৫৭১৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা

৫৭১৮-[২১] আবু হুরায়রাহ (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: দাউদ আলায়হিস সালাম এর জন্য যাবূর কিতাব তিলাওয়াত করা সহজ করে দেয়া হয়েছিল। এমনকি তিনি তার বাহনের উপর গদি বাধবার আদেশ করতেন। তখন তার উপর গদি বাঁধা হত। অথচ বাহনের পশুর উপর গদি বাঁধা শেষ হওয়ার পূর্বেই তিনি যাবূর কিতাব পরিপূর্ণভাবে তিলাওয়াত শেষ করে ফেলতেন। আর তিনি নিজ হাতের উপার্জন ছাড়া কিছুই খেতেন না। (বুখারী)

الفصل الاول (بَاب بدءالخلق وَذِكْرِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خُفِّفَ عَلَى دَاوُدَ الْقُرْآنُ فَكَانَ يَأْمُرُ بِدَوَابِّهِ فَتُسَرَّحَ فَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ قَبْلَ أَنْ تُسَرَّحَ دَوَابُّهُ وَلَا يَأْكُلُ إِلَّا مِنْ عملِ يدَيهِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ رواہ البخاری (3417) ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা: (خُفِّفَ عَلَى دَاوُدَ الْقُرْآنُ) “দাউদের জন্য কুরআন সহজ করে দেয়া হয়েছিল। এখানে “কুরআন' শব্দটি শাব্দিক অর্থে এসেছে, যার অর্থ পঠিত বস্তু। দাউদ আলায়হিস সালাম-এর কুরআন দ্বারা তার ওপর নাযিলকৃত কিতাব যাবূর উদ্দেশ্য। নিহায়ায় বলেন, এখানে 'কুরআন' শব্দটি সমবেত করার অর্থে এসেছে। আর কুরআনকে কুরআন বলার কারণ হলো, কুরআনে ঘটনাবলী, আদেশ, নিষেধ, প্রতিশ্রুতি, ধমকি, আয়াত ও সূরাহ্ সমবেত করা হয়েছে।
তুরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, কুরআন দ্বারা যাবূর উদ্দেশ্য। আর যাবূরকে কুরআন বলে আখ্যায়িত করার কারণ হলো কুরআনের সাথে তাকে তুলনা করা। কেননা পাঠ্যবস্তু হিসেবে দুটোই অলৌকিক।
হাদীস থেকে বুঝা যায়, আল্লাহ তা'আলা তার কোন বান্দার জন্য চাইলে সময়কে গুটিয়ে দেন, যেমন কারো জন্য চাইলে স্থানকে গুটিয়ে দেন, তবে এটা সবার দ্বারা বুঝা সম্ভব নয়। মোটকথা, এটি দাউদ আলায়হিস সালাম এর একটি অলৌকিক নিদর্শন। তবে এখানে মতভেদ হলো আল্লাহ তা'আলা দাউদ আলায়হিস সালাম-এর জন্য সময়কে প্রশস্ত করে দিলেন, নাকি সময়কে আপন জায়গায় বহাল রেখে তার যবানকে দ্রুত করে দিলেন? প্রথম মতটি অধিক প্রকাশ্য। মি'রাজের রাতে নবী (সা.) -এর বেলায় এই অর্থ পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ পেয়েছিল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)