৫৮৩৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা

৫৮৩৩-[৩৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বেশি বেশি আল্লাহর যিকর করতেন। অর্থহীন কথা খুব কমই বলতেন, সালাতকে দীর্ঘায়িত করতেন, কিন্তু খুত্ববাহ সংক্ষেপে দিতেন। তিনি (সা.) কোন বিধবা নারী বা গরীব-মিসকীনদের সাথে চলতে কোন রকম সংকোচবোধ করতেন না। এমনকি তাদের প্রয়োজন মিটাতেন। (নাসায়ী ও দারিমী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)

وَعَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِرُ الذِّكْرَ وَيُقِلُّ اللَّغْوَ وَيُطِيلُ الصَّلَاةَ وَيُقْصِرُ الْخُطْبَةَ وَلَا يَأْنَفُ أَنْ يَمْشِيَ مَعَ الْأَرْمَلَةِ والمسكين فَيَقْضِي الْحَاجة. رَوَاهُ النَّسَائِيّ والدارمي اسنادہ حسن ، رواہ النسائی (3 / 108 ۔ 109 ح 1415) و الدارمی (1 / 35 ح 75) ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা: ‘যিকর’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মহান আল্লাহর যিকর বা স্মরণ এবং প্রত্যেক ঐ বস্তু যা মহান আল্লাহর যিকরের সাথে সম্পৃক্ত। আর বাস্তবিক কথা হলো, অধিকাংশ সময় কিংবা বিভিন্ন পদ্ধতিতে সর্বদা এবং প্রতি মুহূর্তে রাসূল আল্লাহ তা'আলার যিকরে লিপ্ত থাকতেন।
(اللَّغْوَ) অর্থ নিরর্থক কথা। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো প্রত্যেক ঐ কথা যা মহান আল্লাহর যিকরের পরিবর্তে পার্থিব বিষয়াদির সাথে সম্পৃক্ত। প্রকাশ থাকে যে, এমন পার্থিব বিষয়াদির স্মরণ যা কল্যাণ ও তাৎপর্যশূন্য নয় তাও যিকরে হাক্বীক্বী তথা আল্লাহ তা'আলার স্মরণের দিকে লক্ষ্য করে নিরর্থক কথা এর অন্তর্ভুক্ত। এজন্যই ইমাম গাযালী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, (ضيعت قطعة من العمر العزيرفي تأليف البسيط والوسيط والوجيز) অর্থাৎ আমি আমার মূল্যবান জীবনের অংশবিশেষ আমার বাসীত্ব, ওয়াসীত্ব ও ওয়াজীয গ্রন্থাদি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিনষ্ট করেছি।
নিরর্থক কথাবার্তা থেকে সাবধান করে মহান আল্লাহ মু'মিনদেরকে বলেন, “আর যারা নিরর্থক কথাবার্তা থেকে নিজেদেরকে হিফাযাত করে”- (সূরাহ্ আল মু'মিনূন ২৩ : ০৩)। অন্য একটি আয়াতে এসেছে, মহান আল্লাহ বলেন- “যখন তারা নিরর্থক কথা শোনে তখন তারা তা থেকে বিমুখ থাকে”- (সূরাহ আল কসাস ২৮ : ৫৫)। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।