৫৩৪১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - ভয় ও কান্না

৫৩৪১-[৩] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: (মি’রাজ রাত্রে অথবা স্বপ্নে) আমার সামনে জাহান্নামকে উপস্থাপন করা হয়। তাতে আমি বনী ইসরাঈলের এমন একজন মহিলাকে দেখতে পাই যাকে একটি বিড়ালের কারণে শাস্তি দেয়া হচ্ছিল। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল, তাকে খাদ্যও দেয়নি বা তাকে ছেড়েও দেয়নি যাতে সে জমিনে চলাফেরা করে পোকামাকড় ইত্যাদি খেতে পারত। পরিশেষে বিড়ালটি ক্ষুধায় মরে গেল। আমি আরো ’আম্‌র ইবনু ’আমির আল খুযা’ঈ-কে দেখতে পাই যে, সে জাহান্নামের আগুনে স্বীয় নাড়িভুড়িকে টানছে। এ ব্যক্তিই (দেবতার নামে) ষাঁড় ছাড়ার কু-রীতি সর্বপ্রথম চালু করেছিল। (মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب الْبكاء وَالْخَوْف)

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عُرِضَتْ عَلَيَّ النَّارُ فَرَأَيْتُ فِيهَا امْرَأَةً مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ تُعَذَّبُ فِي هِرَّةٍ لَهَا رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الْأَرْضِ حَتَّى مَاتَتْ جُوعًا وَرَأَيْتُ عَمْرَو بْنَ عَامِرٍ الْخُزَاعِيَّ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَيَّبَ السَّوَائِبَ» . رَوَاهُ مُسلم رواہ مسلم (9 / 904)، (2100) ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা : (عُرِضَتْ عَلَيَّ النَّارُ) আমার সামনে জাহান্নাম পেশ করা হলো, আমি দেখলাম সেখানে বনী ইসরাঈলের এক মহিলাকে তার একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেয়া হচ্ছিল। সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। কিন্তু তাকে কোন প্রকার খাবার দেয়নি বা ছেড়েও দেয়নি যাতে সে পোকা-মাকড় শিকার করে খেতে পারে। ফলে বিড়ালটি ক্ষুধার কারণে মারা যায়।
(وَرَأَيْتُ عَمْرَو بْنَ عَامِرٍ الْخُزَاعِيَّ) এবং আমি আরো দেখতে পেলাম ‘আম্‌র ইবনু ‘আমির আল খুযা’ঈ কে।
‘আল্লামাহ্ তুরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, সে ছিল ঐ ব্যক্তি যে সর্বপ্রথম মক্কায় মূর্তি পূজা চালু করে এবং মূর্তির উদ্দেশে পশু ছেড়ে দেয়ার প্রথাকে চালু করে।
(يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ) সে জাহান্নামে তার নাড়িভুড়ি নিয়ে টেনে বেড়াচ্ছে।
(وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَيَّبَ السَّوَائِبَ) আর সেই সর্বপ্রথম মূর্তির উদ্দেশে পশু ছেড়ে দেয়ার প্রথা চালু করে। তার ধরণ হচ্ছে: কোন উট যখন অসুস্থ থেকে সুস্থ হয় অথবা কেউ সফর থেকে ফিরে আসে তখন বলে, আমার এ উটনীটি সায়িবা। উটনীকে বাঁধনমুক্ত করে ছেড়ে দিলে তা যথায় ইচ্ছা চড়ে বেড়াবে, খাদ্য খাবে। তার ওপর কোন বোঝা চাপাবে না, কেউ আরোহণ করবে না, তার দুগ্ধকে দহন করবে না। আর এসব কিছু করত মূর্তির নৈকট্য হাসিল করার জন্য। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, শারহুন নাবাবী ৬/৯০৪)