৩৯৫

পরিচ্ছেদঃ ১৪) সাধারণ ভাবে নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, রুকু, সেজদা এবং বিনয় নম্রতার ফযীলত

৩৯৫. (সহীহ্) উক্ববা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে নিজেরা নিজেদের খিদমত করতাম। আমরা পরস্পর পালা করে উট চরাতাম। আমার উট চরানোর পালা এলে আমি তা বিকালের দিকে মাঠে নিয়ে যেতাম। একদিন রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষের সামনে বক্তৃতা করছিলেন। তখন আমি শুনলাম তিনি একথা বলছেনঃ

’’তোমাদের কোন ব্যক্তি যদি ওযু করে, অতঃপর ওযুকে সুন্দররূপে সম্পাদন করে, তারপর হৃদয়-শরীরকে নিবিষ্ট করে দু’রাকাআত নামায আদায় করে, তবে সে (এমন আমল করল যা জান্নাতকে) আবশ্যক করে দিবে।’’ আমি বললাম, বাহ্ বাহ্ কতই না সুন্দর কথা!

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মুসলিম ২৩৪, আবু দাউদ ১৬৯, নাসাঈ ১/১৪, ইবনে মাজাহ ৪৭০, ইবনে খুযায়মা ও হাকেম, হাদীছের বাক্য আবু দাউদের)


তবে হাকেমের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ

ما من مسلم يتوضأ فيسبغ الوضوء ثم يقوم في صلاته فيعلم ما يقول إلا انفتل وهو كيوم ولدته أمه الحديث وقال صحيح الإسناد أوجب أي أتى بما يوجب له الجنة

’’যে কোন মুসলমান যদি ওযু করে, অতঃপর ওযুকে পূর্ণরূপে সম্পাদন করে, তারপর নামাযে দন্ডায়মান হয়, সে জানে যে নামাযে কি বলছে, তবে সে নামায থেকে সেই দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে ফিরে যাবে, যে দিন তার মাতা তাকে ভূমিষ্ট করেছিল।’’

الترغيب في الصلاة مطلقا وفضل الركوع والسجود والخشوع

(صحيح) وَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُدَّامَ أَنْفُسِنَا نَتَنَاوَبُ الرِّعَايَةَ رِعَايَةَ إِبِلِنَا فَكَانَتْ عَلَيَّ رِعَايَةُ الْإِبِلِ فَرَوَّحْتُهَا بِالْعَشِيِّ فإذا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ النَّاسَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُومُ فَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ يُقْبِلُ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلَّا قَدْ أَوْجَبَ فَقُلْتُ بَخٍ بَخٍ مَا أَجْوَدَ هَذِهِ . رواه مسلم وأبو داود واللفظ له والنسائي وابن ماجه وابن خزيمة ورواه الحاكم


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ