পরিচ্ছেদঃ ৭/৩২. নূহ আলাইহিস সালামের রোযা।
১/১৭১৪। ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ নূহ (আঃ) ঈদুল ফিতরের দিন ও ঈদুল আযহার দিন ব্যতীত সারা বছর রোযা রাখতেন।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন, কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবুল কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হতো তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা)
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَام
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ ابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ أَبِي فِرَاسٍ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ صَامَ نُوحٌ الدَّهْرَ إِلَّا يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الْأَضْحَى
It was narrated from Abu Firas that he heard ‘Abdullah bin ‘Amr say:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘(Prophet) Nuh fasted for a lifetime, except for the Day of Fitr and the Day of Adha.’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৩৯. দশ দিনের রোযা।
২/১৭২৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যুলহিজ্জার) দশ দিনের ইবাদতের চেয়ে দুনিয়ার অন্য কোন দিনের ইবাদত মহান আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় নয়। এই ক’দিনের মধ্যকার এক এক দিনের রোযা এক বছর রোযা রাখার সমান এবং তার এক একটি রাত কদরের রাতের সমান।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মাসউদ বিন ওয়াসীল সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি যাচাই বাছাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ইমাম দারাকুতনী, সুলায়মান বিন দাউদ আত-তায়লাসী ও তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক তারা সকলে বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯১৪, ২৪/৪৮১ নং পৃষ্ঠা) ২. নাহহাস বিন কাহম সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান তার স্মৃতিশক্তির সমালোচনা করেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু আদী বলেন, তিনি সিকাহ রাবী থেকে এককভাবে বর্ণনা করলে তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৪৮২, ৩০/২৮ নং পৃষ্ঠা)
بَاب صِيَامِ الْعَشْرِ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ شَبَّةَ بْنِ عَبِيدَةَ حَدَّثَنَا مَسْعُودُ بْنُ وَاصِلٍ عَنْ النَّهَّاسِ بْنِ قَهْمٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا أَيَّامٌ أَحَبُّ إِلَى اللهِ سُبْحَانَهُ أَنْ يُتَعَبَّدَ لَهُ فِيهَا مِنْ أَيَّامِ الْعَشْرِ وَإِنَّ صِيَامَ يَوْمٍ فِيهَا لَيَعْدِلُ صِيَامَ سَنَةٍ وَلَيْلَةٍ فِيهَا بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“There are no days in this world during which worship is more beloved to Allah, Glorious is He, than the (first) ten days (of Dhul- Hijjah). Fasting one of these days is equivalent to fasting for one year, and one night of them is equal to Lailatul-Qadr.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪০. আরাফাত দিবসের রোযা।
৩/১৭৩২। ইকরিমা (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর বাড়িতে গিয়ে তাকে আরাফাতের ময়দানে আরাফাত দিবসে রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফাতের ময়দানে আরাফাত দিবসে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন।
তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হাওশাব বিন আকীল সম্পর্কে হাকিম একে বুখারীর শর্তে সহিহ বলেছেন, যাহাবী তাতে সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু এটা তাদের অশোভনীয় ধারানা মাত্র। কেননা সানাদে হাওশাব ইবনু আকীল এবং তার শায়খ মাহদী আল-আবাদী হতে ইমাম বুখারী বর্ণনা করেননি। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৫৭১, ৭/৪৬১ নং পৃষ্ঠা) ২. মাহদী আল-আবদী সম্পর্কে ইবনু হাযম তার মুহাল্লা গ্রন্থে বলেন, তিনি অজ্ঞাত। ইমাম যাহাবী আল-মীযান গ্রন্থে তা সমর্থন করেছেন। আবু হাতিম ও ইবনু মাঈনও তাই বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬২২০, ২৮/৫৮৬ নং পৃষ্ঠা)
بَاب صِيَامِ يَوْمِ عَرَفَةَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنِي حَوْشَبُ بْنُ عَقِيلٍ حَدَّثَنِي مَهْدِيٌّ الْعَبْدِيُّ عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فِي بَيْتِهِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ بِعَرَفَاتٍ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ بِعَرَفَاتٍ
It was narrated that ‘Ikrimah said:
“I entered upon Abu Hurairah in his house and asked him about fasting the Day of ‘Arafah at ‘Arafat. Abu Hurairah said: ‘The Messenger of Allah (ﷺ) forbade fasting the Day of ‘Arafah at ‘Arafat.’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪৩. হারাম মাসসমূহের রোযা।
১/১৭৪১। আবূ মুজীবা আল-বাহিলী (রহ.) থেকে তার পিতা অথবা তার চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি সেই ব্যক্তি, গত বছরও আপনার নিকট এসেছিলাম। তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ কী ব্যাপার, আমি তোমার শরীর দুর্বল দেখছি কেন? তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি দিনে আহার করি না, রাতেই আহার করি। তিনি বলেনঃ নিজের দেহকে শাস্তি দিতে কে তোমাকে নির্দেশ দিয়েছে?
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অধিক শক্তিশালী। তিনি বলেনঃ তুমি ধৈর্যের মাসের রোযা রাখো এবং এরপর (প্রতি মাসে) এক দিন রোযা রাখো। আমি বললাম, আমি তো অধিক শক্তিশালী। তিনি বলেনঃ তুমি ধৈর্যের মাসের রোযা রাখো এবং প্রতি মাসে দু’ দিন রোযা রাখো। আমি বললাম, আমি এর অধিক শক্তি রাখি। তিনি বলেনঃ তুমি ধৈর্যের মাসের রোযা রাখো, অতঃপর পতিমাসে তিন দিন এবং হারাম মাসসমূহে রোযা রাখো।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। এর সানাদ ভাল নয়। কেননা এর সানাদে ইদতিরাব হয়েছে। যা হাফিয ‘আত-তাহযীব’ গ্রন্থে এবং তার পূর্বে মানযিরী ‘মুখতাসার সুন্সান’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তিনি বলেছেন, এর সানাদে এরূপ মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে যা আপনি প্রত্যক্ষ করলেন। আর এ জন্যই আমাদের কতিপয় শায়খ এটি দুর্বল হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। এতে আরেকটি দোষ আছে তা হল জাহালাত।
بَاب صِيَامِ أَشْهُرِ الْحُرُمِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي السَّلِيلِ عَنْ أَبِي مُجِيبَةَ الْبَاهِلِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَوْ عَنْ عَمِّهِ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللهِ أَنَا الرَّجُلُ الَّذِي أَتَيْتُكَ عَامَ الْأَوَّلِ قَالَ فَمَا لِي أَرَى جِسْمَكَ نَاحِلًا قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ مَا أَكَلْتُ طَعَامًا بِالنَّهَارِ مَا أَكَلْتُهُ إِلَّا بِاللَّيْلِ قَالَ مَنْ أَمَرَكَ أَنْ تُعَذِّبَ نَفْسَكَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أَقْوَى قَالَ صُمْ شَهْرَ الصَّبْرِ وَيَوْمًا بَعْدَهُ قُلْتُ إِنِّي أَقْوَى قَالَ صُمْ شَهْرَ الصَّبْرِ وَيَوْمَيْنِ بَعْدَهُ قُلْتُ إِنِّي أَقْوَى قَالَ صُمْ شَهْرَ الصَّبْرِ وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ بَعْدَهُ وَصُمْ أَشْهُرَ الْحُرُمِ
It was narrated from Abu Mujibah Al-Bahili that his father or, his paternal uncle, said:
“I came to the Prophet (ﷺ) and said: ‘O Prophet of Allah, I am the man who came to you last year.’ He said: ‘Why do I see your body so thin (and weak)?’ He said: ‘O Messenger of Allah! I do not eat during the day; I only eat at night.’ He said: ‘Who commanded you to punish yourself?’ I said: ‘O Messenger of Allah! I am strong enough.’ He said: ‘Fast the month of patience* and one day after it.’ I said: ‘I am strong enough (to do more).’ He said: ‘Fast the month of patience and two days after it.’ I said: ‘I am strong enough (to do more).’ He said: ‘Fast the month of patience and three days after it, and fast the sacred months.’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪৩. হারাম মাসসমূহের রোযা।
৩/১৭৪৩। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাসে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন।
তাহকীক আলবানীঃ অত্যন্ত যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী দাউদ বিন আতা সম্পর্কে ইমাম বুখারী মুনকার বলেছেন। আবু হাতিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। আবু বাকর আল-বায়হাকী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭৭৫, ৮/৪১৯ নং পৃষ্ঠা)
بَاب صِيَامِ أَشْهُرِ الْحُرُمِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَطَاءٍ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ صِيَامِ رَجَبٍ
It was narrated from Ibn ‘Abbas that:
The Prophet (ﷺ) forbade fasting Rajab.
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪৩. হারাম মাসসমূহের রোযা।
৪/১৭৪৪। মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম (রহ.) থেকে বর্ণিত। উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) হারাম মাসসমূহে রোযা রাখতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন, তুমি শাওয়াল মাসে রোযা রাখো। অতঃপর তিনি হারাম মাসসমূহের রোযা রাখা ছেড়ে দেন এবং আমরণ শাওয়াল মাসে রোযা রাখেন।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয আদ-দারওয়ারদী সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল-আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি যখন তার কিতাব থেকে কোন হাদিস বর্ণনা করেন তখন তা সহিহ কিন্তু যখন মানুষের কিতাব থেকে হাদিস বর্ণনা করতেন তখন তিনি সন্দেহ করতেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)
بَاب صِيَامِ أَشْهُرِ الْحُرُمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الدَّرَاوَرْدِيُّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ أَنَّ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ كَانَ يَصُومُ أَشْهُرَ الْحُرُمِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صُمْ شَوَّالًا فَتَرَكَ أَشْهُرَ الْحُرُمِ ثُمَّ لَمْ يَزَلْ يَصُومُ شَوَّالًا حَتَّى مَاتَ
It was narrated from Muhammad bin Ibrahim that Usamah bin Zaid used to fast the sacred months. The Messenger of Allah (ﷺ) said to him:
“Fast Shawwal.” So he forsook the sacred months and he continued to fast Shawwal until he died.
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪৪. রোযা হলো দেহের যাকাত।
১/১৭৪৫। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিটি জিনিসের যাকাত আছে। রোযা হলো শরীরের যাকাত। মুহরিযের হাদীসে আরো আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ রোযা হলো ধৈর্যের অর্ধাংশ।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন উবায়দাহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হুজ্জাহ নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬২৮০, ২৯/১০৪ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فِي الصَّوْمِ زَكَاةُ الْجَسَدِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ ح و حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ جَمِيعًا عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ عَنْ جُمْهَانَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِكُلِّ شَيْءٍ زَكَاةٌ وَزَكَاةُ الْجَسَدِ الصَّوْمُ زَادَ مُحْرِزٌ فِي حَدِيثِهِ وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصِّيَامُ نِصْفُ الصَّبْرِ
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“For everything there is Zakat and the Zakat of the body is fasting.” (A narrator in one of the chains) Muhriz added in his narration: "And the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Fasting is half of patience.'"
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪৬. রোযাদারের সামনে কেউ পানাহার করলে।
১/১৭৪৮। উম্মু ’উমারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এখানে আসলে আমরা তাঁর সামনে খাদ্যসামগ্রী পরিবেশন করলাম। তাঁর সাথের কতক লোক ছিল রোযাদার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ রোযাদারের সামনে আহার করা হলে ফেরেশতাগণ তার জন্য (আল্লাহর) অনুগ্রহ কামনা করেন।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী লায়লা সম্পর্কে ইমাম যাহাবী অজ্ঞাত নারীর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, তার সুত্রে হাবিব ইবনু যায়দ একক হয়ে গেছেন। হাফিয তার সম্পর্কে মুতাবআতের ক্ষেত্রে মাকবুল বলেছেন। অন্যথায় তিনি হাদিস গ্রহনে শিথিল। কিন্তু তার মুতাবিআত জানা যায়নি। বরং একথা বলা সম্ভব যে, তিনি বিপরীত করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৯২৭, ৩৫/৩০১ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فِي الصَّائِمِ إِذَا أُكِلَ عِنْدَهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ وَسَهْلٌ قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ امْرَأَةٍ يُقَالُ لَهَا لَيْلَى عَنْ أُمِّ عُمَارَةَ قَالَتْ أَتَانَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَرَّبْنَا إِلَيْهِ طَعَامًا فَكَانَ بَعْضُ مَنْ عِنْدَهُ صَائِمًا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصَّائِمُ إِذَا أُكِلَ عِنْدَهُ الطَّعَامُ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ
It was narrated that Umm ‘Umarah said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) came to us and we brought food for him. Some of those who were with him were fasting, and the Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘If food is eaten in the presence of one who is fasting, the angels send blessing upon him.’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪৬. রোযাদারের সামনে কেউ পানাহার করলে।
২/১৭৪৯। বুরাইদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ)-কে বললেনঃ হে বিলাল! সকালের খাবার। বিলাল (রাঃ) বলেন, আমি রোযাদার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমরা আমাদের রিযিক আহার করবো, আর বিলালের অংশ রয়েছে জান্নাতে। হে বিলাল! তুমি কি জানো যে, রোযাদারের সামনে খাওয়া-দাওয়া করা হলে, তার হাড়সমূহ আল্লাহর গুণগান করে এবং ফেরেশতাগণ তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে!
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ ইবনুল মুসাফফা আল-হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ ও তাদলীস করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬১৩, ২৬/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা) ২. বাকিইয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তখন তাকে সিকাহ হিসেবে গন্য করা হবে। ইমাম নাসাঈ বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসানা বা আখবারনা শব্দদয় দ্বারা হাদিস বর্ণনা করেন তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গন্য হবেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৩৮, ৪/১৯২ নং পৃষ্ঠা) ৩. মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যুক তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আল-উকায়লী বলেন, তিনি অপরিচিত, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আল-আযদী তিনি মিথ্যুক তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম যাহাবী তাকে উল্লেখ করে বলেন, তার মাঝে জাহালাত রয়েছে। তিনি সন্দেহভাজন নির্ভরযোগ্য নয়। তার সম্পর্কে আবুল ফাত্তাহ আদ্দী বলেন, তিনি মিথ্যুক তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪১৬, ২৫/৬৫৭ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فِي الصَّائِمِ إِذَا أُكِلَ عِنْدَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِبِلَالٍ الْغَدَاءُ يَا بِلَالُ فَقَالَ إِنِّي صَائِمٌ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَأْكُلُ أَرْزَاقَنَا وَفَضْلُ رِزْقِ بِلَالٍ فِي الْجَنَّةِ أَشَعَرْتَ يَا بِلَالُ أَنَّ الصَّائِمَ تُسَبِّحُ عِظَامُهُ وَتَسْتَغْفِرُ لَهُ الْمَلَائِكَةُ مَا أُكِلَ عِنْدَهُ
It was narrated from Sulaiman bin Buraidah that his father said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said to Bilal: ‘Come and eat, O Bilal.’ He said: ‘I am fasting.’ The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘We are eating our provision, but most of Bilal’s provision is in Paradise. Do you realise, O Bilal, that the bones of the fasting person glorify Allah and the angels pray for forgiveness for him so long as food is eaten in front of him?’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪৮. রোযাদারের দু‘আ প্রত্যাখ্যাত হয় না (কবুল হয়)।
২/১৭৫৩। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইফতারের সময় রোযাদারের অবশ্যই একটি দু’আ আছে, যা রদ হয় না (কবুল হয়)। ইবনু আবূ মুলাইকা (রহ.) বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ)-কে ইফতারের সময় বলতে শুনেছিঃ ’’হে আল্লাহ্! আমি আপনার দয়া ও অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি যা সব কিছুর উপর পরিব্যপ্ত, যেন আপনি আমাকে ক্ষমা করেন’’।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসহাক বিন উবায়দুল্লাহ আল-মাদানীর কারণে হাদিসটি দুর্বল হয়েছে। তার সম্পর্কে শায়খ আলবানী ইরওয়া'উল গালীল এর মধ্যে প্রায় ৫ পৃষ্ঠা আলোচনা করেছেন। বিস্তারিত জানতে দেখুন ইরওয়া'উল গালীল।
بَاب فِي الصَّائِمِ لَا تُرَدُّ دَعْوَتُهُ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ الْمَدَنِيُّ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ لِلصَّائِمِ عِنْدَ فِطْرِهِ لَدَعْوَةً مَا تُرَدُّ
قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ إِذَا أَفْطَرَ اللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي.
It was narrated from ‘Abdullah bin ‘Amr bin ‘As that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “When the fasting person breaks his fast, his supplication is not turned back.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪৯. ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে আহার করা।
২/১৭৫৫। ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন ভোরে তাঁর সাহাবীদের ফিতরা পরিশোধের নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত (ঈদগাহে) রওয়ানা হতেন না।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্ (আল্লাহ্ চায়তো) তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৮৯১, ৪/৪৮৯ নং পৃষ্ঠা) ২. মানদাল বিন আলী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াকুব বিন শসায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬১৭৬, ২৮/৪৯৩ নং পৃষ্ঠা) ৩. উমার বিন সহবান সম্পর্কে আহমাদ বিন সালিহ বলেন, তার ব্যাপারে হাদিস বিশারদগণ এতো কথা বলেছেন, যে তা অন্য কারো ব্যাপারে আমি আর দেখিনি। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তার হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪২৬০, ২১/৩৯৮ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فِي الْأَكْلِ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ حَدَّثَنَا مَنْدَلُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ صَهْبَانَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَا يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يُغَذِّيَ أَصْحَابَهُ مِنْ صَدَقَةِ الْفِطْرِ
It was narrated that Ibn ‘Umar said:
“The Prophet (ﷺ) would not go out on the Day of Fitr until he had had given his Companions some of the charity of Fitr to eat.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৫২. যে ব্যক্তি রমযান মাসে ইসলাম গ্রহণ করলো।
১/১৭৬০। আতিয়্যা ইবনু সুফ্ইয়ান ইবনু ’আবদুল্লাহ্ ইবনু রবীয়া (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের যে প্রতিনিধি দলটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিায়ছিল, তারা সাকীফ গোত্রের ইসলাম গ্রহণের বর্ণনা দেয়। রাবী বলেন, তারা তাঁর নিকটে রমযান মাসে উপস্থিত হয়। তিনি মসজিদে তাদের জন্য একটি তাঁবু খাটিয়ে দিয়েছিলেন। তারা ইসলাম গ্রহণ করার পর রমযান মাসের অবশিষ্ট রোযাগুলো রেখেছিল।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فِيمَنْ أَسْلَمَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْوَهْبِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ حَدَّثَنَا وَفْدُنَا الَّذِينَ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِإِسْلَامِ ثَقِيفٍ قَالَ وَقَدِمُوا عَلَيْهِ فِي رَمَضَانَ فَضَرَبَ عَلَيْهِمْ قُبَّةً فِي الْمَسْجِدِ فَلَمَّا أَسْلَمُوا صَامُوا مَا بَقِيَ عَلَيْهِمْ مِنْ الشَّهْرِ
It was narrated that ‘Atiyyah bin Sufyan bin ‘Abdullah bin Rabi’ah said:
“Our delegation who went to the Messenger of Allah (ﷺ) to announce the Islam of Thaqif told us that they came to him in Ramadan. He set up a tent for them in the mosque, and when they became Muslim, they fasted what was left of the month.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৫৪. কোন ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের মেহমান হলে সে তাদের সম্মতি ব্যতীত (নফল) রোযা রাখবে না।
১/১৭৬৩। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের মেহমান হলে সে যেন তাদের সম্মতি ব্যতীত (নফল) রোযা না রাখে।
তাহকীক আলবানীঃ অত্যন্ত দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী আবু বকর আল-মাদানী সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি ও ইমাম যাহাবী দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল।
بَاب فِيمَنْ نَزَلَ بِقَوْمٍ فَلَا يَصُومُ إِلَّا بِإِذْنِهِمْ
- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْأَزْدِيُّ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ وَخَالِدُ بْنُ أَبِي يَزِيدَ قَالَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْمَدَنِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا نَزَلَ الرَّجُلُ بِقَوْمٍ فَلَا يَصُومُ إِلَّا بِإِذْنِهِمْ
It was narrated from ‘Aishah that the Prophet (ﷺ) said:
“If a man stays among a people, he should not fast without their permission.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৬৭. ইতিকাফের সওয়াব।
১/১৭৮১। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই’তিকাফকারী সম্পর্কে বলেনঃ সে নিজেকে গুনাহ থেকে বিরত রাখে এবং নেককারদের সকল নেকী তার জন্য লেখা হয়।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ঈসা বিন মুসা আল-বুখারী সম্পর্কে মুসলিম বিন কাসিম বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি কখনো কখনো হাদিস বর্ণনায় সিকাহ রাবীর বিপরীত বর্ণনা করেন। হাকিম বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিনতি ১০০ জন অপরিচিত ব্যাক্তির নিকট থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ২. উবায়দাহ আল-আম্মী সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৫১, ১৯/২৫৬ নং পৃষ্ঠা) ৩. ফারকাদ আস-সাবাখী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আল-আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। আবু আহমাদ আল-হাকিম, আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসাঈ ও আবু যুরআহ আর-রাযী তারা বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তিনি যাচাই বাছাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭১৫, ২৩/১৬৪ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فِي ثَوَابِ الِاعْتِكَافِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أُمَيَّةَ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُوسَى الْبُخَارِيُّ عَنْ عُبَيْدَةَ الْعَمِّيِّ عَنْ فَرْقَدٍ السَّبَخِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي الْمُعْتَكِفِ هُوَ يَعْكِفُ الذُّنُوبَ وَيُجْرَى لَهُ مِنْ الْحَسَنَاتِ كَعَامِلِ الْحَسَنَاتِ كُلِّهَا
It was narrated from Ibn ‘Abbas that:
The Messenger of Allah (ﷺ) said concerning the person observing I’tikaf. “He is refraining from sin and he will be given a reward like that of one who does all kinds of good deeds.”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৩. যে মালের যাকাত আদায় করা হয় তা পুঞ্জীভূত সম্পদ নয়।
২/১৭৮৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যখন তুমি তোমার মালের যাকাত আদায় করলে, তখন তুমি তোমার দায়িত্ব সম্পন্ন করে ফেললে।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী দাররাজ আবুস সামহ সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু আবুল হায়সাম থেকে হাদিস বর্ণনায় তার দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল তাকে মুনকার বলেছেন। আবু বিশর আদ-দাওলানী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কোন কওলী বা আমলী ফিসক এর সাথে জড়িত। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭৯৭, ৮/৪৭৭ নং পৃষ্ঠা)
بَاب مَا أُدِّيَ زَكَاتُهُ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ دَرَّاجٍ أَبِي السَّمْحِ عَنْ ابْنِ حُجَيْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أَدَّيْتَ زَكَاةَ مَالِكَ فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ
Abu Hurairah narrated that:
the Messenger of Allah said: “When you pay Zakat on your wealth, then you have done what is required to you.”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৩. যে মালের যাকাত আদায় করা হয় তা পুঞ্জীভূত সম্পদ নয়।
৩/১৭৮৯। ফাতেমাহ বিনত কায়েস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ যাকাত ব্যতীত সম্পদের উপর অন্য কোন দাবি নেই।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবী আবু হামযাহ (মায়মুন) সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্যও নয় আবার দলীলযোগ্যও নয়। ইমাম বুখারী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম তিরমিযি বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি সিকাহ নন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৩৪৬, ২৬/২৩৭ নং পৃষ্ঠা)
بَاب مَا أُدِّيَ زَكَاتُهُ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ عَنْ شَرِيكٍ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ أَنْهَا سَمِعَتْهُ تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَيْسَ فِي الْمَالِ حَقٌّ سِوَى الزَّكَاةِ
Fatima bint Qais narrated that:
she heard him, meaning the Prophet say: “There is nothing due on wealth other then Zakat.”
পরিচ্ছেদঃ ৮/১৬. যেসব মালের যাকাত প্রদান বাধ্যতামূলক।
১/১৮১৪। মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইয়ামনে পাঠান এবং বলেনঃ ফসলের যাকাত বাবদ ফসল, ছাগলের যাকাত বাবদ ছাগল, উটের যাকাত বাবদ উট এবং গরুর যাকাত বাবদ গরু আদায় করবে।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী শারীক বিন আবু নামির সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। তবে ইবনুল জারুদ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু আদী বলেন, তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করলে তখন তার ঐ হাদিসে কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৭৩৭, ১২/৪৭৫ নং পৃষ্ঠা)
بَاب مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ مِنْ الْأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْمِصْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ عَنْ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ وَقَالَ لَهُ خُذْ الْحَبَّ مِنْ الْحَبِّ وَالشَّاةَ مِنْ الْغَنَمِ وَالْبَعِيرَ مِنْ الْإِبِلِ وَالْبَقَرَةَ مِنْ الْبَقَرِ
Mu'adh bin Jabal narrated that:
the Messenger of Allah sent him to Yemen and said to him: “Take grains from grains, sheep from sheep, camels from camels and cows from cows”
পরিচ্ছেদঃ ৮/১৬. যেসব মালের যাকাত প্রদান বাধ্যতামূলক।
২/১৮১৫। ’আমর ইবনু শুয়াইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই পাঁচটি ফসলের উপর যাকাত আরোপ করেছেনঃ যব, গম, খেজুর, কিশমিশ ও ভুট্টা।
তাহকীক আলবানীঃ অত্যন্ত দুর্বল, চারটির কথা সহীহ ভূট্টা ব্যতীত, ভুট্টার কথা মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও তার মাঝে একাধিক মুনকার হাদিস পাওয়া যায়। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৩৪, ২৬/৪১৪ নং পৃষ্ঠা)
بَاب مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ مِنْ الْأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ إِنَّمَا سَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الزَّكَاةَ فِي هَذِهِ الْخَمْسَةِ فِي الْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرِ وَالتَّمْرِ وَالزَّبِيبِ وَالذُّرَةِ
It was narrated from Amr bin:
Shu'aib, form his father, that his grandfather said: “The Messenger of Allah only prescribed Zakat on these five things: wheat, barley, dates, raisins and corn.”
পরিচ্ছেদঃ ৮/১৮. অনুমানে খেজুর ও আঙ্গুরের পরিমাণ নির্ধারণ।
১/১৮১৯। আত্তাব ইবনু উসাইদ (বা উসাইদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকেদের আঙ্গুর ও অন্যান্য ফলের পরিমাণ অনুমান করে নির্ধারণের জন্য লোক পাঠাতেন।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন সালিহ আত-তাম্মার সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী তাকে সিকাহ বললেও ইমাম দারাকুতনী তাকে মাতরুক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫২৯৩, ২৫/৩৭৭ নং পৃষ্ঠা)
بَاب خَرْصِ النَّخْلِ وَالْعِنَبِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ وَالزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ قَالَا حَدَّثَنَا ابْنُ نَافِعٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ التَّمَّارُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ عَتَّابِ بْنِ أَسِيدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَبْعَثُ عَلَى النَّاسِ مَنْ يَخْرُصُ عَلَيْهِمْ كُرُومَهُمْ وَثِمَارَهُمْ
Attab bin Asid narrated that:
the Prophet used to send to the people one who would assess their vineyards and fruits.
পরিচ্ছেদঃ ৮/২২. উশর ও খাজনা।
১/১৮৩১। আলা ইবনুল হাদরামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বাহরাইন বা হাজার এলাকায় পাঠান। আমি দু’ সহোদর মুসলিম ও মুশরিক ভাইয়ের শরীকানা বাগানে পৌঁছে মুসলিম ভাইয়ের নিকট থেকে উশর এবং মুশরিক ভাইয়ের নিকট থেকে খাজনা আদায় করতাম।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুগিরাহ আল-আযদী সম্পর্কে আল্লামাহ আল-বুসায়রী তার যাওয়ায়িদ গ্রন্থে বলেছেন, তিনি অজ্ঞাত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তার মাঝে কোন সমস্যা দেখি না। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬১৪২, ২৮/৩৯৫ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন যায়দ সম্পর্কে আল্লামাহ বুসায়রী তার যাওয়ায়িদ গ্রন্থে বলেছেন, তিনি অজ্ঞাত। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহনে কোন দোষ নেই। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাকবুল। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম যাহাবী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫২২৬, ২৫/২২৮ নং পৃষ্ঠা) ৩. হায়্যান আ'রাজ সম্পর্কে যদিও ইবনু মাঈন তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। এবং ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলে গণ্য করেছেন কিন্তু আল্লামা মিযযী তার আত-তাহযীব গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, আলা সুত্রে তার বর্ণনাটি মুরসাল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৫৭৮, ৭/৪৭৬ নং পৃষ্ঠা)
بَاب الْعُشْرِ وَالْخَرَاجِ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ جُنَيْدٍ الدَّامَغَانِيُّ حَدَّثَنَا عَتَّابُ بْنُ زِيَادٍ الْمُرْوَزِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو حَمْزَةَ قَالَ سَمِعْتُ مُغِيرَةَ الْأَزْدِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ حَيَّانَ الْأَعْرَجِ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْبَحْرَيْنِ أَوْ إِلَى هَجَرَ فَكُنْتُ آتِي الْحَائِطَ يَكُونُ بَيْنَ الْإِخْوَةِ يُسْلِمُ أَحَدُهُمْ فَآخُذُ مِنْ الْمُسْلِمِ الْعُشْرَ وَمِنْ الْمُشْرِكِ الْخَرَاجَ
It was narrated:
that Ala bin Hadrami said: “The Messenger of Allah sent me to Bahrain or Hajar. I used to go to a garden that was shared by some brothers, one of whom had become Muslim. I would take the Ushr (one-tenth of the harvest) from the Muslim, and Kharaj from the Mushrik.”