بَعَثُوا مَعَهُ بِقَدَحٍ فِيهِ زُبْدٌ وَلَبَنٌ إِلَى آلِهَتِهِمْ، قَالَ: فَمَنَعَنِي أَنْ آكُلَ الزُّبْدَ لِمَخَافَتِهَا، قَالَ: فَجَاءَ كَلْبٌ فَأَكَلَ الزُّبْدَ وَشَرِبَ اللَّبَنَ، ثُمَّ بَالَ عَلَى الصَّنَمِ وَهُوَ: أُسَافٌ وَنَائِلَةُ، قَالَ هَارُونُ: كَانَ الرَّجُلُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا سَافَرَ، حَمَلَ مَعَهُ أَرْبَعَةَ أَحْجَارٍ: ثَلَاثَةً لِقِدْرِهِ وَالرَّابِعَ يَعْبُدُهُ وَيُرَبِّي كَلْبَهُ، وَيَقْتُلُ وَلَدَهُ
إسناده حسن
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ববর্তী (আসমানী) কিতাবসমূহে লিখিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী
১২. আবী উছমান নাহদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, (একদা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে সাথে নিয়ে ’বাতহা’ (উপত্যকা)-য় গেলেন। সেখানে তাকে বসিয়ে তার চারপাশে রেখা টেনে দিলেন। তারপর বললেন: ’তুমি নড়বে না, কেননা কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমার নিকট কিছু লোক আসবে। তুমি তাদের সাথে কথা বলবে না। আর তারাও তোমার সাথে কথা বলবে না।
এ কথা বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেদিকে যাওয়ার ইচ্ছা করেছিলেন সেদিকে চলে গেলেন। অতঃপর ঐ সব লোকেরা রেখার নিকট এসে উপস্থিত হল কিন্তু তারা রেখাটি অতিক্রম করল না। তারপর তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দিকে ফিরে গেল। রাতের শেষভাগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার নিকট এলেন এবং আমার উরুর উপর মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লেন। আর যখন তিনি ঘুমাতেন তখন নাক ডাকাতেন। যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার উরুর উপর ঘুমে বিভোর, তখন কিছু লোক আসল, যারা ছিল অত্যন্ত উঁচু মানের (ও সম্ভ্রান্ত[1])। তাদের পরনে ছিল সাদা পোশাক। আল্লাহই ভাল জানেন, কী অপূর্ব সৌন্দর্য যে তাদের ছিল! তাদের একদল তাঁর মাথার নিকট এবং একদল তাঁর পায়ের নিকট বসল। এরপর তারা পরস্পর বলাবলি করতে লাগল: এ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে যা দেওয়া হয়েছে, আর কোন বান্দাকে তা দেওয়া হয়েছে বলে আমরা দেখিনি। নিশ্চয় তাঁর চোখদু’টি ঘুমালেও তাঁর অন্তর সদা জাগ্রত।’ তোমরা তাঁর একটি উপমা দাও। (তা হচ্ছে) কোন এক অধিকর্তা একটি প্রাসাদ নির্মাণ করলেন, তারপর সেখানে একটি ভোজ সভার আয়োজন করলেন, অতঃপর লোকদেরকে সে ভোজের খাদ্য ও পানিয় গ্রহণের জন্য আহ্বান করলেন।’ তারপর (এ উপমাটি দিয়েই) তারা উঠে গেলেন। আর ঠিক এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও জেগে উঠলেন। তারপর তিনি বললেন: ’এরা কারা তা কি তুমি জান?’ আমি বললাম: আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন: ’তারা ছিল ফেরেশতা।’ তিনি (আরও) বললেন: তারা যে উপমাটি দিল, সে সম্পর্কে তুমি কি কিছু জান? আমি বললাম: আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তখন তিনি বললেন: ’আর রহমান (আল্লাহ) জান্নাত বানিয়েছেন, তারপর তিনি তাঁর বান্দাদেরকে সেদিকে আহ্বান করেছেন। ফলে যে তাঁর আহ্বানে সাড়া দেবে, সে তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে আহ্বানে সাড়া দেবে না, তিনি তাকে পাকড়াও করবেন এবং শাস্তি দেবেন।”[2]
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। তবে এটি মুরসাল (তাবিঈ বর্ণিত হাদীস)। তবে মুসনাদে আহমাদে ইবনু মাসউদ থেকে আমর কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীসের সনদ সহীহ।
তাখরীজ: তিরমিযী ২৮৬৫; আহমদ, আল মুসনাদ ১/৩৯৯;
بَاب صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُتُبِ قَبْلَ مَبْعَثِهِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مَيْمُونٍ التَّمِيمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ إِلَى الْبَطْحَاءِ، وَمَعَهُ ابْنُ مَسْعُودٍ، فَأَقْعَدَهُ وَخَطَّ عَلَيْهِ خَطًّا، ثُمَّ قَالَ: " لَا تَبْرَحَنَّ فَإِنَّهُ سَيَنْتَهِي إِلَيْكَ رِجَالٌ فَلَا تُكَلِّمْهُمْ، فَإِنَّهُمْ لَنْ يُكَلِّمُوكَ "، فَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيْثُ أَرَادَ، ثُمَّ جَعَلُوا يَنْتَهُونَ إِلَى الْخَطِّ لَا يُجَاوِزُونَهُ، ثُمَّ يَصْدُرُونَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ، جَاءَ إِلَيَّ فَتَوَسَّدَ فَخِذِي، وَكَانَ إِذَا نَامَ، نَفَخَ فِي النَّوْمِ، نَفْخًا فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَسِّدٌ فَخِذِي، رَاقِدٌ، إِذْ أَتَانِي رِجَالٌ كَأَنَّهُمْ الْجِمَالُ عَلَيْهِمْ ثِيَابٌ بِيضٌ اللَّهُ أَعْلَمُ مَا بِهِمْ مِنْ الْجَمَالِ حَتَّى قَعَدَ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ عِنْدَ رَأْسِهِ، وَطَائِفَةٌ مِنْهُمْ عِنْدَ رِجْلَيْهِ، فَقَالُوا بَيْنَهُمْ: مَا رَأَيْنَا عَبْدًا أُوتِيَ مِثْلَ مَا أُوتِيَ هَذَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ عَيْنَيْهِ لَتَنَامَانِ، وَإِنَّ قَلْبَهُ لَيَقْظَانُ، اضْرِبُوا لَهُ مَثَلًا: سَيِّدٌ بَنَى قَصْرًا ثُمَّ جَعَلَ مَأْدُبَةً فَدَعَا النَّاسَ إِلَى طَعَامِهِ وَشَرَابِهِ، ثُمَّ ارْتَفَعُوا، وَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ، فَقَالَ: " أَتَدْرِي مَنْ هَؤُلَاءِ؟ "، قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: " هُمْ الْمَلَائِكَةُ "، قَالَ: " وَهَلْ تَدْرِي مَا الْمَثَلُ الَّذِي ضَرَبُوهُ؟ "، قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: الرَّحْمَنُ بَنَى الْجَنَّةَ فَدَعَا إِلَيْهَا عِبَادَهُ، فَمَنْ أَجَابَهُ، دَخَلَ جَنَّتَهُ، وَمَنْ لَمْ يُجِبْهُ، عَاقَبَهُ وَعَذَّبَهُ
إسناده حسن
পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা
১৮. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে হাঁটতে হাঁটতে বনী নাজ্জারের এলাকায় একটি দেয়ালঘেরা বাগানের নিকট পৌঁছলাম। তখন সেই বাগানে একটি উট ছিল। যে ব্যক্তিই সেই বাগানে প্রবেশ করত, তার উপরই সেটি চড়াও হত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লোকেরা এ কথা জানালো। তিনি সেখানে গেলেন এবং উটটিকে ডাকলেন। উটটি নিচু হয়ে ঠোঁট মাটির উপর লাগিয়ে তাঁর সামনে এসে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল। তখন তিনি বললেন: ’তোমরা একটি লাগাম আনো।’ তারপর তিনি একে লাগাম পরালেন এবং তার মালিককে ফিরিয়ে দিলেন। পরে আমাদেরকে লক্ষ্য করে তিনি বললেন: “আসমান ও জমিনের মাঝে যা কিছু আছে, সকলেই জানে যে, আমি আল্লাহর রাসূল। কেবলমাত্র জ্বিন ও মানুষের মধ্য থেকে অবাধ্যরা ব্যতীত।[1]
তাখরীজ: আবদ ইবনু হুমাইদ, আল মুসনাদ ১১২২; আহমাদ, আল মুসনাদ ৩/৩১০; ইবনু আবী শাইবা নং ১১১৬৮।
بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ
حَدَّثَنَا يَعْلَى، حَدَّثَنَا الْأَجْلَحُ، عَنْ الذَّيَّالِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى دُفِعْنَا إِلَى حَائِطٍ فِي بَنِي النَّجَّارِ، فَإِذَا فِيهِ جَمَلٌ لَا يَدْخُلُ الْحَائِطَ أَحَدٌ إِلَّا شَدَّ عَلَيْهِ، فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَاهُ، فَدَعَاهُ فَجَاءَ وَاضِعًا مِشْفَرَهُ عَلَى الْأَرْضِ حَتَّى بَرَكَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: " هَاتُوا خِطَامًا "، فَخَطَمَهُ وَدَفَعَهُ إِلَى صَاحِبِهِ، ثُمَّ الْتَفَتَ، فَقَالَ: مَا بَيْنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ أَحَدٌ إِلَّا يَعْلَمُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، إِلَّا عَاصِيَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ
إسناده جيد
পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা
২০. জাবির ইবনু সামুরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ’নিশ্চয়ই মক্কার একটি পাথরকে আমি চিনি, আমি (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ব থেকেই যে আমাকে সালাম দিত। নিশ্চয় সেটিকে এখনও আমি চিনি।’[1]
তাখরীজ: আহমদ, আল মুসনাদ ৫/৮৯, ৯৫, ১০৫; মুসলিম, সহীহ ২২৭৭; তিরমিযী ৩৬২৮ ও অন্যান্যরা ।
بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ الْعَبْدِيُّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي لَأَعْرِفُ حَجَرًا بِمَكَّةَ كَانَ يُسَلِّمُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ أُبْعَثَ إِنِّي لَأَعْرِفُهُ الْآنَ
إسناده جيد
পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা
২১. আলী ইবনু আবু তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে মক্কায় ছিলাম। একদা তাঁর সাথে মক্কার পার্শ্ববর্তী কোন এক অঞ্চলের দিকে বের হলাম। তখন আমরা পাহাড় ও গাছপালার মধ্য দিয়ে পথ অতিক্রম করলাম। আমরা যে গাছ ও পাহাড়কেই অতিক্রম করেছি, প্রতিটি গাছ ও পাহাড়ই বলে উঠত: আস্ সালামু আলাইকা, ইয়া রাসূলুল্লাহ![1]
তাখরীজ: তিরমিযী ৩৬৩০; বাইহাকী, দালাইল২/১৫৩-১৫৪।
بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ
حَدَّثَنَا فَرْوَةُ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيل السُّدِّيِّ، عَنْ عَبَّادٍ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِ، قَالَ: " كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فَخَرَجْنَا مَعَهُ فِي بَعْضِ نَوَاحِيهَا، فَمَرَرْنَا بَيْنَ الْجِبَالِ وَالشَّجَرِ، فَلَمْ نَمُرَّ بِشَجَرَةٍ وَلَا جَبَلٍ إِلَّا قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ
إسناده فيه علتان : ضعف الوليد بن أبي ثور وجهالة عباد أبي يزيد وهو عباد بن أبي يزيد
পরিচ্ছেদঃ ৬. মিম্বারের কান্নার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করার বিবরণ
৩৬. তুফাইল তার পিতা উবাই ইবনু কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মাসজিদ যখন ছাদবিহীন ছিল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাষ্ঠখণ্ডের নিকট দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন এবং সেটির উপর ভর দিয়ে খুতবা দিতেন। একজন সাহাবী বললেন, আমরা কি আপনার (মসজিদের) জন্য একটি বসার জায়গা বানিয়ে দেব না, যার উপর দাঁড়ালে জুমু’আর দিন লোকজন আপনাকে দেখতে পায় এবং আপনার খুতবা শুনতে পায়? তিনি বললেন: ’হাঁ’। তখন তাঁর জন্য তিন স্তরবিশিষ্ট অবকাঠামো তৈরী করে মিম্বারের উপর স্থাপন করা হলো। এভাবে মিম্বার তৈরী হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক নির্ধারিত সেটি সে স্থানে স্থাপন করা হল।
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে মিম্বারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য একে (কাষ্ঠখণ্ডটিকে) অতিক্রম করে আগে বাড়লেন, ঠিক তখনই তা আর্তনাদ করে উঠল। ফলে তা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটির উপর হাত বুলিয়ে দিলেন, অতঃপর সেটি শান্ত হল। তারপর তিনি মিম্বারে ফিরে এলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর থেকে যখনই তিনি সালাত আদায় করতেন, এটির নিকটেই আদায় করতেন। তারপর যখন মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হল, তখন উবাই ইবনু কা’ব সেই কাষ্ঠ খণ্ডটি নিয়ে গেলেন। যতদিন তা জীর্ণ না হয়েছিল এবং উইপোকা খেয়ে টুকরা টুকরা না করেছিল, ততদিন তা তার নিকটই ছিল।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ, আল মুসনাদ ৫/১৩৮-১৩৯; ইবনু মাজা ১৪১৪; আবু নুয়াইম, আদ দালাইল ৩০৬।
بَاب مَا أُكْرِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَنِينِ الْمِنْبَرِ
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُصَلِّي إِلَى جِذْعٍ وَيَخْطُبُ إِلَيْهِ إِذْ كَانَ الْمَسْجِدُ عَرِيشًا، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ: أَلَا نَجْعَلُ لَكَ عَرِيشًا تَقُومُ عَلَيْهِ يَرَاكَ النَّاسُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَتُسْمَعُ مِنْ خُطْبَتِكَ؟، قَالَ: " نَعَمْ "، فَصُنِعَ لَهُ الثَّلَاثَ دَرَجَاتٍ، هُنَّ اللَّوَاتِي عَلَى الْمِنْبَرِ، فَلَمَّا صُنِعَ الْمِنْبَرُ وَوُضِعَ فِي مَوْضِعِهِ الَّذِي وَضَعَهُ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَلَمَّا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرِيدُ الْمِنْبَرَ مَرَّ عَلَيْهِ، فَلَمَّا جَاوَزَهُ، خَارَ الْجِذْعُ حَتَّى تَصَدَّعَ وَانْشَقَّ، فَرَجَعَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَسَحَهُ بِيَدِهِ حَتَّى سَكَنَ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمِنْبَرِ، قَالَ: فَكَانَ إِذَا صَلَّى، صَلَّى إِلَيْهِ فَلَمَّا هُدِمَ الْمَسْجِدُ أَخَذَ ذَلِكَ الْجِذْعَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ فَلَمْ يَزَلْ عِنْدَهُ حَتَّى بَلِيَ فَأَكَلَتْهُ الْأَرَضَةُ وَعَادَ رُفَاتًا
إسناده حسن من أجل عبد الله بن محمد بن عقيل
পরিচ্ছেদঃ ৭. খাদ্যে বরকত প্রদানের মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে
৪৫. শাহর ইবনু হাওশাব, আবু উবাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য এক হাঁড়ি (মাংস) রান্না করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন: ’আমাকে সামনের একটি রান দাও।’ তিনি সামনের রানের মাংস পছন্দ করতেন। সে তাঁকে সামনের রান দিল। তিনি আবার বললেন: ’আমাকে সামনের রান দাও।’ তখন সে তাঁকে সামনের রান দিল। তিনি আবারও বললেন: ’আমাকে সামনের রান দাও।’ তখন আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! একটি ছাগলের সামনের রান কয়টি হয়? তিনি উত্তরে বললেন: ’যার হাতে আমার প্রাণ সেই মহান সত্তার কসম! তুমি যদি চুপ থাকতে তাহলে যতক্ষণ আমি চাইতাম ততক্ষণ তুমি আমাকে সামনের রান দিতেই থাকতে।’[1]
তাখরীজ: তাবারানী, কাবীর ২২/৩৩৫ নং ৮৪২; তিরমিযী, শামাইল ১৭০।
بَاب مَا أُكْرِمَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَرَكَةِ طَعَامِهِ
أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ هُوَ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ طَبَخَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِدْرًا، فَقَالَ لَهُ: " نَاوِلْنِي الْذِّرَاعَ "، وَكَانَ يُعْجِبُهُ الذِّرَاعُ، فَنَاوَلَهُ الذِّرَاعَ، ثُمَّ قَالَ: "نَاوِلْنِي الذِّرَاعَ "، فَنَاوَلَهُ ذِرَاعًا، ثُمَّ قَالَ: "نَاوِلْنِي الذِّرَاعَ "، فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، وَكَمْ لِلشَّاةِ مِنْ ذِرَاعٍ؟ فَقَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ أَنْ لَوْ سَكَتَّ لَأُعْطَيْتَ أَذْرُعًا مَا دَعَوْتُ بِهِ
إسناده حسن من أجل شهر بن حوشب
পরিচ্ছেদঃ ৮. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে সকল মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে তার বর্ণনা
৫০. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমিই রাসূলদের পরিচালক আর এতে কোন অহংকার নেই। আর আমিই ’খাতামুন নাবিয়্যীন’ বা নবীদের ধারাবাহিকতা সমাপ্তকারী, এতে আমার কোন অহংকার নেই। আমিই সর্বপ্রথম সুপারিশকারী এবং সর্বপ্রথম আমারই সুপারিশ কবুল করা হবে, এতে আমার কোন অহংকার নেই।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, আল-কাবীর ৪/২৮৬; তাবারানী, আল-আওসাত ১/১৪২ নং ১৭২; বাইহাকী, দালাইল ৫/৪৮০।
بَاب مَا أُعْطِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْفَضْلِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ صَالِحٍ هُوَ ابْنُ عَطَاءِ بْنِ خَبَّابٍ مَوْلَى بَنِي الدُّئِلِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَنَا قَائِدُ الْمُرْسَلِينَ وَلَا فَخْرُ، وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ وَلَا فَخْرُ، وَأَنَا أَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ وَلَا فَخْرُ
إسناده جيد
পরিচ্ছেদঃ ১০. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সৌন্দর্য প্রসঙ্গে
৬৬. ইবরাহীম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাতের বেলায় তার মনোহর সুগন্ধ দ্বারাই চেনা যেত।[1]
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ১/২/১১৩; ইবনু আবী শাইবা, ৯/২৫; আবীশ শাইখ, আখলাকুন্নবী সা: পৃ: ১০৫ ।
بَاب فِي حُسْنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُعْرَفُ بِاللَّيْلِ بِطيبِ الرِّيحِ
إسناده حسن إلى إبراهيم وهو موقوف عليه
পরিচ্ছেদঃ ১১. মৃত ব্যক্তির কথা বলার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানিত করা হয়েছে প্রসঙ্গে
৬৮. আবু সালামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিয়া (উপহার) খেতেন (গ্রহণ করতেন) কিন্তু সাদাকা গ্রহণ করতেন না। একবার খায়বারের এক ইহুদী মহিলা তাঁকে একটি ভূনা ছাগল হাদিয়া দিল। তারপর তিনি তা থেকে খেলেন এবং তা থেকে বিশর ইবনু বারা’ও খেলেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হাত উঠিয়ে নিয়ে বললেন: ’এটি (এই বকরী) আমাকে সংবাদ দিচ্ছে যে, এটি বিষ মিশ্রিত।’ ফলে (তা খেয়ে) বিশর ইবনু বারা’ মৃত্যুবরণ করলেন। তখন তিনি ঐ মহিলার নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন: ’কিসে তোমাকে এ কাজ করতে প্ররোচিত করল? তখন সে বলল, যদি আপনি নবী হন, তবে এটি আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর যদি আপনি কোন বাদশাহ্ হন, তবে (আপনার মৃত্যু হবে ফলে) আপনার কবল থেকে লোকদেরকে আমি রেহাই দিলাম।
তাই তিনি তাঁর অসুস্থতার সময় বলতেন: ’খায়বারে যে খাদ্য আমি খেয়েছিলাম তা আজও আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। এখন এটি আমার প্রাণ ধমনি (কলিজা) ছিঁড়ে ফেলছে।’[1]
তাখরীজ: আবু দাউদ ৪৫১১, ৪৫১২; বাইহাকী, দালাইল ৪/২৬২; ইবনু সা’দ, তাবাকাত ১/১১৩-১১৪।
باب ما أكرم الله -عَزَّوَجَلَّ- بِهِ نبيه صلى الله عليه وسلم من كلام الموتى
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَنبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو اللَّيْثِيُّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ الْهَدِيَّةَ، وَلَا يَقْبَلُ الصَّدَقَةَ، فَأَهْدَتْ لَهُ امْرَأَةٌ مِنْ يَهُودِ خَيْبَرَ شَاةً مَصْلِيَّةً فَتَنَاوَلَ مِنْهَا، وَتَنَاوَلَ مِنْهَا بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ، ثُمَّ رَفَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ، ثُمَّ قَالَ: «إِنَّ هَذِهِ تُخْبِرُنِي أَنَّهَا مَسْمُومَةٌ»، فَمَاتَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا حَمَلَكِ عَلَى مَا صَنَعْتِ؟» فَقَالَتْ: إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا لَمْ يَضُرَّكَ شَيْءٌ، وَإِنْ كُنْتَ مَلِكًا، أَرَحْتُ النَّاسَ مِنْكَ، فَقَالَ فِي مَرَضِهِ: مَا زِلْتُ مِنَ الْأُكْلَةِ الَّتِي أَكَلْتُ بِخَيْبَرَ، فَهَذَا أَوَانُ انْقِطَاعِ أَبْهَرِي
إسناده حسن وهو مرسل
পরিচ্ছেদঃ ১৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওফাত সম্পর্কে
৭৯. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুক্ত দাস আবু মুয়াইহিবা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন: ’আমাকে বাকী’ কবরস্থানের (মৃত) অধিবাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুতরাং তুমি আমার সাথে চল।’ মধ্যরাতে আমি তাঁর সাথে সেখানে গেলাম। যখন তিনি তাদের (কবরবাসীদের) নিকটে গিয়ে দাঁড়ালেন, তখন বললেন: ’হে কবরবাসীগণ! তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। লোকেরা যে অবস্থায় সকালে উপনীত হচ্ছে তার চেয়ে ভাল অবস্থায় সকাল করার জন্য তোমাদেরকে অভিনন্দন। (মহান আল্লাহ যা থেকে তোমাদের কে মুক্তি দিয়েছেন, তা যদি তোমরা জানতে!) অন্ধকার রাতের টুকরার মতো ফিতনা ছুটে আসছে। একটির পেছনেই আরেকটি আসছে। পরবর্তীটি পূর্ববর্তীটির চেয়ে নিকৃষ্টতর।’ তারপর আমার দিকে ফিরে তিনি বললেন: ’হে আবু মুয়াইহিবা! আমাকে দুনিয়ার খাযানা’র (ধনভাণ্ডারের) চাবিগুচ্ছ এবং দুনিয়াতে চিরস্থায়িত্ব , অতঃপর জান্নাত দেওয়া হয়েছিল। এরপর আমাকে এগুলি (নেয়া’মত) ও আমার রবের সাক্ষাৎ- এ দু’টির মাঝে একটিকে বেছে নিতে বলা হয়েছে।’ আমি বললাম, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। হে আল্লাহর রাসূল! আপনি দুনিয়ার খাযানা’র (ধনভাণ্ডারের) চাবিগুচ্ছ এবং দুনিয়াতে চিরদিন থাকার সুযোগ, অতঃপর জান্নাত গ্রহণ করুন। তিনি বললেন: ’আল্লাহর কসম, না, হে আবু মুয়াইহিবা! বরং আমি আমার রবের সাক্ষাতকেই বেছে নিয়েছি।’ এরপর তিনি বাকী’র কবরবাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন, অতঃপর ফিরে এলেন। এরপরই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সেই (অসুখের) ব্যথা শুরু হল, যাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। [1]
তাখরীজ: আহমদ, আল মুসনাদ ৩/৪৮৯; তাবারাণী, মু’জামুল কাবীর ২২/৩৪৭ নং ৮৭১; হাকিম, আল মুসতাদরাক ৩/৫৬; বাইহাকী, দালাইল ৬/১৬৩।
باب في وفاة النبي صلى الله عليه وسلم
أَخْبَرَنَا خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ عُبَيْدٍ مَوْلَى الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، [ص: 216] عَنْ أَبِي مُوَيْهِبَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي قَدْ أُمِرْتُ أَنْ أَسْتَغْفِرَ لِأَهْلِ الْبَقِيعِ فَانْطَلِقْ مَعِي» فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ فَلَمَّا وَقَفَ عَلَيْهِمْ، قَالَ: " السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْمَقَابِرِ، لِيُهْنِكُمْ مَا أَصْبَحْتُمْ فِيهِ مِمَّا أَصْبَحَ فِيهِ النَّاسُ، لَوْ تَعْلَمُونَ مَا نَجَّاكُمُ اللَّهُ مِنْهُ أَقْبَلَتِ الْفِتَنُ كَقِطْعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ يَتْبَعُ آخِرُهَا أَوَّلَهَا: الْآخِرَةُ أَشَرُّ مِنَ الْأُولَى "، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيَّ، فَقَالَ: «يَا أَبَا مُوَيْهِبَةَ إِنِّي قَدْ أُوتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الدُّنْيَا وَالْخُلْدِ فِيهَا، ثُمَّ الْجَنَّةُ، فَخُيِّرْتُ بَيْنَ ذَلِكَ وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّي» قُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، خُذْ مَفَاتِيحَ خَزَائِنِ الدُّنْيَا وَالْخُلْدَ فِيهَا، ثُمَّ الْجَنَّةَ قَالَ: «لَا وَاللَّهِ يَا أَبَا مُوَيْهِبَةَ، لَقَدِ اخْتَرْتُ لِقَاءَ رَبِّي» ثُمَّ اسْتَغْفَرَ لِأَهْلِ الْبَقِيعِ ثُمَّ انْصَرَفَ، فَبُدِئَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَجَعِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ
إسناده جيد