৬৭

পরিচ্ছেদঃ ১) ইলম (বিদ্যা), উহা অনুসন্ধান, শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ। ওলামা এবং ছাত্রদের ফযিলতের ব্যাপারে যা এসেছে তার বর্ণনা।

৬৭. (সহীহ) মুআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেনঃ
’’আল্লাহ যার কল্যান চান, তাকে দ্বীনের গভীর জ্ঞান দান করেন।’’[1]

(বুখারী ৯১, মুসলিম ১০৩৭ ও ইবনু মাজাহ ২২১ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।)

(হাসান লি গাইরিহী) হাদীছটি ত্বাবরানীও [কাবীর গ্রন্থে] বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনার বাক্য এরকমঃ

আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একথা বলতে শুনেছিঃ

يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّمَا الْعِلْمُ بِالتَّعَلُّمِ، وَالْفِقْهُ بِالتَّفَقُّهِ، وَمَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ، وَإِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ"

’’হে লোক সকল! শিক্ষার্জনের মাধ্যমে জ্ঞান লাভ করা যায়, গবেষণার মাধ্যমেই ফিক্বাহ অর্জন করা যায়। আর আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের ফিক্বহ (গভীর জ্ঞান) দান করেন। إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ [আল্লাহকে তো তাঁর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই ভয় করে চলে।](সূরা ফাতেরঃ ২৮)


[1] . ফিকাহ্ শব্দের আসল অর্থ হচ্ছে বুঝা। বলা হয় فَقِهَ الرجلُ লোকটি বুঝেছে ও জেনেছে। আর فَقُهَ ক্বাফ অক্ষরে পেশ দিয়ে অর্থ হবে ফিকাহবিদ ও আলেম। পরিভাষায় শরীয়তের বিদ্যাকেই ফিকাহ বলা হয়। বিশেষ করে শরীয়তের শাখা-প্রশাখাগত জ্ঞানকে ফিকাহ্ বলা হয়। আবুস্ সাআদাত একথাটি বলেছেন।

শায়খ আলবানী বলেন, কিন্তু তাঁর এই কথার পক্ষে কোন দলীল নেই। কেননা দারেমী বর্ণনা করেন ইমরান মিনকারী থেকে। তিনি বলেন, আমি কোন একটি বিষয়ে হাসান বাসরীকে বললাম ফিকাহবিদগণ তো এরূপ বলেননি। তিনি বললেন, তোমার ধ্বংস হোক! তুমি প্রকৃত ফিকাহবিদ দেখেছো? প্রকৃত ফিকাহবিদ হচ্ছে সেই ব্যক্তি যিনি দুনিয়া বিমুখ, আখেরাত মুখী, ধর্মের যাবতীয় বিষয়ে পন্ডিত এবং সর্বদা পালনকর্তার ইবাদতে লিপ্ত।

الترغيب في العلم وطلبه وتعلمه وتعليمه وما جاء في فضل العلماء والمتعلمين

(صحيح) عَنْ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :"مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ". رواه البخاري ومسلم وابن ماجه