পরিচ্ছেদঃ ৬. গীবত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
২৭৫২. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলো, গীবত কি? তিনি বললেন: “তোমার ভাইয়ের প্রসঙ্গে তোমার এমন ধরনের কথা-বার্তা বলা, যা সে অপছন্দ করে।” প্রশ্নকারী বলল, আমি যে কথাগুলো বলি, তা প্রকৃতপক্ষেই তার মধ্যে নিহিত থাকলে (সেটাও কি গীবত)? তিনি বললেন: “(তুমি যে কথাগুলো বল), তা প্রকৃতই তার মধ্যে নিহিত থাকলে তবেই তো তুমি তার গীবত করলে। (তুমি যা বল), যদি সেগুলো তার মধ্যে না থাকে তাহলে তো তুমি তাকে মিথ্যা অপবাদ দিলে।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৫৮৯;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৪৯৩, ৬৫২৮, ৬৫৩২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৭৫৮, ৫৭৫৯ তে।
باب فِي الْغِيبَةِ
أَخْبَرَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ الْعَلَاءِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ مَا الْغِيبَةُ قَالَ ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ قِيلَ وَإِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ قَالَ فَإِنْ كَانَ فِيهِ فَقَدْ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ
পরিচ্ছেদঃ ৯. হালাল-পবিত্র খাদ্য খাওয়া সম্পর্কে
২৭৫৫. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হে লোক সকল! নিশ্চয় আল্লাহ্ পবিত্র আর পবিত্র জিনিস ছাড়া তিনি কিছু গ্রহণ করেন না। আল্লাহ্ তা’আলা তার রাসূলগণকে যে বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন মু’মিনদেরও সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:
অর্থ: ’’হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র বস্ত্তু থেকে আহার করো এবং সৎকর্ম করো। তোমরা যা করো সেসম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।” (মু’মিনূন ২৩: ৫১)।
তিনি আরও বলেন,
“হে মু’মিনগণ, তোমাদেরকে আমি যে সব পবিত্র বস্তু দিয়েছি তা থেকে আহার কর, আর আল্লাহরই শোকর করো, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে থাকো।” (বাক্বারাহ ২:১৭২)
তিনি (আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, দীর্ঘ সফরে তার অবস্থা এলোমেলো চুল, ধূলি মলিন অবস্থায় আসমানের দিকে হাত উঠিয়ে (বলে): ’হে রব!, হে রব!’ কিন্তু খাদ্য তার হারাম, পোষাক-পরিচ্ছদ তার হারাম, পানীয় তার হারাম। আর তার লালিত-পালিত হয়েছে হারাম (মাল) দিয়ে। সুতরাং কেমন করে তার (দু’আ) কবূল করা হবে?”[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, তাফসীর ২৯৯২; আহমাদ ২/৩২৮; মুসলিম, যাকাত ১০১৫; বাইহাকী, সালাতুল ইসতিস্কা ৩/৩৪৬; আব্দুর রাযযাক, নং ৮৮৩৯; ইবনু আদী, আল কামিল ১/২৬৪। আরও দেখুন, ফাতহুল বারী ৯/৫১৮; তালখীসুল হাবীর ২/৯৬।
باب فِي أَكْلِ الطَّيِّبِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ مَرْزُوقٍ حَدَّثَنَا عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا الطَّيِّبَ إِنَّ اللَّهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ قَالَ يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنْ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ وَقَالَ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ وَغُذِّيَ بِالْحَرَامِ فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ
পরিচ্ছেদঃ ১২. সিয়ামের হেফাজত করা সম্পর্কে
২৭৫৮. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কত রোযাদার আছে যাদের রোযার বিনিময়ে ক্ষুধা-পিপাসা ছাড়া আর কিছুই জোটে না। কত (তাহাজ্জুদ) সালাত আদায়কারী আছে যাদের রাত্রি জাগরণ ছাড়া আর কিছুই জোটে না।”[1]
তাখরীজ: আামরা এর তাখরীজ দিয়েছি আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৫৫১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৮১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৫৪ তে। ((ইবনু মাজাহ, সাওম ১৬৯০; আহমাদ ২/৩৭৩; ইবনু খুযাইমা ১৯৯৭; হাকিম, ১/৪৩১; তিনি একে বুখারী শর্তানুযায়ী বলেছেন এবং যাহাবী তা সমর্থন করেছেন।– ফাতহুল মান্নান হা/২৮৮৫ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))
باب فِي الْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّوْمِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كَمْ مِنْ صَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلَّا الظَّمَأُ وَكَمْ مِنْ قَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ قِيَامِهِ إِلَّا السَّهَرُ
পরিচ্ছেদঃ ২৩. তোমার নিকটাত্মীয়দেরকে ভয় প্রদর্শন কর
২৭৭০. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আল্লাহ্ তা’আলা কুরআনের এই আয়াতটি নাযিল করলেন, ’’আপনি আপনার নিকটাত্মীদেরকে সতর্ক করে দিন’’ (শু’আরাঃ ২১৪)। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন এবং বললেন, “হে কুরায়শ সম্প্রদায়! তোমরা আত্মরক্ষা কর। আল্লাহর মোকাবেলায় আমি তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হে বানূ আব্দ মানাফ! আল্লাহর মোকাবেলায় আমি তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হে ’আব্বাস ইবনু ’আবদুল মুত্তালিব! আল্লাহর মোকাবেলায় আমি তোমার কোন উপকার করতে পারব না। হে সাফিয়্যাহ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফুফু, আল্লাহর মোকাবেলায় আমি তোমার কোন উপকার করতে পারব না। হে মুহাম্মদ এর মেয়ে ফাতিমাহ! আমার ধন-সম্পদ থেকে যা ইচ্ছা চেয়ে নাও। আল্লাহর মোকাবেলায় আমি তোমার কোন উপকার করতে পারব না। [1]
তাখরীজ: বুখারী, ওয়াসা’আ ২৭৫৩; মুসলিম, ঈমান ২০৪।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৪৬ তে।
باب وأنذر عشيرتك الأقربين
حدثنا الحكم بن نافع عن شعيب عن الزهري قال أخبرني سعيد بن المسيب وأبو سلمة بن عبد الرحمن أن أبا هريرة قال قام النبي صلى الله عليه وسلم حين أنزل الله تعالى وأنذر عشيرتك الأقربين فقال يا معشر قريش اشتروا أنفسكم من الله لا أغني عنكم من الله شيئا يا بني عبد مناف لا أغني عنكم من الله شيئا يا عباس بن عبد المطلب لا أغني عنك من الله شيئا يا صفية عمة رسول الله لا أغني عنك من الله شيئا يا فاطمة بنت محمد سليني ما شئت لا أغني عنك من الله شيئا
পরিচ্ছেদঃ ২৭. আল্লাহর নিকট দুনিয়ার তুচ্ছতা বা হীনতা
২৭৭৫. আবী হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোশ-পাঁচড়ায় আক্রান্ত একটি বকরীর বাচ্চার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, যাকে এর মালিক বাইরে নিক্ষেপ করেছিল। তিনি বললেনঃ “তোমরা কি মনে কর, এই বাচ্চাটি তার মালিকের নিকট তুচ্ছ (বা নিকৃষ্ট)?” তারা বললেনঃ হাঁ।তিনি বললেন: আল্লাহর কসম! এটি তার মালিকদের নিকট যতটুকু নিকৃষ্ট আল্লাহর নিকট দুনিয়াটা এর চেয়েও বেশী নিকৃষ্ট।”[1]
তাখরীজ: আহমেদ ২/৩৩৮।
এর শাহিদ হাদীসটি রয়েছে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুসলিম ২৯৫৭;
এর অপর শাহিদ হাদীসটি রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আামরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৯৩ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীসটি রয়েছে মুসতাওরিদ ইবনু শাদ্দাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে তিরমিযী, যুহদ ২৩২১; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪১১১; আহমাদ ৪/২৩০, ২৩৬।
এর অপর শাহিদ হাদীসটি রয়েছে সাহল ইবনু সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪১১০; হাকিম ৪/৩০৬।
باب فِي هَوَانِ الدُّنْيَا عَلَى اللَّهِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي الْمُهَزِّمِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِسَخْلَةٍ جَرْبَاءَ قَدْ أَخْرَجَهَا أَهْلُهَا قَالَ تُرَوْنَ هَذِهِ هَيِّنَةً عَلَى أَهْلِهَا قَالُوا نَعَمْ قَالَ وَاللَّهِ لَلدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ عَلَى أَهْلِهَا
পরিচ্ছেদঃ ২৮. কোন্ আমল উত্তম
২৭৭৭. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর নিকট উত্তম আমল হলো সন্দেহমুক্ত ঈমান।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, আবূ জাফর হলেন আনসারী এক লোক।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৫৯৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২২ তে।
باب أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْضَلُ الْأَعْمَالِ عِنْدَ اللَّهِ إِيمَانٌ لَا شَكَّ فِيهِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَبُو جَعْفَرٍ رَجُلٌ مِنْ الْأَنْصَارِ
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. আল্লাহ উদ্দেশ্যে একজন অপরজনকে ভালবাসা সম্পর্কে
২৭৯৫. আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ’আমার মহত্ত্বের নিমিত্তে পরস্পর ভালবাসা স্হাপনকারীরা কোথায়? আজ আমি তাদের আমার বিশেষ ছায়ায় ছায়া দান করব। আজ এমন দিন যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া নেই।”[1]
তাখরীজ: মালিক, আশ শি’র ১৩; আহমাদ ২/২৩৭, ৩৭০, ৫৩৫; মুসলিম, বিরর ওয়াল সুলহ ২৫৬৬; বাইহাকী, শাহাদাত ১০/২৩৩।
باب فِي الْمُتَحَابِّينَ فِي اللَّهِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ عَنْ أَبِي الْحُبَابِ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلَالِ الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلِّي
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে
২৭৯৬. আবূ হুরাইরাহ বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ “তোমাদের মধ্যে কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা, সে ভাল লোক হলে (বয়স দ্বারা) তার নেক ’আমল বৃদ্ধি হতে পারে। আর খারাপ লোক হলে সে তওবা করার সুযোগ পাবে।” [1]
তাখরীজ: বুখারী, আলমারদ্বা ৫৬৭৩; মুসলিম, যিকির ওয়াদ দু’আ ২৬৮২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩০০০, ৩০১৫ তে। সংযোজনী: এছাড়াও, আব্দুর রাযযাক ২০৬৩৪।
باب لَا يَتَمَنَّى أَحَدُكُمْ الْمَوْتَ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنِي شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو عُبَيْدٍ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَتَمَنَّى أَحَدُكُمْ الْمَوْتَ إِمَّا مُحْسِنًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَزْدَادَ إِحْسَانًا وَإِمَّا مُسِيئًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَسْتَعْتِبَ
পরিচ্ছেদঃ ৪৮. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ফযীলত সম্পর্কে
২৭৯৯. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: অমুক কোথায়?” তখন তাদের মধ্যে থেকে এক লোক তার সম্পর্কে বললো, সে এই, সে এই (করে)- এভাবে সে তার নামে কুৎসা রটাতে থাকলো। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: সে কি বদরের যুদ্ধে উপস্থিত ছিল না? তারা বললেন: জি-হাঁ। তিনি বললেন: আল্লাহ্ তা’আলা বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সাহাবীদের এরূপ সুসংবাদ জানিয়ে দিয়েছেন যে, তোমরা তোমাদের খুশীমত আমল কর, আমি তোমাদের মাফ করে দিয়েছি ।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ২/২৯৫-২৯৬; আবু দাউদ, সুন্নাহ ৪৬৫৪;
এর শাহিদ সহীহ হাদীস রয়েছে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যা বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৯৪, ৩৯৫, ৩৯৬, ৩৯৭, ৩৯৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৬৯৯, ৭১১৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২২২০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৯ তে।
باب فِي فَضْلِ أَهْلِ بَدْرٍ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيْنَ فُلَانٌ فَغَمَزَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَقَالَ إِنَّهُ وَإِنَّهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَيْسَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا قَالُوا بَلَى قَالَ فَلَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ যে কোন যাকে আমি লা’নত বা গালি দিয়েছি - এ সম্পর্কে
২৮০৩. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ দু’আ করতে শুনেছেনঃ হে আল্লাহ! আমি তো একজন মানুষ মাত্র। ফলে যদি আমি কোন মুসলিম লোককে লা’নত করি, কিংবা অভিশাপ বা গালি দেয়, অথবা খারাপ বলে থাকি, তবে আপনি সেটাকে কিয়ামতের দিন তার জন্য দু’আ, রহমত ও আপনার নৈকট্য অর্জনের উপায় বানিয়ে দিন।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৩৩৯ নং ৯৬০০; মুসলিম, বিরর ওয়াল সুলহ ২৬০১; আহমাদ ২/২৯০, ৪৯৩ এবং ৩/৪০০; বুখারী, দাওয়াত ৬৩৬১।
باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّمَا رَجُلٍ لَعَنْتُهُ أَوْ سَبَبْتُهُ
حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُمَّ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَأَيُّ الْمُسْلِمِينَ لَعَنْتُهُ أَوْ شَتَمْتُهُ أَوْ جَلَدْتُهُ فَاجْعَلْهَا لَهُ صَلَاةً وَرَحْمَةً وَقُرْبَةً تُقَرِّبُهُ بِهَا إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৫৮. নাবী (ﷺ) এর উপর একবার সালাত (দরুদ) পড়ার ফযীলত
২৮১০. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার সালাত পাঠ করবে, আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশবার রহমত করবেন।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম, সালাত ৪০৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৪৯৫, ৬৫২৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯০৫, ৯০৬ তে। ((আবূ দাউদ, সালাত ১৫৩০; তিরমিযী, সালাত ৪৮৫; নাসাঈ, সাহু, ১২৯৬; বুখারী, আদাবুল মুফরাদ।– ফাতহুল মান্নান, হা/২৯৩৮ এর টীকা হতে।–অনুবাদক।))
সংযোজনী: ইবনু আবী আসিম, আস সালাত আলান্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নং ৫৩, ৫৪। আরও দেখুন, সাখাবী, কওলুল বাদী’ পৃ: ১৬৫।
باب فِي فَضْلِ الصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَدَنِيُّ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلَاةً وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا
পরিচ্ছেদঃ ৬৫. একই গর্তে মু’মিন ব্যক্তি দু’বার দংশিত হয় না
২৮১৯. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মু’মিন একই গর্ত থেকে দু’বার দংশিত হয় না।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, আদাব ৬১৩৩; মুসলিম, যুহদ ওয়ার রাকাইক ২৯৯৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৬৩ তে।
সংযোজনী: বুখারী, আদাবুল মুফরাদ নং ১২৭৮; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ২/১৯৭; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৫/২১৯।
باب لَا يُلْدَغُ الْمُؤْمِنُ مِنْ جُحْرٍ مَرَّتَيْنِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنَا عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يُلْدَغُ الْمُؤْمِنُ مِنْ جُحْرٍ وَاحِدٍ مَرَّتَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ ৬৯. আল্লাহর নিকট একশতটি 'রহমত' রয়েছে
২৮২৩. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “আল্লাহ রহমতকে একশত ভাগে বিভক্ত করেছেন। তার মধ্যে নিরানব্বই ভাগ তিনি নিজের কাছে সংরক্ষিত রেখেছেন। আর পৃথিবীতে একভাগ পাঠিয়েছেন। ঐ এক ভাগ পাওয়ার কারণেই সৃষ্ট জগত পরস্পরের প্রতি দয়া করে। এমনকি ঘোড়া তার বাচ্চার উপর থেকে পা উঠিয়ে নেয় এই আশঙ্কায় যে, তা একে আঘাত করতে পারে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, রিকাক্ব ৬৪৬৯; মুসলিম, তাওবাহ ২৭৫২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৬৭২, ৬৫০৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬১৪৭, ৬১৪৮ তে।
باب إِنَّ لِلَّهِ مِائَةَ رَحْمَةٍ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ جَعَلَ اللَّهُ الرَّحْمَةَ مِائَةَ جُزْءٍ فَأَمْسَكَ عِنْدَهُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ وَأَنْزَلَ فِي الْأَرْضِ جُزْءًا وَاحِدًا فَمِنْ ذَلِكَ الْجُزْءِ يَتَرَاحَمُ الْخَلْقُ حَتَّى تَرْفَعَ الْفَرَسُ حَافِرَهَا عَنْ وَلَدِهَا خَشْيَةَ أَنْ تُصِيبَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৭৪. উত্তম চরিত্র সম্পর্কে
২৮৩০. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মুমিনদের মাঝে ঈমানে সেই পরিপূর্ণ, তাদের মাঝে যার চরিত্র সুন্দরতম।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৭৯; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং১৯২৬ তে। ((তিরযিমী, রিদা’আ ১১৬২; আবূ দাউদ, সুন্নাহ ৪৬৮২-অনুবাদক।))
সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ৮/৫১৬ নং ৫৩৭৩।
আমাদের বক্তব্য: এর অনেক গুলি শাহিদ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, আবী দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৮১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯২০, ১৯২১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৯৮ তে।
باب فِي حُسْنِ الْخُلُقِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلَانَ عَنْ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا
পরিচ্ছেদঃ ৭৬. যে ব্যক্তির চোখের দৃষ্টি নষ্ট হয়ে গিয়েছে আর সে সবর করেছে
২৮৩৩. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাঁর রব থেকে) বলেন, “যার দুই প্রিয় বস্তু (চোখ) আমি নিয়ে নেই, আর সে যদি তাতে সবর করে এবং ছওয়াবের আশা রাখে, তবে এর বিনিময়ে তাকে জান্নাত প্রদান ছাড়া আর কিছুতে আমি সন্তুষ্ট হব না।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ২/২৬৫; তিরমিযী, যুহদ ২৪০১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহহি ইবনু হিব্বান নং ২৯৩২।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী,মারদআ ৫৬৫৩ তে। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৭১১, ৪২১১, ৪২৮৫ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৬৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৯৩০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭০৫ ও মু’জামুশ শুয়ূখ লি আবী ইয়ালা নং ৩৩১, ৩৩৫ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইরবায ইবনু সারিয়াহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৯৩১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭০৬ তে।
باب فِيمَنْ ذَهَبَ بَصَرُهُ فَصَبَرَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكَرْمَانِيُّ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَذْهَبْتُ حَبِيبَتَيْهِ فَصَبَرَ وَاحْتَسَبَ لَمْ أَرْضَ لَهُ بِثَوَابٍ دُونَ الْجَنَّةِ
পরিচ্ছেদঃ ৮০. কিয়ামতের অবস্থা ও সর্বোচ্চ মহান প্রতিপালকের 'নুযুল' (নাযিল হওয়া)
২৮৩৭. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন পৃথিবী আপন মুষ্টিতে ধারণ করবেন এবং আসমান তাঁর ডান হাতে জড়িয়ে নিয়ে বলবেন: ’আমিই একমাত্র অধিপতি। পৃথিবীর অধিপতিরা কোথায়?”[1]
তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর সুরাতুল যুমার ৪৮১২; মুসলিম, সিফাতুল মুনাফিকীন ২৭৮৭।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৫০ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, বাইহাকী, আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ২১৫-২১৬।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যা বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন, আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৫৫৮ তে।
باب فِي شَأْنِ السَّاعَةِ وَنُزُولِ الرَّبِّ تَعَالَى
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَقْبِضُ اللَّهُ الْأَرْضَ وَيَطْوِي السَّمَوَاتِ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ مُلُوكُ الْأَرْضِ
পরিচ্ছেদঃ ৮১. মহান আল্লাহর দীদার বা দর্শন
২৮৩৯. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার কয়েকজন লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, কিয়ামতের দিন আমরা কি আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “পূর্ণিমা রাতে চাঁদের নিচে কোনো মেঘের আড়াল না থাকে, তবে তা (দেখার ব্যাপারে) কি তোমাদের সন্দেহ থাকে? তারা বলল, না, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ সূর্যের নিচে যখন কোন মেঘ না থাকে তখন তা (দেখার ব্যাপারে) কি তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকে? তারা বলল, না! তিনি বললেনঃ “তোমরা অবশ্যই কিয়ামতের দিন আল্লাহকে ঐরূপ দেখতে পাবে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, আযান ৮০৬; মুসলিম, ঈমান ১৮২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৩৬০, ৬৬৮৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪২৯, ৭৪৪৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২১২ তে।
আল্লাহ তা’আলাকে দেখার ব্যাপারে তিনটি মতামত রয়েছে:
১. সাহাবা, তাবিঈন ও মুসলিম আইম্মাগণের মতামত হলো এই যে, আল্লাহ তআলাকে আখিরাতে সচক্ষে দেখা যাবে। আর দুনিয়াতে চক্ষু দ্বারা মহান আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। তবে স্বপ্নে দেখতে পারে।
২. একদল লোক বলেন: দুনিয়া আখিরাতে কোথাওই আল্লাহ তা’আলাকে দেখা যাবে না।
৩. তৃতীয় দলের লোকের মত হলো, দুনিয়াতে এবং আখিরাতে উভয় স্থানেই আল্লাহকে দেখা যাবে।
মুলত: সাহাবাগণ, তাবিঈগণ ও মুসলিম আইম্মাগণই সঠিক (১ম মতটি)। আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।
باب النَّظَرِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَعَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ اللَّيْثِيُّ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُمَا أَنَّ النَّاسَ قَالُوا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ تُمَارُونَ فِي الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لَيْسَ دُونَهُ سَحَابٌ قَالُوا لَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ فَهَلْ تُمَارُونَ فِي الشَّمْسِ لَيْسَ دُونَهَا سَحَابٌ قَالُوا لَا قَالَ فَإِنَّكُمْ تَرَوْنَهُ كَذَلِكَ
পরিচ্ছেদঃ ৮৩. কিয়ামত দিবসে মু’মিনগণের সাজদা করা প্রসঙ্গে
২৮৪১. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: মহান আল্লাহ যখন বান্দাদেরকে একত্রিত করবেন একটি ভূমিতে, তখন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেন: যারা যে জিনিসের ’ইবাদাত করতো, তারা যেন সে জিনিসের কাছে গমন করে। এরপর যারা যার ইবাদত করতো, সকলেই তাদের উপাস্যের সঙ্গে যাবে। লোকেরা তাদের নিজ নিজ অবস্থার উপর থেকে যাবে। অবশেষে তিনি এসে বলবেন: লোকদের কী হলো, সকলেই চলে গেলো, আর তোমরা এখানে থেকে গেলে যে? তারা বলবে, আমরা অপেক্ষা করছি আমাদের রবের। তখন তিনি বলবেন: তোমরা কি তাঁকে চিনতে পারবে? উত্তরে তারা বলবে: তিনি যখন আমাদের কাছে পরিচয় দেবেন, তখন আমরা তাকে চিনতে পারব। এরপর তাদের সামনে তিনি তাঁর ’সাক্ব’ (পায়ের নলা) উন্মুক্ত করবেন, তখন তারা সিজদায় পড়ে যাবে। এটিই হলো, আল্লাহর বাণীঃ “সেইদিন যেদিন ’সাক্ব’ (পায়ের নিম্নাংশ) উন্মোচিত করা হবে,এবং তাদেরকে আহ্বান করা হবে সাজদা করার জন্য; কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না।” (আল ক্বলম: ৪২) তবে অবশিষ্ট থেকে যাবে কেবল সকল মুনাফিক, কিন্তু তারা সিজদা করতে সক্ষম হবে না। এরপর লোকদেরকে জান্নাতের দিকে পথ প্রদর্শন করা হবে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, আযান ৮০৬; মুসলিম, ঈমান ১৮২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৩৬০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪২৯, ৭৪৪৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২১২ তে।
باب فِي سُجُودِ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْبَزَّازُ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ إِسْحَقَ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ يَسَارٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا جَمَعَ اللَّهُ الْعِبَادَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ نَادَى مُنَادٍ لِيَلْحَقْ كُلُّ قَوْمٍ بِمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ فَيَلْحَقُ كُلُّ قَوْمٍ بِمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ وَيَبْقَى النَّاسُ عَلَى حَالِهِمْ فَيَأْتِيهِمْ فَيَقُولُ مَا بَالُ النَّاسِ ذَهَبُوا وَأَنْتُمْ هَا هُنَا فَيَقُولُونَ نَنْتَظِرُ إِلَهَنَا فَيَقُولُ هَلْ تَعْرِفُونَهُ فَيَقُولُونَ إِذَا تَعَرَّفَ إِلَيْنَا عَرَفْنَاهُ فَيَكْشِفُ لَهُمْ عَنْ سَاقِهِ فَيَقَعُونَ سُجُودًا فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَيُدْعَوْنَ إِلَى السُّجُودِ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ يَبْقَى كُلُّ مُنَافِقٍ فَلَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَسْجُدَ ثُمَّ يَقُودُهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ
পরিচ্ছেদঃ ৮৫. প্রত্যেক নাবীর একটি দু’আ রয়েছে
২৮৪৩. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “প্রত্যেক নবীর এমন একটি দু’আ থাকে, (যা আল্লাহর নিকট কবুল হয়)। আর আমার ইচ্ছা, ইনশা আল্লাহু তা’আলা, আমি আমার সে দু’আটি আখিরাতে আমার উম্মাতের শাফায়াতের জন্য গোপন করে রাখি।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, দা’ওয়াত ৬৩০৪; মুসলিম, ঈমান ১৯৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৪৬১ তে।
باب إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةً
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةٌ وَأُرِيدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى أَنْ أَخْتَبِئَ دَعْوَتِي شَفَاعَةً لِأُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৮৫. প্রত্যেক নাবীর একটি দু’আ রয়েছে
২৮৪৪. (অপর সনদে) আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি।
باب إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةً
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ أَسِيدِ بْنِ جَارِيَةَ مِثْلَ ذَلِكَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ