৫৮৮৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৮৮৭-[২০] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়দ (ইবনু হারিসাহ্), জাফর (ইবনু আবূ তালিব) ও (আবদুল্লাহ) ইবনু রওয়াহাহ-এর মৃত্যু সংবাদ যুদ্ধের ময়দান হতে আসার আগেই নবী (সা.) লোকেদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। রণক্ষেত্রের বর্ণনা তিনি (সা.) এভাবে দিয়েছেন- যায়দ পতাকা হাতে নিয়েছে, সে শহীদ হয়েছে। তারপর জাফর পতাকা হাতে নিয়েছে, সেও শহীদ হয়েছে। অতঃপর ’আবদুল্লাহ ইবনু রওয়াহাহ্ পতাকা ধরেছে, সেও শহীদ হয়েছে। (বর্ণনাকারী বলেন,) এ সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর চক্ষুদ্বয় হতে অশ্রুধারা প্রবাহিত ছিল। এরপর তিনি (সা.) বললেন, আল্লাহর তরবারিসমূহের এক তরবারি [খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ)] পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা কাফিরদের ওপর মুসলিমদের বিজয়ী করেছেন। (বুখারী)

الفصل الاول (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ نَعَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدًا وَجَعْفَرًا وَابْنَ رَوَاحَةَ لِلنَّاسِ قَبْلَ أَن يَأْتِيهِ خَبَرُهُمْ فَقَالَ أَخْذَ الرَّايَةَ زِيدٌ فَأُصِيبَ ثُمَّ أَخَذَ جَعْفَرٌ فَأُصِيبَ ثُمَّ أَخَذَ ابْنُ رَوَاحَةَ فَأُصِيبَ وَعَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ حَتَّى أَخَذَ الرَّايَةَ سَيْفٌ من سيوف الله حَتَّى فتح الله عَلَيْهِم. رَوَاهُ البُخَارِيّ رواہ البخاری (4262) ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা : উক্ত হাদীসে মূতার যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যে সকল সেনাপতি মূতার যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেছেন রাসূলুল্লাহ (সা.) মদীনায় থেকে তাদের সংবাদ দিয়েছেন। মিরকাত প্রণেতা বলেন, এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, কেউ মারা গেলে তার সংবাদ প্রচার করা বৈধ।
অষ্টম হিজরীতে তিন হাজার মুসলিম সৈন্য সিরিয়ার মূতা নামক এলাকায় তৎকালীন রোমের বাদশাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। প্রতিপক্ষের সৈন্য ছিল এক লক্ষ। সেই যুদ্ধে এক এক করে তিনজন মুসলিম সেনাপতি শহীদ হন। তখন রাসূল (সা.) মদীনায় বসে থেকে তাদের মৃত্যুর সংবাদ দিচ্ছিলেন। আর তার চক্ষু দিয়ে অঝরে অশ্রু বেয়ে পড়ছিল। তিনজন সেনাপতির শাহাদাতের পর দায়িত্ব নেন খালিদ ইবনু ওয়ালীদ। তিনি জীবন বাজি রেখে বীর বিক্রমে লড়াই করে যান। সেদিন তিনি একে একে আটটি তরবারি যুদ্ধ করে ভেঙ্গে ফেলেন এবং ছিনিয়ে আনেন মুসলিমদের বিজয়। তবে বিজয়টি কিভাবে হয়েছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে এই বিষয়ে যে, তারা কি বিজয়ী হয়ে মুশরিকদেরকে পরাজিত করে গনীমতের মাল নিয়ে ফিরেছিলেন নাকি শুধু কেবল বীরত্ব দেখিয়ে নিরাপদে মদীনায় ফিরে এসেছিলেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)