আমর ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ২০) বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৪২৯. (হাসান সহীহ্) আমর ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আরয করলাম হে আল্লাহর রাসূল! আমি অন্ধ, আমার বাড়ীও দূরে। আমার একজন পথ চালক রয়েছে কিন্তু তাকে আমি সব সময় পাইনা। আপনি কি এই অবস্থায় আমাকে বাড়ীতে ছালাত আদায় করতে অনুমতি দিচ্ছেন?

তিনি বললেনঃ ’’তুমি কি আযান শুনে থাক?’’
আমি বললামঃ হ্যাঁ।
তখন তিনি বললেনঃ ’’তাহলে আমি তোমার জন্যে অনুমতির কোন সুযোগ পাই না।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমদ ৩/৪২৩, আবু দাউদ ৫৫২, ইবনে মাজাহ ৭৯২, ইবনে খুযায়মা ২/৩৬৯ ও হাকেম ১/২৪৭)

(হাসান সহীহ্) ইমাম আহমাদ অন্য বর্ণনায় বলেনঃ

أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  أَتَى الْمَسْجِدَ فَرَأَى فِي الْقَوْمِ رِقَّةً، فَقَالَ: " إِنِّي لَأَهُمُّ أَنْ أَجْعَلَ لِلنَّاسِ إِمَامًا، ثُمَّ أَخْرُجُ فَلَا أَقْدِرُ عَلَى إِنْسَانٍ، يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ فِي بَيْتِهِ إِلَّا أَحْرَقْتُهُ عَلَيْهِ " فَقَالَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّ بَيْنِي وَبَيْنَ الْمَسْجِدِ نَخْلًا، وَشَجَرًا، وَلَا أَقْدِرُ عَلَى قَائِدٍ كُلَّ سَاعَةٍ، أَيَسَعُنِي أَنْ أُصَلِّيَ فِي بَيْتِي ؟ قَالَ: " أَتَسْمَعُ الْإِقَامَةَ ؟ " قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: " فَأْتِهَا "

একদা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে এসে লোকজনের উপস্থিতি খুবই কম লক্ষ্য করলেন। তখন তিনি বললেনঃ ’’আমি ইচ্ছা করছি একজন লোককে ইমাম নির্ধারণ করে দেই সে সালাত কায়েম করুক, অতঃপর আমি বের হয়ে যাই এবং জামাআত পরিত্যাগকারী কোন লোককে গৃহে পেলে তাকে সহ তার গৃহ জ্বালিয়ে দেই।’’

তখন অন্ধ ছাহাবী ইবনে উম্মে মাকতুম বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার গৃহ ও মসজিদের মাঝখানে খেজুর গাছ ও জঙ্গল রয়েছে। আর সবসময় আমি পথচালক পাইনা, এখন গৃহে সালাত আদায় করা কি আমার জন্যে উচিত হবে?

তিনি বললেনঃ ’’তুমি কি একামত [1] শুনে থাক?’’
আমি বললামঃ হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ ’’তাহলে জামাআতে উপস্থিত হবে।’’


নোটঃ হাফেয আবু বকর ইবনে মুনযির বলেন:

একাধিক ছাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে, তারা বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আযান শুনে বিনা ওযরে ছালাতে আসবে না তাদের সালাত হবে না। যারা এ মত পোষণ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন: আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবু মুসা আশআরী (রাঃ)। আর এই কথাটি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতেও বর্ণিত হয়েছে। যেমনটি ৪২৬ নং হাদীছে বর্ণিত হয়েছে।

যারা জামাআতে হাজির হওয়া ফরয মনে করেন তারা হলেন: তাবেঈ আতা, আহমাদ বিন হাম্বল, আবু ছাওর। আর ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি জামাআতে উপস্থিত হওয়ার সামর্থ্য রাখে, তার জন্যে বিনা ওজরে অনুপস্থিত থাকার কোন অুনমতি আমি খুঁজে পাই না।

ইমাম খাত্তাবী ইবনে উম্মে মাকতুম বর্ণিত হাদীছটি উল্লেখ করার পর বলেন, এই হাদীছ দ্বারা এই দলীল পাওয়া যায় যে, জামাআতে উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব। যদি এটা মুস্তাহাব বা সুন্নাত হত তাহলে অন্ধ বা দূর্বল লোকেরা সে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ছিল।

আতা ইবনে আবী রাবাহ বলেছেনঃ শহরে বা গ্রামে বসবাসকারী আল্লাহর সৃষ্টির কারো জন্যে আযান শুনার পর জামাআত ত্যাগ করার কোন অনুমতি নেই।

ইমাম আওযাঈ বলেছেনঃ জুমআর সালাত ও জামাআত পরিত্যাগ করার ব্যাপারে পিতা-মাতার আনুগত্য করা চলবে না।[2]

الترهيب من ترك حضور الجماعة لغير عذر

(حسن صحيح ) و عَنْ عَمْرِو بْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أنا ضَرِيرًا، شَاسِعَ الدَّارِ، وَلِي قَائِدٌ لَا يُلَائِمُنِي ، فَهَلْ تَجِدُ لِي رُخْصَةً أَنْ أُصَلِّيَ فِي بَيْتِي ؟ قَالَ: " أَتَسْمَعُ النِّدَاءَ ؟ " قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ . قَالَ: " مَا أَجِدُ لَكَ رُخْصَةً " (رواه أحمد وأبو داود وابن ماجه وابن خزيمة في صحيحه والحاكم)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে